শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা অথবা চট্টগ্রামের মতো বড় বড় শহরগুলোতে প্রথমদিকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেসব এলাকায় করোনা কম ছড়িয়েছে অথবা আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল সেই এলাকার স্কুল-কলেজগুলো আগে খোলার পরামর্শ তাদের।
তারা বলছেন, বড় বড় শহরে স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। স্কুল-কলেজ খুললে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কষ্টসাধ্য হবে। এছাড়া বড় বড় শহরগুলোতে করোনাার সংক্রমণ বেশি ছিল। ঢাকায় এখনো অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এই এলাকার স্কুল-কলেজগুলো এখনই খুলে দেয়া ঠিক হবে না। আগে গ্রাম অথবা কম আক্রান্ত হওয়া এলাকার স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। এরপর ধাপে ধাপে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিৎ।
এ প্রসঙ্গে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুব দ্রুত খুলে দিতে হবে। তবে একসঙ্গে সব স্কুল খোলা যাবে না। ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। শহরাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো আগে খুলে দেওয়া ঠিক হবে না। অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত হয়েছে এমন এলাকার স্কুল-কলেজ আগে খুলতে হবে। আর অন্তত দুই সপ্তাহ প্রস্তুতি নিয়ে তা খুলতে হবে।
এর আগে গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ইউনিসেফের সহায়তায় তৈরি করা ৩৯ পৃষ্ঠার ওই নির্দেশনায় একটি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথ আলদা হতে হবে। ক্লাসের আয়তনের ওপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ভর করবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক সরবরাহ হবে স্কুল থেকে। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
স্কুলের শ্রেণীকক্ষ, টয়লেট, স্কুল প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হবে। বেসরকারি স্কুল নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ বহন করবে। আর সরকারি স্কুলগুলোর খরচ দেবে সরকার।
Discussion about this post