দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬টি। শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমাতে এবার ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে। ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশে পরিচালিত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অটল। এখনও জানা যায়নি বুয়েটের সিদ্ধান্ত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় এখনো যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আসতে চায় আসতে পারে। তারা যদি পুনর্বিবেচনা করে এবং এই পরীক্ষায় যুক্ত হয়, আর ১০০ বছরের পুরোন বিশ্ববিদ্যালয় যদি নেতৃত্ব গ্রহণ করে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ এখনও নিজেদের মধ্যে আলোচনা শেষ করতে পারেনি। তাই ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে অপেক্ষা করতে হবে ২ মাসের বেশি।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “পরীক্ষা নিতে হলে মার্চের পর নিতে হবে। মেডিকেলের পর বুয়েটের পরীক্ষা হবে বা আমাদের চারটাই এক সাথে হতে পারে। এগুলো মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে।”
এক বছরের মত বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস-পরীক্ষা। বর্তমান শিক্ষার্থীরাই যেখানে সেশন জটের আশঙ্কায়, সেখানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কি হবে? এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলছেন, সেশন জট এড়াতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে স্নাতক পর্যায়ে আসন সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৭১টি।
Discussion about this post