নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী পরিচালক এবং পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতি পাবেন। এ লক্ষ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৫’ সংশোধন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংশোধিত চূড়ান্ত খসড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখিও করে। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে লিখিত আবেদনও করা হয়। শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ১৯৮৫ সালের আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আমাদের কোনো শিক্ষককে কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী হিসেবে ভাবতে চাই না। তাদের একটাই পরিচয়, সেটি হচ্ছে তারা শিক্ষক। তাই তাদের জন্য আমরা ১৯৮৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে খসড়া নিয়োগ বিধিমালা পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পরিচালক প্রশাসন ক্যাডার থেকে হয়ে থাকেন। এই নিয়োগ বিধির আওতায় এই প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন থেকে হবে।
Discussion about this post