বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা যেভাবে প্রচারিত হয়েছে-
১. ২৬ মাচে রাত ১২ টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধু টেলিফোনে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহম্মেদ চৌধুরীর স্ত্রী ডঃ নুরুন্নাহারের নিকট জানিয়ে দেন। ডঃ নুরুন্নাহার বার্তাটি লিপিবদ্ধ করে চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ অফিসে এবং সলিমপুর ওয়ারলেস স্টেশনে প্রেরণ করেন।
২. সলিমপুর ওয়ারলেস অফিসের সহকারি প্রকৌশলী এম হাকিম তার কর্মচারীদের দ্বারা ঘোষণা বার্তা দেশে বিদেশে প্রেরণ করেন। তারা চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজের মাধ্যমে বার্তাটি দিল্লিসহ বিদেশে প্রেরণ করেন।
৩. বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি প্রচারের জন্য চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ২৬ মার্চ সকালে কালুরঘাট ট্রান্সমিশনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তা কালুরঘাট থেকে ২৬ মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এবং সন্ধ্যার পর প্রচার করেন। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম পাঠক এম এ হান্নান।
৪. পরদিন ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন যা বেতারে বার বার প্রচার করা হয়। ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম জেটিতে অস্ত্র খালাসের দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের সিদ্ধান্তে তাকে বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
৫. ঢাকার মগবাজার ডিএ এস ওয়ারলেসের সুপারভাইজার মেজবাহউদ্দীন ২৬ মার্চ সকাল ৬ টায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামে সলিমপুর অফিসে প্রেরণ করেন।
৬. চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট ক্যাডেট ওয়ারলেস অফিস ঢাকার মগবাজার ওয়ারলেস অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তা পেয়ে তা প্রচার করেন।
৭. বুয়েটের অধ্যাপক ডঃ নুরুল উল্লাহ বেতার যন্ত্র স্থাপন করেন এবং তা থেকে ঘোষণা প্রচারিত হয়েছে।
৮. ঐতিহাসিক বলধা গার্ডেন থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা প্রচারিত হয়েছিল।
৯. পিলখানার ইপিআর সিগন্যাল উইংয়ের সুবেদার শহীদ শওকত তাঁর ট্রান্সমিটার থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বার্তা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন।
এছাড়াও সারাদেশে ও বিদেশে যে যেভাবে পেরেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি প্রচারের ব্যবস্থা করেছেন।
৭ মার্চের ভাষণঃ
১০ মার্চ,২০১৭ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ৭মার্চ এর ভাষন নিয়ে এক সেমিনারে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মূলত ২৩ মিনিটের ছিল,তবে যেটি রেকর্ড করা হয়েছিল সেটি ছিল ১৮-১৯ মিনিটের।।।।।
মোট শব্দ : ১,১০৮টি
দাবী : ৪ টি
ইউনেস্কো র স্বীকৃতি : ৩০ অক্টোবর , ২০১৭
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় (ইন্টারন্যাশনালরেজিস্টার) মোট ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ তালিকায় ৪৮ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক দলিলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২৭টিতে।
সংবিধানে : ১৫২(২)। ৫ম তফসিল
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ এর ভাষণ ১২ টি ভাষায় অনুবাদ করা হয় ,তাজউদ্দীন আহমেদ অনুবাদ ও পরিমার্জনা করেন।
.
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ এর ভাষণ কে ২৫০০ বছরের ইতিহাসে ৭ টি ভাষণ এর মধ্যে ৬ নং ভাষণ এর মর্যাদা দেওয়া হয় ” jacob
F Filed এর লেখা “we shall fight on the
beaches :the speeches that inspired history বইয়ের ২০১ পেইজে
জাতির পিতা কথাটি উল্লেখ আছে সংবিধানের চারটি জায়গায়।
১। ৪(ক) অনুচ্ছেদ ২। ১৫০ (২) অনুচ্ছেদ ৩। পন্চম তফসিল ৪। ষষ্ঠ তফসিল।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার
স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার ঘাঘোর ও মধুমতি বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮ টায় এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল খোকা। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ আদালতে সেরেস্তাদারের চাকরি করতেন। মাতার নাম সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৩২/১৯৩৩ সালে ১২/১৩ বছর বয়সে শেখ ফজিলাতুন্নেছার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার ডাক নাম ছিল রেনু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপন ছয় ভাইবোনদের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজো বোন আছিয়া বেগম, সেজবোন আমেনা বেগম, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের ও ছোট বোন খোদেজা বেগম। ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়ায় এঁদের সাথেই থাকতেন।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা জীবন
১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরে তিনি স্থানীয় মিশনারী স্কুলে ভর্তি হন।
১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে তার একটি চোখ কলকাতায় অপারেশন করা হয় এবং চক্ষুরোগের কারণে তার লেখাপড়ার সাময়িক বিরতি ঘটে। ১৯৩৬ সালে বঙ্গবন্ধু কিছু সময়ের জন্য মাদারীপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। পরে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে আবার ভর্তি হন। ১৯৩৯ সালে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় মিশনারী স্কুলে পড়ার সময়।
১৯৪০ সালে শেখ মুজিব নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদান করেন এবং এক বছরের জন্য বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তাকে গোপালগঞ্জ মুসলিম ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়।
১৯৪২ সালে তিনি সাফল্যের সাথে এন্ট্রেন্স (এসএসসি) পাস করেন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে মানবিক বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাশে ভর্তি হন এবং বেকার হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা হয়। বঙ্গবন্ধু এই বছরেই পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৪৩ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ইসলামিয়া কলেজ ছা্ত্র সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন।
১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এ বছরের শেষ দিকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন।
১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং ৪ জানুয়ারি মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন আইন পরিষদে ‘পূর্বপাকিস্তান এর জনগণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নেবে’ বলে ঘোষণা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধু এর প্রতিবাদ জানান।
খাজা নাজিমউদ্দিনের বক্তব্যে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শেখ মুজিব মুসলিম লীগের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কর্মতৎপরতা শুরু করেন। এ বছরের ১১ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধু সহকর্মীদের সাথে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভরত অবস্থায় সর্ব প্রথম রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হন।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পর্কে তথ্য
বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তখন তিনি তার আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন। ২০১২ সালের ১৮ জুন অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়। এর ইংরেজী অনুবাদ The Unfinished Memories- এর অনুবাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. ফখরুল অালম।
অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ যারা করেনঃ
#জাপানি ভাষা – অনুবাদক কাজুহিরো ওয়াতানাবে। ২ আগস্ট ২০১৫ জাপানি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচিত হয়।
#চীনা ভাষা – অনুবাদক চাই সি; ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি গণভবনে বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয়।
#আরবি ভাষা – অনুবাদক ফিলিস্তিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ; ২০১৬ সালে আরবি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
#ফরাসি ভাষা – অনুবাদক প্রফেসর ফ্রান্স ভট্টাচারিয়া; ২৬ মার্চ ২০১৭ ফরাসি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচিত হয়।
#হিন্দি ভাষা – অনুবাদক ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ৮ এপ্রিল ২০১৭ হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে জাতির পিতা বলার কারণ
জাতির জনক তাকেই বলা হয়, যে একটি স্বাধীন বা পরাধীন জাতিকে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে সঠিকভাবে পরিচালনা করে বিশ্বের দরবারে সেই জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর কাজ করে। পৃথিবীর বুকে বাঙালি জাতির উদ্ভবে যার ভূমিকা সর্বসাকুল্য স্মরণীয় তিনি আর কেউ নন শেখ মুজিবর রহমান। পিতা যেমন সন্তানকে আগলে রাখে তেমনি তিনি তার দীপ্ত মেধা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন বাঙালি জাতিকে। দিয়েছিলেন মুক্তির ডাক। গড়েছেন সোনার বাংলা নামক একটি প্রান্তর, আর মায়ায় ভরা মানুষের জাতি বাঙালি জাতি। আর তাই তাকে বাঙালি জাতির পিতা বলা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষাণাটি:
ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
‘This may be my last mesasge, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of cocupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved. Sheikh Mujibur Rahman.’
মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু যে কারাগারে ছিলেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের করাচির মিয়াওয়ালি কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকে যেখানে কবর দেয়া হয় : গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সবাইকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারবর্গের শাহাদাত বরনকারীগণ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের । ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বেগম ফজিলতুন্নেছা মুজিব ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরও ২৬ জন। এদের মধ্যে যারা রয়েছেন:
শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে
জন্ম: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৫ই আগস্ট, ১৯৪৯ সাল।
শেখ জামাল, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে
জন্ম: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৮ এপ্রিল, ১৯৫৪ সাল।
শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র
জন্ম: ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ১৯৬৪ সাল।
শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই
জন্ম: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, সেপ্টেম্বর, ১৯২৮ সাল।
সুলতানা কামাল খুকু, শেখ কামালের স্ত্রী
জন্ম: ঢাকা, ১৯৫১ সাল।
পারভীন জামাল রোজী, শেখ জামালের স্ত্রী
জন্ম: সিলেট, ১৯৫৬ সাল।
আবদুর রব সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধুর সেজ বোনের স্বামী
জন্ম: বরিশাল, ১৪ই চৈত্র ১৩২৭ বাংলা।
শেখ ফজলুল হক মনি, বঙ্গবন্ধুর মেজো বোনের বড় ছেলে
জন্ম: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৩৯ সাল
বেগম আরজু মনি, শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী
জন্ম: বরিশাল, ১৫ মার্চ ১৯৪৭ সাল।
বেবী সেরনিয়াবাত, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে
জন্মঃ বরিশাল, ২০ মে ১৯৬০ সাল।
আরিফ সেরনিয়াবাত, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের কনিষ্ঠ পুত্র
জন্মঃ ২৭ মাচর্, ১৯৬৪ সাল।
সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি
জন্ম: গৌরনদী, বরিশাল, ২২ জুন ১৯৭১ সাল।
শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ভাইয়ের ছেলে
জন্মঃ বরিশাল, ২৬ মার্চ ১৯৪০ সাল।
আবদুল নঈম খান রিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমুর খালাতো ভাই
জন্মঃ বরিশাল, ১ ডিসেম্বর ১৯৫৭ সাল।
১৫ আগষ্টে মুজিব হত্যাকারীদের নাম
১৯৭৬ সালের ৮ জুন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে অভিযুক্ত হত্যাকারী গোষ্ঠীর ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছিল
১. লে. কর্নেল শরিফুল হককে (ডালিম) চীনে প্রথম সচিব,
২. লে. কর্নেল আজিজ পাশাকে আর্জেন্টিনায় প্রথম সচিব,
৩. মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজেরিয়ায় প্রথম সচিব,
৪. মেজর বজলুল হুদাকে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সচিব,
৫. মেজর শাহরিয়ার রশিদকে ইন্দোনেশিয়ায় দ্বিতীয় সচিব,
৬. মেজর রাশেদ চৌধুরীকে সৌদি আরবে দ্বিতীয় সচিব,
৭. মেজর নূর চৌধুরীকে ইরানে দ্বিতীয় সচিব,
৮. মেজর শরিফুল হোসেনকে কুয়েতে দ্বিতীয় সচিব,
৯. কর্নেল কিসমত হাশেমকে আবুধাবিতে তৃতীয় সচিব,
১০. লে. খায়রুজ্জামানকে মিসরে তৃতীয় সচিব,
১১. লে. নাজমুল হোসেনকে কানাডায় তৃতীয় সচিব,
১২. লে. আবদুল মাজেদকে সেনেগালে তৃতীয় সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি:
———–বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান!————
> শেখ মুজিবের বাবার
নাম-শেখ লুতফর রহমান।
> শেখ
মুজিবের মায়ের
নাম-সায়েরা খাতুন।
> শেখ
মুজিবের জন্ম
১৯২০
সালের
১৭
মার্চ।
১৭
মার্চ
জাতীয়
শিশু
দিবস
পালন
করা
হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম
দিনকে
শিশু
দিবস
হিসেবে
পালনের
প্রস্তাব করেন
ড,
নীলিমা
ইব্রাহিম।
> শেখ
মুজিবের ছাড়
বোন
দুই
ভাই
ছিলেন।
> শেখ
মুজিব
ভাই
বোন
দের
মধ্যে
তৃতীয় ছিলেন।
> শেখ
মুজিবের ডাক
নাম
খোকা।
> শেখ
মুজিবের উচ্চতা
ছিল
৫
ফিট
১১
ইঞ্চি।ছ।
> শেখ
বেরি
বেরি
রোগে
আক্রান্ত ছিলেন।
> ১৬
জানুয়ারি ১৯৩৮
সালে
শের-ই-বাংলার গোপালগঞ্জ মিশন
স্কুল
পরিদরশনের সময়
সাক্ষাত হয়।
> ১৯৪৮
সালের
১১
সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে কর্ডন
প্রথার
বিরুদ্ধে আন্দলন
করে
বন্দি
হন।
> ১৯৫২
সালের
২১
ফেব্রুয়ারি শেখ
মুজিব
জেলে
ছিলেন।
জেলখানা থেকে
বিবৃতি
প্রদান
করেন।
> ১৯৬৪
সালের
১১
মার্চ
শেখ
মুজিবের নেতৃতে
সর্ব
দলীয়
সংগ্রাম পরিষদ
গঠন
করা
হয়।
১).
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির
লেখকের
নাম
কী?
উত্তর:
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান।
২).
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের জন্ম
কত
সালে,
কোথায়?
উত্তর:
১৯২০
সালের
১৭
মার্চ,
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
৩).
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু
হয়
কোন
স্কুলে?
উত্তর:
গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
৪).
বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ
করেন
কোন
স্কুল
থেকে,
কত
সালে?
উত্তর:
গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে,
১৯৪২
সালে।
৫).
বঙ্গবন্ধু কলকাতা
ইসলামিয়া কলেজের
বেকার
হোষ্টেলের কত
নম্বর
কক্ষে
থাকতেন?
উত্তর:
২৪
নম্বর
কক্ষে।
৬).
বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন
কীভাবে?
উত্তর:
১৯৪৪
সালে
কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল
বঙ্গ
মুসলিম
ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
৭).
বঙ্গবন্ধু কত
সালে
হোসেন
শহীদ
সোহরাওয়ার্দীর সহকারী
নিযুক্ত হন?
উত্তর:
১৯৪৬
সালে।
৮).
বঙ্গবন্ধু বিএ
পাশ
করেন
কত
সালে,
কোন
কলেজ
থেকে?
উত্তর:
১৯৪৭
সালে
কলকাতা
ইসলামিয়া কলেজ
থেকে।
৯).
বঙ্গবন্ধু ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন
বিভাগের ছাত্র
ছিলেন?
উত্তর:
আইন
বিভাগের।
১০).
বঙ্গবন্ধু ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
কত
সালে
কেন
বহিস্কৃত হন?
উত্তর:
১৯৪৯
সালে
চতুর্থ
শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি
প্রকাশ
করায়
তাঁকে
বহিস্কার করা
হয়।
১১).
