শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাথে অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (বিপিবিএল) ‘বার্জার স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২০১৯’ সহ আটজন তরুণ মেধাবী চিত্রশিল্পীকে পুরস্কৃত করেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের লেকচার থিয়েটারে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষায় অসাধারণ ফল অর্জনের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়।
চলতি বছর ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয় প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাহিয়া হোসাইনকে।
পুরস্কার হিসেবে তাকে ৫০ হাজার টাকাসহ সনদ প্রদান করা হয়। ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল রানা, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের ইমানা শাহরিন, ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগের লায়লা ফজল, সিরামিকস বিভাগের শারমিন আক্তার শিমু, ভাস্কর্য বিভাগের নয়ন দত্ত, কারুশিল্প বিভাগের নুসরাত আলম পৃথা, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ঈশিতা শারমিন সায়মা ও প্রিন্ট মেকিং বিভাগের তাহিয়া হোসেনকে চলতি বছর পুরস্কৃত করা হয়। প্রত্যেককেই প্রাইজমানি হিসেবে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক নৈপুণ্যের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ২০১৮ সালে এই পুরস্কারটি চালু করে বার্জার।
একইসঙ্গে স্নাতক সম্মান শ্রেণির চিত্রশিল্পীদের (যারা অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার শেষ দিকে রয়েছেন) আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করাও এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য । এর আগে ২০১৭ সালে এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউ অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আটটি বিভাগ থেকে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য একজন করে মেধাবী শিক্ষার্থী নির্বাচিত করে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়াও ব্যবহারিক কাজের ওপর ভিত্তি করে সেরা শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য একটি পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের জুরি কমিটি বিজয়ীদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বিষয়টি তদারকি করবে। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এর চ্যানেল এনগেজমেন্টের প্রধান এ এম এম ফজলুর রশিদ বলেন, ‘প্রতি বছর স্নাতক সম্মান শ্রেণীর তরুণ চিত্রশিল্পীদের চমৎকার পারফরমেন্স আমাদের মুগ্ধ করে। এরই ধারাবাহিকতায়, চলতি বছরও আমরা বেশ কয়েকজন মেধাবী চিত্রশিল্পী পেয়েছি। এ সকল তরুণদের আগামী দিনের পথচলার পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।’
Discussion about this post