আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে (ইউএস ক্যাপিটল) বুধবার এক নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেসে জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বাধাগ্রস্ত করতে এ সময় ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালান। এ ঘটনাকে বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। খবর বিবিসির।
সহিংসতার পরে সিনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর মাইক পেন্স বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।’ এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন, হামলার সময়েও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স।
ঘটনার দিন সিনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স পুরো সময়েই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে ‘ক্যাপিটলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়।’ পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, ‘যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনারা জয়ী হতে পারেননি।’
তিনি বলেন ‘সহিংসতা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয় এবং এটা এখনো জনগণের কক্ষ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা ও শক্তি কতটা মজবুত।’ ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন,’ বলেন পেন্স।
এদিকে, রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ‘আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর চাক শুমার বলেন, ‘৬ই জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের সেই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে।’ সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি।
শুমার বলেন, ‘এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর এমন একটি দাগ যা ধোয়ার পরও সহজে যাবে না। ৪৫তম প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ, ভয়াবহ এবং লাগামহীন শাসনের উদাহরণ- সন্দেহাতীতভাবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।’ তিনি আরও বলেন, এই হামলাকারীদের বিক্ষোভকারী বলা যায় না। তারা ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী’ যারা ‘আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে না।’
Discussion about this post