বঙ্গবন্ধু জীবনে
প্রথম
কারাভোগ করেন
কত
সালে?
উত্তর:
১৯৩৯
সালে।
সরকারি
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে
স্কুল
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি
প্রতিবাদ সভা
করার
কারণে
তাঁকে
কারভোগ
করতে
হয়।
১২).
১৯৪৯
সালের
২৩
জুন
পূর্ব
পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম
লীগ
প্রতিষ্ঠা লাভ
করলে
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান
সেখানে
কী
পদ
পান?
উত্তর:
যুগ্ম
সম্পাদক।
১৩).
১৯৫২
সালের
কত
তারিখে
রাষ্ট্র ভাষা
বাংলার
দাবীতে
বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন
শুরু
করেন?
উত্তর:
১৪
ফেব্রুয়ারি।
১৪).
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন
আসনে
বিজয়ী
হন?
উত্তর:
গোপালগঞ্জ আসনে।
১৫).
বঙ্গবন্ধু কোন
মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর:
১৯৫৪
সালের
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
১৬).
১৯৬৪
সালে
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী
দল
গঠন
করা
হয়।
দলটির
নাম
কী?
উত্তর:
কম্বাইন্ড অপজিশন
পার্টি।
১৭).
বঙ্গবন্ধু মুজিব
ছয়দফা
১ম
কবে
ঘোষনা
করেন?
উত্তর:
৫
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
১৮).
আওয়ামী লীগের
কাউন্সিল অধিবেশনে ৬
দফা
গৃহীত
হয়
কত
সালে?
উত্তর:
১৯৬৬
সালের
১৮
মার্চ।
১৯).
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব
আনুষ্ঠানিকভাবে কবে
ছয়দফা
ঘোষনা
করেন?
উত্তর:
২৩
মার্চ
১৯৬৬
২০).
কোন
প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা
রচিত
হয়?
উত্তর:
লাহোর
প্রস্তাব
২১).
ছয়দফার প্রথম
দফা
কি
ছিল?
উত্তর:
স্বায়ত্বশাসন
২২).
‘বাঙালি
জাতির
মুক্তির সনদ’
হিসেবে
পরিচিত
কোনটি?
উত্তর:
ছয়
দফা।
২৩).
আগরতলা
ষড়যন্ত্র মামলার
আসামী
ছিল
কত
জন?
বঙ্গবন্ধু কততম
আসামী
ছিলেন?
উত্তর:
৩৫
জন।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন
১
নং
আসামী।
২৪).
আগরতলা
ষড়যন্ত্র মামলা
কী
নামে
দায়ের
করা
হয়েছিল?
উত্তর:
রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম
শেখ
মুজিব
ও
অন্যান্য।
২৫).
শেখ
মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত
করা
হয়
কত
সালে?
উত্তর:
১৯৬৯
সালের
২৩
ফেব্রুয়ারি।
২৬).শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি
কে
দেন?
উত্তর:
তৎকালীন ডাকসুর
ভিপি
তোফায়েল আহমেদ।
২৭).
কোথায়
‘বঙ্গবন্ধু উপাধি
দেওয়া
হয়?
উত্তর:
রেসকোর্স ময়দানে।
২৮).
বঙ্গবন্ধু পূর্ব
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন
করেন
কত
সালে?
উত্তর:
৫
ডিসেম্বর, ১৯৬৯
।
২৯).
বঙ্গবন্ধু ৭
মার্চের ভাষণ
কোথায়
দেন?
উত্তর:
ঢাকার
রেসকোর্স ময়দানে, যা
এখন
সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন
নামে
পরিচিতি।
৩০).
বঙ্গবন্ধু ৭
মার্চের ভাষণের
মূল
বক্তব্য কী
ছিল?
উত্তর:
এবারের
সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের
সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
৩১).
বঙ্গবন্ধু কখন
স্বাধীনতার ঘোষণা
দেন?
উত্তর:
১৯৭১
সালের
২৫
মার্চ
মধ্যরাত অর্থাৎ
২৬
মার্চে
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা
করেন।
এরপরই
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
৩২).
১৯৭১
সালের
১৭
এপ্রিল
গঠিত
অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ
কী
ছিল?
উত্তর:
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের পদ
ছিল
রাষ্ট্রপতি।
৩৩).
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে
মুক্তি
পান
কবে?
উত্তর:
১৯৭২
সালের
৮
জানুয়ারি।
৩৪).
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন
কবে?
উত্তর:
১৯৭২
সালের
১০
জানুয়ারি, যা
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন দিবস
নামে
পরিচিত।
৩৫).
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ
করেন
কত
তারিখে?
উত্তর:
১৯৭২
সালের
১০
জানুয়ারি।
৩৬).
বঙ্গবন্ধু প্রথম
নেতা
হিসেবে
জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদে
বাংলা
ভাষায়
বক্তৃতা দেন
কত
সালে,
কত
তারিখে?
উত্তর:
১৯৭৪
সালের
২৫
সেপ্টেম্বর।
৩৭).
বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত
হন
কত
তারিখে?
উত্তর:
১৯৭৫
সালের
১৫
আগষ্ট।
৩৮).
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম
কী?
উত্তর:
শেখ
ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
৩৯).
বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন?
তাদের
নাম
কী?
উত্তর:
৫
জন।
তিন
ছেলে
দুই
মেয়ে।
শেখ
হাসিনা,
শেখ
কামাল,
শেখ
রেহানা,
শেখ
জামাল
ও
শেখ
রাসেল
৪০).
বঙ্গবন্ধু জাদুঘর
কোথায়
অবস্থিত?
