শিক্ষার আলো ডেস্ক
সমন্বিত সাত ব্যাংকের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা ফ্রেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতিও দিয়েছে। পরীক্ষা আয়োজকদের সম্মতি পেলে মধ্য ফেব্রুয়ারিতেই পরীক্ষা নিতে চায় বিএসসি। বিএসসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে করোনা শনাক্তের হার কমে গেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। যা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তাই দ্রুত স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় বিএসসি। ইতোমধ্যে যারা পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের কাছে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়েছে। আয়োজকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলে বিএসসিকে সবুজ সংকেত দিলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যস্থাপক ও বিএসসি’র সদস্য সচিব আরিফ হোসেন খান মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন করার। কেননা আমাদের ব্যাংকগুলোতে দিন দিন শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এলপিআর-এ যাওয়া কিন্তু বন্ধ নেই। এছাড়া অনেক চাকরি প্রত্যাশীর বয়স শেষ হতে চলেছে। তাই খুব বেশিদিন নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার সুযোগ নেই।
কবে সমন্বিত সাত ব্যাংকের পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরা যাদের পরীক্ষা আয়োজনের ওয়ার্ক অর্ডার দিবো, তাদের কাছে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। পজিটিভ রেসপন্সপেলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আগামী দুই/তিনদিনের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্তভাবে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছিল বিএসসি। তবে দেশে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৮ নভেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসসি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর সাত ব্যাংকের ৭৭১টি সিনিয়র অফিসার পদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। আর গত ২৩ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র ও আসন বিন্যাস প্রকাশ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৭৭১টি পদে এক লাখ ৪০ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
Discussion about this post