নিজস্ব প্রতিবেদক
সদ্য ঘোষিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। তবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পাননি।
৯টি সাধারণসহ সব বোর্ডের সমন্বয়ে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জেএসসি-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় করে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ থেকেও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায়নি ৩৯৬ জন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন এবং ২০১৮ সালে ছিল ৫২ হাজার ৬৩৪ জন। জেএসসি ও সমমানের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমানের ৭৫ শতাংশ গড় করে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার জিপিএ-৫ না পাওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবারে ফলাফলে ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পায়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে এমনটি হয়েছে। যখন ম্যাপিং হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ পেতে যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পায়নি। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিং করায় অনেকে আগে জিপিএ-৫ না পেলেও এবার পেয়েছে।’ জিপিএ-৫ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের বেশি বলেও জানান তিনি।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেয়েও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৪৩ জন। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল আট হাজার ৫৭০ জন। এছাড়া ২০১৮ সালে চার হাজার ১৫৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, আগের বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। সে হিসেবে এবার অটোপাসে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি। আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবার সবাই শতভাগ পাস করলেও গতবার পাস করে ৭৩.৯৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার হার গত বছর ৩.৫৪ শতাংশ হলেও এবার হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ। এবার ছাত্রদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
Discussion about this post