উত্তর:
ঢাকার
ধানমন্ডির ৩২
নম্বরে।
> শেখ মুজিব ১৯৫২
সালের
১৪
ফেব্রুয়ারি কারাগারে অনশন
শুরু
করেন।
> শেখ
মুজিব
১৯৫৩
সালের
১৬
নভেম্বর আওয়ামী মুস্লিম লীগের
কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারন
সম্পাদক নির্বাচিত হন।
> শেখ
মুজিব
১৯৫৪
সালে
১০
মার্চ
সাধারন
নিরবাচনে ২৩৭টি
আসনের
মধ্যে
যুক্তফ্রন্ট ২২৩
টি
আসন
লাভ
করে।
> শেখ
মুজিব
১৯৫৪
সালের
২
এপ্রিল
যুক্তফ্রন্ট সরকার
গঠন
করা
হয়।
> শেখ
মুজিব
১৯৫৪
সালের
১৪
মে
যুক্তফ্রন্ট সরকারের কনিষ্ঠ
মন্ত্রি হিসেবে
যোগদান
করেন।
> শেখ
মুজিব
১৯৫৫
সালের
৫
জুন
পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য
নির্বাচিত হন।
> শেখ
মুজিব
১৯৫৫
সালের
১৭
জুন
পলতনের
জন
সভায়
পূর্ব
পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবী
করেন।
> ১৯৫৫
সালের
২১
অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম
লীগের
বিশেষ
কাউন্সিল অধিবেশনে ধর্ম
নিরপেক্ষতাকে আদর্শ
হিসেবে
গ্রহন
করে
মুস্লিম শব্দটি
প্রত্যাহার করে
নতুন
নামকরন
করেন
আওয়ামী লীগ।
> ১৯৬৪
সালের
১১
মার্চ
শেখ
মুজিব
এর
নেত্রিত্তে সর্ব
দলীয়
সংগ্রাম পরিষদ
গঠন
করা
হয়।
> ১৯৬৬
সালের
১৮
মার্চ
আওয়ামী লীগ
কাউন্সিল অধিবেশনে ৬
দফা
গ্রিহিত হয়।
> ১৯৬৯
সালের
১৫
ফেব্রুয়ারি ঢাকা
ক্যান্তন ম্যান্তে সার্জেন্ট জহুরুল
হক
কে
হত্যা
করা
হয়।
> ১৯৬৯
সালের
২৩
মার্চ
শেখ
মুজিবকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উপাধি
দেওয়া
হয়।
> ১৯৬৯
সালের
২৫
মার্চ
রাওয়াল পিণ্ডিতে গোল
টেবিল
আলোচনা
ব্যর্থ
হয়ার
পর
আইয়ুব
ইয়াহিয়া খানের
কাছে
ক্ষমতা
হ্যান্ডঅভার করেন।
> ১৯৭১
সালে
২৭
জানুয়ারি জুলফিকার আলী
কয়েক
দফা
আলোচনা
করেন।
> ১৯৭১
সালের
১৩
ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়া বেতার
ভাষণে
জাতীয়
পরিষদের নির্বাচনের আহব্বান করেন।
> ১৯৭১
সালের
১৬
ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের
অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ
মুজিবকে সংসদীয় দলের
নেতা
নির্বাচন করা
হয়।
> ১৯৭১
সালের
৭
মার্চের কালজয়ী ভাষণ
প্রদান
করেন।
> শেখ
মুজিব
১৯৭১
সালে
২৬
মার্চ
বাংলাদেশের সাধিনতা ঘোষণা
করেন।
> ১৯৭১
সালের
২৭
মার্চ
জিয়াউর রহমান
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে
স্বাধীনতা ঘোষণা
করেন।
> শেখ
মুজিবকে ১৯৭১
সালের
২৬
মার্চ
বন্দি
করে
পাকিস্তানে নিয়ে
যান।
> ৮
জানুয়ারি ১৯৭২
পাকিস্তান থেকে
মুক্তি
পেয়ে
পিয়াইয়ের বিমানে
করে
লন্ডন-এ হিথরো বিমান
বন্দরে
অবতরন
করেন
যান।
তখন
ব্রিটেনের প্রধান
মন্ত্রি ছিল
উইলিয়াম অ্যাডওয়াড হিথ।
১০
জানুয়ারি ব্রিটেনের রাজকীয় কমেট
বিমানে
ভারতে
আসেন।
তখন
ভারতের
রাস্ত্রপতি ছিলেন
ভিপি
গিরি।
> ১০
জানুয়ারি ১৯৭২
স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন দিবস।
> ১০
জানুয়ারি রাতে
১৯৭২
রাস্ত্রপতির দায়িত্ত গ্রহন
করেন।
> ১২
জানুয়ারি ১৯৭২
সংসদীয় কাঠামো
প্রবরতন করে
মন্ত্রি পরিষদ
গঠন
করা
হয়।
শেখ
মুজিব
দেশের
প্রধান্মন্ত্রি নিজুক্ত হন।
> ২৬
মার্চ
১৯৭২
শোষণহিন সমাজ
গঠনের
অঙ্গীকার নিয়ে
প্রথম
স্বাধীনতা দিবস
পালন
করা
হয়।
> ১৯৭২
সালের
১০
এপ্রিল
গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু
হয়।
> ১৯৭২
সালের
৪
নভেম্বর গণপরিষদে খসড়া
শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।
> ১৯৭২
সালের
১৬
ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
> ১৬
ডিসেম্বর ১৯৭২
গণপরিষদ বাতিল
করা
হয়।
> নতুন
সংবিধানের আলোকে
৭
মার্চ
১৯৭৩
প্রথম
জাতীয়
সংসদ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০
টি
আসনের
মধ্যে
আওয়ামী লীগ
২৯২
টি
আসন
লাভ
করে।
> ২৩
সেপ্টেম্বর ১৯৭৪
জাতিসঙ্গে বাংলায় প্রথম
ভাষণ
প্রদান
করেন।
> ১৯৭৫
সালের
২৫
জানুয়ারি চতুর্থ
সংশোধনীর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা
শুরু
হয়।
> বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনন্য
ইতিহাস
১৯৬৬
সালের
৫
ফেব্রুয়ারি লাহরে
৬
দফা
প্রস্তাব। কে
এই
প্রস্তাব লিখেন
তা
নিয়ে
তিনটি
মতবাদ
আছে-
এর
একজন
হল
রুহুল
কুদ্দুস, শামসুর
রহমান
খান,
আহম্মেদ ফজলুর
রহমান
সি
এস
পি
অফিসার
এ
টি
লিখে
ব্যাংকার খায়রুল কবিরের
মাধ্যমে শেখ
মুজিবের কাছে
পৌঁছান
হয়।
আরও
একটি
মতবাদ
হল
আইয়ুব
খানের
বিশ্বস্ত আমলা
আলতাব
গওহর
এ
টি
শেখ
মুজিবের হাতে
তুলে
দেন।
> পাকিস্তান আওয়ামী লীগের
সভাপতির নাম
নওয়াব
জাদা
নসরুল্লাহ।
> ১৯৬২
সালের
২৭
এপ্রিল
এ
কে
ফজলুল
হক
মারা
যান।
১৯৬৩
সালের
৫
ডিসেম্বর হোসেন
শহিদ
সোহরাওয়ারদী মারা
যান।
দায়িত্ত চলে
আসে
শেখ
মুজিবের উপর।
শেখ
মুজিব
এই
দিনটি
স্মরণীয় করে
রাখার
জন্য
পুর্ব
বাংলাকে বাংলাদেশ নামকরন
করেন।
> পাকিস্তানের ২৪
বছরের
মধ্যে
শেখ
মুজিব
১২
বছর
জেল
খাটেন।
> ৬
দফা
আন্দোলনকে মুছে
ফেলার
জন্যই
১৯৬৮
সালের
৩
জানুয়ারি শেখ
মুজিবকে প্রধান
আসামি
করে ৩৪জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বনাম
শেখ
মুজিবুর রহমান
এবং
অন্যান্য নামে
মামলা
দায়ের
করা
হয়।
> ১৯৬৮
সালের
১৭
জানুয়ারি শেখ
মুজিব
মুক্তি
পাওয়ার পর
জেল
গেইটে
আবার
আটক
করা
হয়।
> ১৯৬৮
সালের
১৯
জুন
এই
মামলার
বিচার
কাজ
শুরু
হয়
ঢাকা
সেনানিবাসে।
> পাকিস্তান দণ্ড
বিধির
১২১
(ক)
এবং
১৩১
ধারায়
শুনানি
হয়।
> এই
মামলার
বিচার
চলাকালিন সময়ে
২৬
জন
কৌশলী
ছিলেন।
শেখ
মুজিবের প্রধান
কৌশলী
ছিলেন
আব্দুস
সালাম
খান।
একটি
সেশনের
জন্য
ব্রিতেন থেকে
আসেন
আইনজীবী টমাস
উইলিয়াম। তাকে
সাহায্য করেন
তরুণ
ব্যারিস্টার আমিরুল
ইসলাম
ও
মওদুদ
আহমেদ।
> এই
মামলার
১০০
টি
অনুচ্চেদ ছিল।
১১
জন
রাজ
সাক্ষী
ও
২২৭
জন
সাখির
তালিকা
আদালতে
পেশ
করা
হয়।
> এই
মামলার
সরকার
পক্ষের
আইনজীবী ছিলেন
সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রি মঞ্জুর
কাদের,
এম
এর
খান।
বাঙালি
ছিলেন
মুকসুদুল করিম।
> এই
মামলার
প্রতিক্রিয়ায় ৪
জানুয়ারি ১৯৬৯
ছাত্র
সংগ্রাম পরিষদ
গঠন
করা
হয়।
এই
পরিষদ
১১
দফা
ও
৬
দফা
দাবী
আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে
তোলেন।
এই
আন্দলনের ফলে
জান্তা
সরকার
এই
মামলা
প্রত্যাহার করতে
বাধ্য
হয়
এবং
শেখ
মুজিবকে শর্ত
হীন
মুক্তি
দেন।
.
