আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অবশেষে মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় সমালোচনার মুখে পড়ে পদত্যাগ করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোৎঁ। মঙ্গলবার এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।
অবশ্য কোৎঁ যে পদত্যাগ করবেন তা আগেই জানা ছিল। তিনি নিজেই এক বিবৃতিতে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।গত ১৩ জানুয়ারি ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি তার ইটালিয়া ভিভা পার্টিকে ক্ষমতাসীন জোট থেকে প্রত্যাহার করে নিলে চাপে পড়েন জিউসেপ কোৎঁ। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে কোনমতে টিকে যান তিনি। কিন্তু সিনেটের উচ্চ কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হন প্রধানমন্ত্রী।
পরবর্তী করণীয় কী তা নির্ধারণে চলতি সপ্তাহেই সর্বদলীয় সভা আহ্বান করবেন তিনি।
এক বিবৃতিতে ইতালীয় প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, আগামী বুধবার থেকে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছেন মাতারেলা। আলোচনাকালীন জিউসেৎ কোৎঁকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য ইতালিতে কোনো প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর নতুন জোট গঠন হবে, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। এর কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। ইতালিতে ২০২৩ সালে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশগুলোর একটি ইতালি। চীনে করোনার প্রাদুর্ভাবের কিছুদিন পরেই ইতালিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর দ্রুতই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় দেশটি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোতেঁর বিরুদ্ধে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা।
Discussion about this post