অনলাইন ডেস্ক
ফাইজার ও বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকা ব্যাপকভাবে সংক্রমণ হওয়া ভাইরাসের নতুন ভ্যারিঅ্যান্ট বা ধরনের মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি মিউটেশন বা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলে গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে। ফাইজার ও ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ব্রাঞ্চের বিজ্ঞানীরা ল্যাবে পরিচালিত গবেষণা শেষে এমন দাবি করেছেন। তবে তাদের গবেষণাটি এখনো অন্য গবেষকদের দ্বারা পর্যালোচনা হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ফাইজারের ভাইরাসজনিত টিকা বিশেষজ্ঞ ফিল ডরমিৎজার বলেছেন, ‘ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এই মিউটেশনই সম্ভবত দায়ী। আশঙ্কা ছিল, মিউটেশনটি করোনার টিকা নেওয়ার পর শরীরে তৈরি এন্টিবডি নিরপেক্ষকরণ প্রক্রিয়াকে পাশ কাটাতে সক্ষম।’
যাদেরকে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হয়েছে এমন লোকজনের রক্ত নিয়ে গবেষণাটি চালানো হয়েছে। তবে এই গবেষণার ফল খুবই সীমিত, কারণ এতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সবগুলো মিউটেশন নিয়ে কাজ করা হয়নি। শুধু স্পাইক প্রোটিনের এন৫০১ওয়াই মিউটেশন নিয়ে কাজ হয়েছে।
ডরমিৎজার বলেন, ‘এটা আশাব্যঞ্জক, এই মিউটেশনের বিপক্ষে কাজ করতে পারছে আমাদের টিকা। এর আগে আরো ১৫টি মিউটেশনের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত ১৬টি মিউটেশন নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছি। এর কোনোটিরই গুরুতর প্রভাব মেলেনি। এটাই ভাল খবর। তবে এর মানে এই নয় যে, ১৭তম মিউটেশনের পরীক্ষায়ও একই ফল পাওয়া যাবে।’
মূলত যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ‘ই৪৮৪কে’ নামের একটি মিউটেশন নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে বলে জানান ডরমিৎজার। নতুন ধরনের করোনার আরো বেশকিছু মিউটেশন নিয়ে গবেষণা চালানো হবে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেক তথ্য হাতে আসবে বলে জানান গবেষকেরা।
গবেষকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে টিকায় কাজ নাও হতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে।
Discussion about this post