শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বিভাগ পরিবর্তন ও ‘ডি’ ইউনিট বহাল রাখার দাবিতে হাইকোর্টে রিট করবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, এতে তাদের আইনি সহায়তা দেবেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভাগ পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থী ঐক্যের যুগ্ম আহবায়ক মো. আরএম রাসেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে যাবো। সেখানে ব্যারিস্টার সুমন ভাই আমাদের আইনি সহায়তা দেবেন।’
তবে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে যোগাযোগ করছেন। আমরা তাদেরকে ভালো-খারাপ বিষয়গুলো নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি।’
রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলে আমরাই প্রথম এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছি। দেশব্যাপী আমাদের এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর এবং পাবনাসহ প্রায় বেশকিছু জেলায় আমাদের ভর্তিচ্ছু ভাইয়েরা আমাদের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। দীর্ঘদিনের আন্দোলনে আমরা কোন সাড়া না পাওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছি।’
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. আলাদা বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট
২. মানবিকের সঙ্গে বিভাগ পরিবর্তন একই প্রশ্ন
৩. নিজ বিভাগেই বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তই বহাল আছে বলে জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি না নেয়ার ব্যাপারে অনেক আগেই জানানো হয়েছে।
নতুন করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কিছু নেই।বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং মানবিক এই তিনটি ইউনিটেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। এই ইউনিটগুলো থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।
Discussion about this post