শিক্ষার আলো ডেস্ক
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মানোন্নয়ন, এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল, বিভাগ পরিবর্তন এবং মাদ্রাসা, কারিগরি কিংবা উন্মুক্ত থেকে এসে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিতে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীদের ফল জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দেয়া হবে বলে গ্রেড মূল্যায়নে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জাামন।
তিনি বলেন, যারা এইচএসসিতে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের রেজাল্টও জেএসসি ও এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের ভিত্তিতে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী জেএসসি এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেড গড় করে যদি বিগত এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ’র চেয়ে বেশি হয়, তবেই ওই শিক্ষার্থী ফল পাবেন। আর যদি জেএসসি ও এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের গড় বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে কম হয়, তাহলে ওই শিক্ষার্থী রেজাল্ট পাবেন না। পূর্বে প্রাপ্ত গ্রেডই তার বহাল থাকবে।
ড. মো. আসাদুজ্জাামন বলেন, এইচএসসিতে এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের রেজাল্টও জেএসসি এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেড গড় করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এইচএসসিতে যদি কেউ আইসিটি বিষয়ে ফেল করে এবং ওই বিষয়টি যদি তার জেএসসিতে কিংবা এসএসসিতে না থাকে তাহলে ওই বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে এমন বিষয়ের সাথে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে তার ফল দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দেয়নি, তাদের এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হবে। আর বিভাগ পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার নম্বর গড় করে ফল দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এসএসসিতে বিজ্ঞান ছিল তবে এইচএসসিতে মানবিক কিংবা ব্যবসায় শিক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীদের রেজাল্টও তার বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্টের আলোকেই দেয়া হবে।
চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চতুর্থ বিষয়ের নম্বরসহ এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষাতেও ব্যবহারিক বিষয় ছিল। এসএসসিতে ব্যবহারিক বিষয়গুলোর নম্বরসহ রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নম্বর অনুযায়ীই এইচএসসি ও সমমানের রেজাল্ট দেয়া হবে।
Discussion about this post