অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবী নামের গোলাকৃতির বলের ওপর পাহাড় আছে, আছে সমুদ্র। আবার এই বল মানে পৃথিবীর বাইরের দুনিয়া তো আরও জটিল।
আমাদের এই মহাবিশ্ব বেশ অদ্ভুত আর রহস্যে ঘেরা। পৃথিবী নামের গোল বলের উপরিভাগে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রকমের গাছপালা, আর চলে-ফিরে বেড়াচ্ছে প্রাণীরা। প্রায় গোলাকৃতির এই বলের ওপর পাহাড় আছে, আছে সমুদ্র। আবার এই বল মানে পৃথিবীর বাইরের দুনিয়া তো আরও জটিল।
এই আয়োজনে পৃথিবীর বাইরের পাঁচটি অদ্ভুত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যা জানলে আপনিও অবাক হবেন-
রহস্যময় রেডিও সিগন্যাল: ২০০৭ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা একটি রহস্যময় আল্ট্রাস্ট্রং এবং আল্ট্রাব্রাইট সিগন্যাল শুনে আসছে। এই সিগন্যালের স্থায়ীত্ব কয়েক মিলি সেকেন্ড। মায়াবী এই ঝলকের নাম দেওয়া হয়েছে “ফার্স্ট রেডিও ব্রাস্ট”। এটির উৎপত্তি বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই সিগন্যালের কিছুটা সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। এর রহস্য সমাধানের কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
হাউমির রিং: “বামন গ্রহ”খ্যাত হাউমি নেপচুনের বাইরের কুপার বেল্টে প্রদক্ষিণ করে। যা বেশ অস্বাভাবিক। এর আবার দুটি চাঁদ আছে। এর দিনের সময় ৪ ঘণ্টা। এটি এই সোলার সিস্টেমের সবচেয়ে দ্রুতগতির বস্তু। কিন্তু ২০১৭ সালে কিছু নভোচারী খেয়াল করেন হাউমির চারপাশ ঘিরে খুব সূক্ষ্ম একটি রিঙের মত বলয়। খুব সম্ভবত অনেক আগের কোন সংঘর্ষের ফলে তৈরি এটি।
চাঁদের আবার চাঁদ: কেমন হয় যদি চাঁদেরও চাঁদ থাকে? ইন্টারনেটে একে বলা হয় “মুনমুন” বাংলায় করলে হয় “চাঁদ চাঁদ”। যদিও এটি একটি তাত্ত্বিক বিষয়, তবে সম্প্রতি বিভিন্ন গণনায় দেখা গেছে বিষয়টি অবাস্তব কিছু না। হয়ত ভবিষ্যতে তা আবিস্কার হতেও পারে।
হাই ইলেকট্রিক হাইপারিয়ন: সবচেয়ে অদ্ভুত চাঁদের খেতাব পেতে পারে অনেক বস্তুই। তবে শনির হাইপারিয়ন কিন্তু বেশ অদ্ভুত দেখতে। নাসার যে মহাকাশযান ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত শনিকে পর্যবেক্ষণ করেছে, তা দেখিয়েছে এই হাইপারিয়নের মহাকাশের স্থির বিদ্যুৎ এর বীমের কণা দিয়ে চার্জযুক্ত।
স্পেস থেকে অবলোহিত রশ্মির প্রবাহ: একটি সাধারণ তারার মৃত্যুর পর নিউট্রনের তারাগুলো বেশ ঘন হয়ে যায়। তারা রেডিও প্রবাহ, এক্স রে’র মতো বিভিন্ন প্রবাহ ছুঁড়তে থাকে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এরকম একটি তারা থেকে অবলোহিত রশ্মি আসতে থাকে। যা আগে দেখা যায়নি। বিষয়টি বেশ রহস্যে ঘেরা।
Discussion about this post