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গুরত্বপূর্ণ কিছু MCQ
১) শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্ম – ১৯২০ সালের ১৭
মার্চ
২) শেখ মুজিবের ৯৯
তম জন্মবার্ষিকী – ১৭ মার্চ ২০১৯
সাল
৩) শেখ মুজিবের গ্রামের
নাম – টুঙ্গিপাড়া
৪) ছোট বেলায় তাঁর
ডাক নাম ছিল – খোকা
৫) ব্ঙ্গবন্ধুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে
যাওয়া নদীর নাম – মধুমতি
৬) বঙ্গবন্ধুর নাম রেখেছিলেন – তাঁর
মাতামহ
৭) অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু
প্রথম সাহস দেখান – ১৯৩৮
সালে ৭মম শ্রেণীতে পড়া
অবস্থায়
৮) বঙ্গবন্ধু আ.লীগের যুগ্ম
সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন – ২১ বছর বয়সে
৯) বঙ্গবন্ধু যে সব পদে
ক্রমান্বয়ে আসীন হন – যুগ্ম
সম্পাদক- সা.সম্পাদক-সভাপতি-রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী
১০) ৬ দফা দাবি
উথপান করেন – শেখ মুজিব,
১৯৬৬ সালে, লাহোরে
১১) মুজিব বর্ষ পালিত
হবে – ২০২০ সালের ১৭
মার্চ টু ২০২১ সালের
২৬ মার্চ পর্যন্ত
১২) বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালিত
হবে – ২০২০ সালে, সরকার
কমিটি গঠন করে – ১০২
সদস্যের
১৩) আর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন
কমিটির সদস্য – ৬১ জন
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা প্রায় চাকরির পরীক্ষাতেই আসেঃ
.
১।
বঙ্গবন্ধু উপাধি
— ২৩ফেব্রু ১৯৬৯সালে। তোফায়েল
আহমেদ রেসকোর্স ময়দানে।
.
২। জাতির
জনক
–৩মার্চ ১৯৭১। আ,
স,
আব্দুর
রব। পল্টন
ময়দানে
.
৩। রাজনীতির
কবি(Poet
of politics)
— ৫ এপ্রিল
১৯৭২
সালে
মার্কিন
সাময়িকী>
‘নিউজ
উইক‘
ম্যাগাজিন
বঙ্গবন্ধুর
উপর
একটি
কভার
স্টোরি
করে।
.
৪। সর্বকালের
শ্রেষ্ঠ
বাঙালি
— ২৬শে মার্চ
২০০৪
বিবিসির
শ্রোতা
জরিপে
২০তম
সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙালির
তালিকায়
স্থান। ১৪এপ্রিল
২০০৮
সর্বকালের
সর্বকালের
শ্রেষ্ঠ
বাঙালি
হিসেবে
প্রকাশ
করা
হয়।
.
৫। পাকিস্তানি
কারাগার
থেকে
মুক্তি
–৮জানু, ১৯৭২।
.
৬। স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন
— ১০জানুয়ারি ১৯৭২।
.
৭।আগরতলা
ষড়যন্ত্র
মামলা
— ২২ ফেব্রু
১৯৬৯।
.
৮। বাঙালির
মুক্তিসনদ
বা
বাঙালির
ম্যাগনাকার্টা
৬দফা
দাবি
পেশ।
— ৫-৬ফেব্রু
১৯৬৬।
..
৯।ছয়
দফা
দিবস
— ৭জুন । কারণ
১৯৬৬
এইদিনে
সালে
শেখ
মুজিবকে
গ্রেফতার
করা
হয়
ও
কারফিউ
জারী
করা
হয়।
.
১০।বাংলাদেশ
-এর
নামকরণ
করেন
— ৫ডি: ১৯৬৯।
.
১১। আওয়ামী
মুসলিম
লীগ
গঠন
— ২৩জুন ১৯৪৯।শেখ
মুজিব
যুগ্ন
সম্পাদক।।মুসলিম
শব্দটি
বাদ
দেয়া
হয়
২২-২৩সেপ্টম্বর,
১৯৫৫। ।
সম্পাদক
হন
১৬নভে:১৯৫৩।
.
১২। শেখ
মুজিব
আওয়ামী
লীগের
সভাপতি
হন
— ১৯৬৬।
.
১৩।বিশেষ
ক্ষমতা
তথা
অস্থায়ী
সংবিধান
জারি
করেন
— ১২ জানু,
১৯৭২।
. ১৪| সুইডিশ
ভাষায়
প্রকাশিত
বঙ্গবন্ধুকে
নিয়ে
লেখা
মহাকাব্যিক
স্বগতসংলাপ(Epic
Monologue)এর
নাম
কী?
®→আমি শেখ
মুজিব।
১৫|
শেখ
মুজিবুর
রহমানকে
কবে’বঙ্গবন্ধু’
উপাধি
দেওয়া
হয়?
®→২৩ ফেব্রুয়ারি
১৯৬৯
খ্রি.
১৬→তখনকার
ডাকসু
ভিপি
তোফায়েল
আহমেদ
এ
উপাধি
দেয়।২০১৯
ছিল
সুবর্ণজয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
শেখ মুজিবের মায়ের নাম-সায়েরা খাতুন।
শেখ মুজিবের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ড, নীলিমা ইব্রাহিম।
শেখ মুজিবের চার বোন দুই ভাই ছিলেন।
শেখ মুজিব ভাই বোন দের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন।
শেখ মুজিবের ডাক নাম খোকা।
শেখ মুজিবের উচ্চতা ছিল ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি।
শেখ মুজিবর বেরি বেরি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।
বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।
বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।
বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।
১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।
বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।
বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬
কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব
ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন
‘ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।
শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।
বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরিচিতি।
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন।
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১০ জানুয়ারি ১৯৭২
বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।
বঙ্গবন্ধু কতদিন কারাবাস ছিলেন?
→মোট ৪৬৮২ দিন।
পূর্ব বাংলার নাম পূর্ব পাকিস্তান হয় কবে?
→২৩ মার্চ ১৯৫৬ সালে।
পূর্ব পাকিস্তানের নাম “বাংলাদেশ” করা হয় কবে?
→৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে।
বঙ্গবন্ধু “বাংলাদেশ” নামটি নিয়েছিলেন?
→রবীন্দ্রনাথের “বাংলাদেশের হৃদয়” নামক কবিতা থেকে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সহ মোট কতজনকে খুন করা হয়?
→২২জন।
বঙ্গবন্ধুর ঘাতক কে?
→মেজর নূর।
বঙ্গবন্ধুর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়?
→১৮টি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় কত জনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়?
→১২জনের।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত কতজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়?
→৫ জনের।
বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিবনগর রাখেন কে.?
→তাজউদ্দিন আহমদ।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয়
কোন স্কুলে?
উত্তরঃ গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তরঃ গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তরঃ ২৪ নম্বর কক্ষে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তরঃ ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তরঃ ১৯৪৬ সালে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তরঃ আইন বিভাগের।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তরঃ ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে
স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।
প্রশ্নঃ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তরঃ যুগ্ম সম্পাদক।
প্রশ্নঃ ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তরঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্নঃ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তরঃ গোপালগঞ্জ আসনে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
প্রশ্নঃ ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম
কী?
