আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে নিজেদের উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন নেবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তিনিই নন, এ পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়া হবে দেশটির ৫০ বছর বয়োসোর্ধ্ব সব মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং আইনসভার সদস্যদেরও (এমএলএ)। সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি। দেশটিতে তিন হাজারের মতো কেন্দ্রে একসঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।
ভ্যাকসিন প্রধান কর্মসূচি শুরুর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি বলেছিলেন, এটি নেয়ার জন্য তাদের তাড়াহুড়োর দরকার নেই। দ্বিতীয় ধাপেই মন্ত্রিরা ভ্যাকসিন পাবেন।
তবে হরিয়ানা, বিহার ও তেলেঙ্গানার মুখমন্ত্রীরা নাকি দাবি করেছিলেন, এমপি, এমএলএ এবং অন্য সরকারি প্রতিনিধিদের সম্মুখ করোনাযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু এতে সায় দেননি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
অবশ্য কর্মসূচি শুরুর প্রথম সপ্তাহেই এর সাফল্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে দেশটিতে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর প্রথম তিন দিনে ৫৮০ জনের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার খবর পাওয়া জানা গেছে। এছাড়া মারা যান অন্তত তিনজন। যদিও তাদের মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিন নেয়ার যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ ভারত গত ৩ জানুয়ারি একসঙ্গে দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। এর একটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, অপরটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। অক্সফোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে কোভিশিল্ড উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এটি নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য না হলেও ভারতীয়দের আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কারণ সেটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি, নেই সুরক্ষা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যও।
এরই মধ্যে ‘বন্ধুত্বের নিদর্শন’ হিসেবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশীসহ মোট ১২টি দেশকে বিনামূল্যে কয়েক লাখ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
সূত্র: এনডিটিভি
Discussion about this post