শিক্ষার আলো ডেস্ক
সাধারণত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। তবে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সবশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্যটি উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ৪৬তম প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৫টি হলেও বর্তমানে ৯৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স-ইউআইটিএস। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-ফারইস্ট। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে পিছিয়ে থাকার দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স-এ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী রয়েছেন ৬ হাজার ৯১৬ জন। এর বিপরীতে পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫১ জন শিক্ষক। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৫৬। অর্থাৎ প্রতি ৫৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানদণ্ডের ধারে কাছেও নেই।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৯২৩ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৬০ জন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১:৪৯। অর্থাৎ এখানে ৪৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক।
শিক্ষক শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতে পিছিয়ে থাকাদের তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩১৭ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৮ জন। সে হিসেবে ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১:৪৭। অর্থাৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষক।
এর পরের অবস্থানে রয়েছে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৩৯। এর পরের অবস্থানে রয়েছে দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এ বিশ্ববিদ্যালয় দুটোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৩৮ এবং ১:৩৬।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা।
Discussion about this post