উত্তরঃ কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬।
প্রশ্নঃ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ ২৩ মার্চ ১৯৬৬।
প্রশ্নঃ কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তরঃ লাহোর প্রস্তাব।
প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তরঃ তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
প্রশ্নঃ কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তরঃ রেসকোর্স ময়দানে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তরঃ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তরঃ এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
প্রশ্নঃ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তরঃ শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তরঃ ৫ জন। তিন
ছেলে দুই মেয়ে। শেখ
হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।
প্রশ্নঃ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয় কবে?
উত্তরঃ ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সালে
প্রশ্নঃ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তরঃ তোফায়েল আহম্মেদ
প্রশ্নঃ কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তরঃ রেসকোর্স ময়দানে
প্রশ্নঃ ঐতিহাসিক ‘ছয়দফা’ কে ষোষনা করেন?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান
প্রশ্নঃ ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ ৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬
প্রশ্নঃ বিরোধীদলের সম্মেলনে মুজিব কবে ছয়দফা উত্থাপন করেন?
উত্তরঃ ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬
প্রশ্নঃ শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ ২৩ মার্চ ১৯৬৬
প্রশ্নঃ ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তরঃ স্বায়ত্বশাসন
প্রশ্নঃ ‘বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তরঃ ছয়দফা
প্রশ্নঃ পূর্ব পাকিস্থানের নামকরণ “বাংলাদেশ” করা হয় কবে?
উত্তরঃ ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে
প্রশ্নঃ কে বাংলাদেশ নামকরন করেন?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান
প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ ঘোষনা করা হয় কবে?
উত্তরঃ ৩ মার্চ ১৯৭১
প্রশ্নঃ কে শেখ মুজিবকে জাতির জনক ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ আ.স.ম. আব্দুর রব
প্রশ্নঃ শেখ মুজিব কে জাতির জনক ঘোষনা করা হয় কোথায়?
উত্তরঃ পল্টন ময়দানে
প্রশ্নঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় কবে?
উত্তরঃ ৩ জানুয়ারী ১৯৬৮
প্রশ্নঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তরঃ রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।
প্রশ্নঃ আগরতলা মামলার মোট আসামী কতজন ছিল?
উত্তরঃ ৩৫ জন (শেখ মুজিব সহ)
প্রশ্নঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী কে ছিল?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান
প্রশ্নঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কি নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তরঃ রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য।
প্রশ্নঃ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ——————————–
১। বঙ্গবন্ধু উপাধি> ২৩ফেব্রু ১৯৬৯সালে। তোফায়েল আহমেদ। রেসকোর্স ময়দানে।
২। জাতির জনক> ৩মার্চ
১৯৭১। আ, স, আব্দুর
রব। পল্টন ময়দানে
৩। রাজনীতির কবি(Poet of politics) > ৫ এপ্রিল ১৯৭২
সালে মার্কিন সাময়িকী> ‘নিউজ উইক‘ ম্যাগাজিন
বঙ্গবন্ধুর উপর একটি কভার
স্টোরি করে।
৪। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি >> ২৬শে মার্চ ২০০৪
বিবিসির শ্রোতা জরিপে ২০তম
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় স্থান। ১৪এপ্রিল ২০০৮
সর্বকালের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে প্রকাশ
করা হয়।
৫। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি>৮জানু,
১৯৭২।
৬। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন >>> ১০জানুয়ারি ১৯৭২।
৭।আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার > ২২
ফেব্রু ১৯৬৯।
৮। বাঙালির মুক্তিসনদ বা বাঙালির ম্যাগনাকার্টা
৬দফা দাবি পেশ।> ৫-৬ফেব্রু ১৯৬৬।
৯।ছয় দফা দিবস> ৭জুন
। কারণ
১৯৬৬ এইদিনে সালে শেখ
মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় ও
কারফিউ জারী করা হয়।
১০।বাংলাদেশ -এর নামকরণ করেন>
৫ডি: ১৯৬৯।
১১। আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন
>> ২৩জুন ১৯৪৯।শেখ মুজিব যুগ্ন সম্পাদক।।মুসলিম
শব্দটি বাদ দেয়া হয়
২২-২৩সেপ্টম্বর,১৯৫৫। ।
সম্পাদক হন ১৬নভে:১৯৫৩।
১২। শেখ মুজিব আওয়ামী
লীগের সভাপতি হন> ১৯৬৬।
১৩।বিশেষ ক্ষমতা তথা অস্থায়ী
সংবিধান জারি করেন ১২
জানু, ১৯৭২।
/
১৯৭১
সালে
বঙ্গবন্ধু
যে
উপাধিগুলো
পানঃ
………………………………………….
১।৩মার্চ পল্টন ময়দানে “স্বাধীন
বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ” কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে
ওনাকে জাতির জনক ও
বাংলাদশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
২।এপ্রিল মাসে “নিউজ উইক” ম্যাগাজিন
ওনাকে “Poet of
Politics” (রাজনীতির
কবি) বলে আখ্যায়িত করে।
৩।মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডে ওনার উপাধি ছিল
“সুপ্রিম কমান্ডার অব দি আর্মড
ফোর্সেস”।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
(১) ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
(২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
(৩) বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
৪) বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।
(৫) বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে। (৬) বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
(৭) বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।
(৮) বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
(৯) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।
(১০) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
(১১) বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।
(১২) ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।
(১৩) ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।
(১৪) যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।
১৫) বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
(১৬) ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।
(১৭) বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
(১৮) আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।
(১৯) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬
(২০) কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব
(২১) ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন
(২২) ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।
(২৩) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।
(২৪) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।
(২৫) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
(২৬) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
(২৭) কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।
(২৮) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।
(২৯) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরি চিতি।
(৩০) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
(৩১) বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
(৩২) ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।
(৩৩) বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।
(৩৪) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।
(৩৫) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
(৩৬) বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
(৩৭) বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
(৩৮) বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
(৩৯) বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল
(৪০) বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।
(৪১)২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা কি ছিল বা তিনি কোথায় ছিলেন?
144 ভঙ্গকরলে তাঁকে জেলে যেতে হয়।
৪২)বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো
–অপারেশন বিগ বার্ড’ এর মাধ্যমে ।’
(৪৩)বঙ্গবন্ধুকে কতবার গ্রেফতার করা হয়?
কোথাও ১৯ বার আবার কোথাও ২২ বার দেয়া আছে।১ম ১৯৩৮ সালে। /
৪৪)প্রশ্ন : জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতবার গ্রেফতার হন?
১৯৩৮ সালে মার্চ- এপ্রিল প্রথম জেল হয় ৭ দিনের জন্যে (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)
১.১১ ই মার্চ১৯৪৮ শেখ মুজিব প্রথম গ্রেফতার হন।
২.১৪ ই অক্টোবর ১৯৪৯ শেখ মুজিব ২য় বার গ্রেফতার হন।
৩.১১ ই অক্টোবর ১৯৫৮ শেখ মুজিব ৩য় বার গ্রেফতার হন।
৪.৬ ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬২ শেখ মুজিব ৪র্থ বার গ্রেফতার হন।
৫.১৮ই জানুয়ারি ১৯৬৮ শেখ মুজিব ৫ম বার গ্রেফতার হন।
৬.২৬ মার্চ ১৯৭১ শেখ মুজিব ষষ্ঠ বার গ্রেফতার হন।
–
এগুলো উল্লেখ যোগ্য । এছাড়াও অসংখ্যবার তিনি গ্রেফতার হন । কোথাও কোথাও ৩১বারের উল্লেখ আছে।
/
৪৫)1971 মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথায় ছিল?
