নিউজ ডেস্ক
ভ্যাকসিনের জন্য আমরা সব দরজা খুলে রেখেছি। আমাদের দেশকে অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। চায়না ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, রাশিয়া ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, ইউরোপ ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, আমেরিকা ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। ফাইজার কোম্পানি থেকে বিনামূল্যে কিছু ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন আমরা গ্রহণ করবো এবং ফ্রন্ট লাইনারদেরকে আগে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ সময় বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ আগের তুলনায় কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ (তরঙ্গ) নিয়ে সারা বিশ্ব শঙ্কিত থাকলেও আমাদের দেশে কোনও ওয়েভ নাই। এসময় দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী আরও বলেছেন, আমরা আশা করছি চলতি মাসের শেষে অথবা সামনে মাসের প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের কোনও অভাব হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘দেশে গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫ জন লোক মারা যাচ্ছে। তবে আমরা চাই না করোনায় আমাদের দেশে একটি লোকও মারা যাক।’ মন্ত্রী মাস্ক পড়ার প্রতি আবারও গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘আমরা সকলে মাস্ক পড়বো আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবো।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভালো আছে, অর্থনীতি ভালো আছে। পৃথিবীর সমস্ত দেশ যেখানে মাইনাসে চলে গেছে সেখানে আমাদের অর্থনীতি প্লাসে আছে।
এছাড়া তিনি জানান, করোনা সংক্রমণের হার এখন সাড়ে ৫ শতাংশ। দেশে সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হারও কমে গেছে। যেভাবে আমেরিকাতে প্রত্যেকদিন চার হাজার লোক মারা যায়, পুরো বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের অধিক লোক মারা যায়। সেখানে আমাদের দেশে এখনও মৃত্যু হার খুবই অল্প।
এসময় সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার ১ হাজার ৫শ’মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
Discussion about this post