এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার পর যাতে কোনও শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে ঘুরতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে বা যার কারণে পেনশন পেতে দেরি হবে, তাকে জবাদিহির আওতায় আনা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অবসরের পর পেনশন দিতে দেরি করার কারণে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাসিক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। পেনশন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মতামত চাইতে হবে। তবুও দেরি করা যাবে না।
অভিযোগ রয়েছে, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মাসের পর মাস পেনশনের ফাইল পড়ে থাকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে। যার তদবির করার সুযোগ রয়েছে, অথবা যিনি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে পারেন, তারা দ্রুত পেনশনের ফাইল নিষ্পত্তি করতে পারেন। তবে বেশিরভাগ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। সারাজীবন চাকরির পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পেনশনের ফাইল নিষ্পত্তি করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা দিতে বলা হয়। আর যদি কোনও ধরনের জটিলতা থাকে, তাহলে পেনশন ফাইল নিষ্পত্তি করতে ঢাকায় যাতায়াত করতে করতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অভিযোগ আছে, পেনশনের ফাইল নিষ্পত্তি করতে অবসরে যাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে প্রায়ই অধস্তন কর্মকর্তাদের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনুরোধ করলেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে এসব কোনও অভিযোগই আর থাকবে না বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
Discussion about this post