— প্রথমে প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন এর বাড়িতে, এরপর মগবাজার এ জনৈক মহিলার ফ্লাটে এবং সবশেষে ১৮ নম্বর রোডে…
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভায় ২ জন নারী মন্ত্রী ছিলেন,,,,,
১. বদরুন নেছা আহমেদ- শিল্প প্রতিমন্ত্রী
২.বেগম নুরজাহান মোশের্দ – শ্রম প্রতিমন্ত্রী
৪৬)বঙ্গবন্ধু কত তারিখে শহীদ হন?
–
ইংরেজি ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫
বাংলা ২৯ শ্রাবণ ১৩৮২
আরবি ৮ শাবান ১৩৯৫
সেদিন শুক্রবার ছিল।
৪৭) প্রশ্ন:১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট মোট কতজন নিহত হন?
—-পরিবারের সদস্য ১৬ জন (বঙ্গবন্ধু সহ) । আর নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন। মোট ১৭ জন
————
বঙ্গবন্ধুর
হত্যা
মামলার
পলাতক
আসামী
ও
বর্তমান
অবস্থান
:
১. কর্নেল ( অব) খন্দকার রশীদ
= লিবিয়া
২. লে. কর্নেল ( অব)
শরিফুল হক ডালিম = কানাডা
৩. লে. কর্নেল এম
এ রাশেদ চৌধুরী = দক্ষিণ
আফ্রিকা
৪. মেজর ( অব) নুর
চৌধুরী = USA
৫. রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিন = USA
৬. ক্যাপ্টেন ( অব) আবদুল মাজেদ
= কেনিয়া।
৪৮)কেন শেখ মুজিবকে ১৯৭২সালে
শান্তিতে জুলিও কুরি পুরস্কার
দেওয়া হয় ?
.
-বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির
পিতাকে ১৯৭২ সালে ১০
অক্টোবর জুলিও কুরি শান্তি
পদকে ভূষিত করে।
=================
বঙ্গবন্ধুর
>> নিউক্লিয়াস
———————-
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি
জন্য বঙ্গবন্ধু ভিতরে ভিতরে ১৯৬২সালে
তাঁর অনুগত কিছু ছাত্রনেতাদের
নিয়ে েএকটি সংগঠন গোপনে
প্রতিষ্ঠা যাকে নিউক্লিয়াস বলে
। ছাত্রদের
নেতাদের মধ্যে ছিলেন
১. সিরাজুল আলম খান
২. তোফায়েল আহমেদ
৩. ফজলুল হক মনি
৪.আব্দুর রাজ্জাক
৫.কাজী আরিফ
৬.মনিরুল ইসলাম (মার্শাল
মনি) ও আরো কয়েকজন
।
বঙ্গবন্ধু নিউক্লিয়াসের সদস্যদের নিজের সন্তানদের মতোই
আদর করতেন ।
নিউক্লিয়াসের প্রচেষ্টায় ১৯৬৪সালে বাংলাদেশ স্বাধীন করার কথা প্রচারে
আসে। িএবং স্লোগান আসে
বীর বাঙালি অস্ত্র ধর
, বাংলাদেশ স্বাধীন কর ।
..
বঙ্গবন্ধুর
>>>>> ৪খলিফা
———————————-
নিউক্লিয়াসের কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার জন্য
৪জন ছাত্রনেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তারা
হলেন
১. তত্কালীন ছাত্রলীগের সভাপতি >>> নূর আলম সিদ্দিকী
২. তত্কালীন ছাত্রলীগের সা. সম্পাদক >>>শাহাজান সিরাজ
৩. ঢা.বি ছাত্রসংসদের
নির্বাচিত ভিপি >>> আ, স. ম
, আব্দুর রব
৪. ঢা.বি ছাত্রসংসদের
নির্বাচিত জি, এস >>>আব্দুল
কুদ্দুস মাখন
.
.
মুজিব
ব্যাটারি
.————-
স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের নামানুসারে ১৯৭১সালের ২২জুলাই ভারতের কোনাবনে গঠন
করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
প্রথম গোলন্দাজ ইউনিট ‘মুজিব ব্যাটারি‘
।
.
.
মুজিব
বাহিনী
.
————————–
১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু ছাত্রদের
নিয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনীকে বলা
হয় মুজিব বাহিনী
.
===================..
বঙ্গবন্ধুকে
নিয়ে
রচিত
বই:
১. শেখ মুজিব আমার
পিতা = প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২. মুজিব ভাই = এবিএম
মুসা
৩. বঙ্গবন্ধুর সহজ পাঠ = আতিয়ার
রহমান
৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ও বাঙালী = কামাল উদ্দিন আহমেদ
৫. দেয়াল ( উপন্যাস) = হুমায়ুন আহমেদ
৬. বঙ্গবন্ধু জাতি রাষ্টের জনক
= প্রত্যয় জসিম
৭. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান =সিরাজ উদদীন
আহমেদ
8. অসমাপ্ত আত্মজীবনী
৯. জনকের মুখ (গল্পগ্রন্থ)
———————————–
/
অসমা্প্ত
আত্মজীবনী
অনুবাদ
. ,=================
১। চীনা ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত
আত্মজীবনী’’ গ্রন্থটির অনুবাদক >>> চাই সি
২। জাপানী ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত
আত্মজীবনী’’ গ্রন্থটির অনুবাদক >>> কাজুহিরো ওয়াতানাবে
৩। ইংরেজি ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত
আত্মজীবনী’’ গ্রন্থটির অনুবাদক >>> ফকরুল আলম
৪।আরবিতে অনুবাদ করেন প্রফেসর
ড. আবু রেজা মুহাম্মদ
নেজামুদ্দিন নদভী, এম পি
৫। হিন্দি (প্রস্তাবিত
৬। স্প্যানিশ((প্রস্তাবিত
—————————
“অসমাপ্ত আত্নজীবনী” সম্পর্কে কিছু তথ্য।
♦বইয়ের
নামঃ
বাংলায় – অসমাপ্ত আত্নজীবনী।
ইংরেজীতে- Unfinished
Memoirs.
