নিজস্ব প্রতিবেদক
ছয় সেমিস্টার না যেতেই শেষ হয়ে গেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আট সেমিস্টারের জন্য দেয়া পরিচয়পত্রের মেয়াদ। এতে করে ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ বিভিন্ন স্থানে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, স্নাতকের শেষ পর্যন্ত যেন তাদের পরিচয়পত্র নবায়ন করা হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকের আটটি সেমিস্টারের জন্য চার বছরের পরিচয়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়ে শিক্ষার্থীদের আট সেমিস্টার শেষ করতে পাচ বছর বা কখনও তারও বেশি সময় প্রয়োজন হয়। পরিচয়পত্রের মেয়াদ চার বছরে শেষ হয়ে যাওয়ায় বাকী সময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
স্নাতক ২০১৬-১৭ সেশনের লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন মো. তাহিরুল ইসলাম মিরাজ। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাকে চার বছর মেয়াদী পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। অথচ তিনি এখনও ৬ষ্ঠ সেমিস্টারই শেষ করতে পারেননি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনার্স শেষ হতে এখনো বছরখানেক বাকি। এত আগে পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কোথাও গিয়ে পরিচয় দেওয়াটা মুশকিল হয়ে গেছে। এদিকে প্রসাশনের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। এটা প্রসাশনের কেমন রীতিসিদ্ধ ব্যাপার?’
১১তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যাংকে গিয়েছি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে। পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি একাউন্ট খুলতে পারিনি। অথচ আমার স্নাতক শেষ হতে এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। প্রসাশনের অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র নবায়ন করা দরকার।’
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচয় পত্র নবায়নের আবেদন করলে আমরা অবশ্যই তাদের নতুন পরিচয় পত্র সরবরাহ করবো।’
তবে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘এটি সম্মিলিত বিষয় হওয়ায় এ ব্যাপারে আমি একক কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে আমরা এ ব্যাপারে কথা বলবো। তার আগে কোন মন্তব্য করতে পারছিনা।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘করোনার কারণে এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমরা ভেবে দেখবো।’
Discussion about this post