নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’ স্থাপনের কাজ চলছে। এ শিল্পনগরের জোন-২ এ (৯৩৯ একর) ও জোন-২বিসহ (৪৭৪ একর) পারিপার্শ্বিক জোনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি ২১ লাখ ২ হাজার টাকা খরচে একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। তার মধ্যে সরকার দেবে ৩৭৯ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার আর বিশ্বব্যাংক ঋণ হিসেবে দেবে ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে একনেক সভা স্থগিত হওয়ায় পরবর্তী সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পেতে পারে।
বেজা বলছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিল্পায়ন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বেজা দেশব্যাপী প্রায় ১০ মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগসহ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেজার গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে দেশের সর্ববৃহৎ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপনের কাজ চলমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় প্রায় ৩০টি জোনে বিভক্ত। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক ঋণচুক্তির অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ফেজ-১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের জোন-১ (মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল) এর আওতাভুক্ত ৫৪৮ একর ভূমি উন্নয়নসহ পারিপার্শ্বিক অন্যান্য জোনের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ইউটিলিটি সেবা সৃষ্টির মাধ্যমে ইতোমধ্যে শিল্প ইউনিট স্থাপনের উপযোগী করা হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ঋণের সহায়তায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটির আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের মূলত জোন-২এ (৯৩৯ একর) ও জোন-২বিসহ (৪৭৪ একর) পারিপার্শ্বিক অন্যান্য জোনে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন; যেমন- ৩০ কিলোমিটার চার লেন সড়ক, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস নেটওয়ার্ক, নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রশাসনিক ভবন, সিইটিপি, ডিস্যালাইনেশন প্ল্যান্ট, স্টিম নেটওয়ার্ক, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, সোলার প্যানেল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ওই জোনকে পরিবেশ সহনীয় ‘গ্রিন ইকোনমিক জোন’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে ছয়টি কাজ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা/স্টাডি ও পরামর্শক সেবা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
Discussion about this post