♦প্রথম
প্রকাশঃ ২০১২।
♦প্রকাশকঃ
মহিউদ্দিন আহমেদ, দি ইউনিভার্সিটি
প্রেস লিমিটেড।
♦প্রচ্ছদঃ
সমর মজুমদার।
♦কম্পিউটার
ফরমেটিং: মোঃ নাজমুল হক।
♦কনসাল্টিং
এডিটরঃ বদিউদ্দিন নাজির।
♦কম্পিউটার
গ্রাফিক্স ও স্ক্যানঃ ধনেশ্বর
দাশ চম্পক।
♦গ্রন্থস্বত্বঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট
২০১২।
♦পৃষ্ঠাঃ
৩২৯।
♦মূল্যঃ
৫২৫ টাকা।
♦রচনাকালঃ
১৯৬৬ – ৬৯।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায়।গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত
ওনার আত্নজীবনী লিখেছেন।
♦আত্নজীবনীটি
প্রকাশে যাঁরা নিরলসভাবে কাজ
করেছেনঃ
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, আবদুর
রহমান রমা, মনিরুন নেছা,
ইতিহাসবিদ প্রফেসর এ এফ সালাহউদ্দীন
আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর শামসুল হুদা হারুন,
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বেবী মওদুদ।
♦ভূমিকা
লিখেনঃ
শেখ হাসিনা।প্রথমবার ২০০৭ সালে কারাবন্দী
অবস্থায়, পরবর্তিতে ২০১০ সালে গণভবন
থেকে।
♦বইটির
প্রথম লাইনঃ “বন্ধুবান্ধবরা বলে তোমার জীবনী
লেখ”।
♦শেষ
লাইনঃ “তাতেই আমাদের হয়ে
গেল”।
♦বঙ্গবন্ধুর
লেখা আত্নজীবনীর ৪ খানা খাতা
শেখ হাসিনার হাতে আসেঃ
বঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়াণের ২৯ বছর পর
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট
আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ
গ্রেনেড হামলার পর পরই।
♦বঙ্গবন্ধু
ওনার বাংলার মানুষদের একটি
বিশেষণে বিশেষায়িত করতেন, সেটি হলঃ
“দুঃখী মানুষ”।
♦অনুবাদঃ
বইটি ইতোমধ্যে ৪ টি ভাষায়
অনুদিত হয়েছে।এগুলো হল–
১।ইংরেজী। অনুবাদক – মোঃফকরুল আলম।
২।জাপানি।অনুবাদক – কাজুহিরো ওয়াতানাবে।
৩।আরবী। অনুবাদক – প্রফেসর ড. আবু রেজা
মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
৪।চীনা।অনুবাদক – চাই সি।
এছাড়াও খুব শিঘ্রই হিন্দী
ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুদিত হবে।
♦বইটিতে
যা
আছেঃ
আত্নজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, বংশ
পরিচয়, শৈশব, শিক্ষাজীবন, দুর্ভিক্ষ,
বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা,
দেশভাগ, প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও
মুসলিম লীগের রাজনীতি, কেন্দ্রীয়
ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অপশাসন,
ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের
প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট সরকার, আদমজীর দাঙ্গা,
পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন।এছাড়াও আছে লেখকের কারাজীবন,
পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি
ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা।
♦বঙ্গবন্ধুকে
বলা ওনার পিতার উক্তিঃ
“Sincerity of purpose and honesty of purpose”.
♦বঙ্গবন্ধুর
মা শেরে বাংলাকে উদ্দেশ্য
করে ওনাকে বলেনঃ
“বাবা যাহাই কর, হক
সাহেবের বিরুদ্বে বলিও না”।
♦শেরে
বাংলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর উপলব্ধিঃ “শেরে বাংলা মিছামিছিই
শেরে বাংলা হন নাই।বাংলার
মাটি ও তাঁকে ভালবেসে
ফেলেছিল।যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে
কিছু বলতে গেছি, তখনই
বাধা পেয়েছি”।
♦বঙ্গবন্ধু
শেরে বাংলাকে নানা বলে ডাকতেন।বঙ্গবন্ধু
সম্পর্কে শেরে বাংলার উক্তিঃ
“আমি বুড়া আর মুজিব
গুড়া, তাই ওর আমি
নানা ও আমার নাতি”।
♦হোসেন
শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে উদ্দ্যেশ্য করে বঙ্গবন্ধুর অভিমানী
উক্তিঃ
“If I am nobody, then why have you invited me? You have no right to insult
me.I will prove that I am somebody. Thank you sir. I will never come to you
again”.
♦বঙ্গবন্ধু
শেখ হাসিনা কে ডাকতেনঃ
হাচু।
♦পূর্ব
পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনের
সময় অলি আহাদের প্রস্তাব
ছিল, এর নামকরন “পূর্ব
পাকিস্তান ছাত্রলীগ” করা হোক।
♦যাদের
গান শুনে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ
হয়েছিলেনঃ
আব্বাসউদ্দিন আহমেদ, সোহরাব হোসেন,
বেদারউদ্দিন সাহেব।
♦দার্শনিক
বঙ্গবন্ধুঃ
১।একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র
মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি।একজন
বাঙালি হিসাবে যা কিছু
বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই
আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।এই নিরন্তর সম্পৃিক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয়
ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার
রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ
করে তোলে।
২।রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা
বিচারে বন্দি করে রাখা
আর তার আত্বীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের
কাছ থেকে দূরে রাখা
যে কত বড় জঘন্য
কাজ তা কে বুঝবে?
মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে
যায়।
♦বইটির
এমন একটি ঘটনা বলুন,
যা আপনাকে প্রবলভাবে নাড়া
দেয়ঃ
(নিজের ভাষায়, এর উত্তরে
আপনার নিজের যে অংশ
ভালো লেগেছে তাই ই
বলবেন)
নমুনাঃ
১।বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন
মানুষ, যাঁকে কোন বিশেষণে
বিশেষায়িত করার মত শব্দভাণ্ডার
আমার নেই।বঙ্গবন্ধু ওনার নিজের আত্নজীবনী
লিখতে গিয়ে নিজেকে নয়
বরং অন্যদেরকেই নায়ক করে তুলেছেন।যেমনঃ
শেরে বাংলা আবুল কাসেম
ফজলুল হকের জনপ্রিয়তাকে তিনি
স্পষ্টভাবে বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।বঙ্গবন্ধু
নির্ধিদ্বায় লিখেছেনঃ একদিন আমার মনে
আছে একটা সভা করছিলাম
আমার নিজের ইউনিয়নে, হক
সাহেব কেন লীগ ত্যাগ
করলেন, কেন পাকিস্তান চান
না এখন? কেন তিঁনি
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা
গঠন করছেন? এই সমস্ত
আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধলোক
যিনি আমার দাদার খুব
ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল
সময়ই আসতেন, আমাদের বংশের
সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন—-
দাড়িয়ে বললেন, যাহা কিছু
বলার বলেন, হক সাহেবের
বিরুদ্বে কিছুই বলবেন না।তিঁনি
যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও
চাইনা। জিন্নাহ কে? তার নামও
তো শুনি নাই। আমাদের
গরিবের বন্ধু হক সাহেব।বঙ্গবন্ধু
একজন সাদা মনের মানুষ
ছিলেন বিধায় তিঁনি লিখেছেন,
শুধু এইটুকু না, যখনই
হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে
গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদেরকে
মারপিট করেছে।অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে
পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি,
মার খেয়ে।
২।১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু ওনার
গৃহশিক্ষক আবদুল হামিদ এম
এস সি এর উদ্বোগে
মুসলমানবাড়ি থেকে প্রত্যেক রবিবার
মুষ্ঠি ভিক্ষার চাল ওঠাতেন।এই চাল
বিক্রি করে তিনি গরিব
ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার
ও অন্যান্য খরচ দিতেন।
===============================
বঙ্গবন্ধুর সাফল্য গাঁথা
———————————
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
বাংলাদেশ নামে এই মানচিত্রের
স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বপ্নের রূপকার। এই একটি সাফল্যই
যথেষ্ট বঙ্গবন্ধুর অমরত্বের জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু
কেবল জাতির জনক ছিলেন
না। এই রাষ্ট্র বির্নিমানে
ধাপে ধাপে রয়েছে তার
বিচক্ষনতা, প্রজ্ঞা ও মেধা। বঙ্গবন্ধুর
সাফল্য গাঁথা লিখে শেষ
করবার মতো নয়। তারপরও
তার উল্লেখযোগ্য কিছু সাফল্যের শিরোনাম
এখানে উল্লেখ করা হলো-
● অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুরোধা পুরুষ ছিলেন
বঙ্গবন্ধু। ১৯৫৫ সালের ২১
অক্টোবর আওয়ামলী মুসলীম লীগ থেকে
তিনি মুসলিম শব্দ বাদ
দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ‘আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করেন।
● বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার
প্রণেতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের
প্রবজ্ঞা পুরুষ।
● মুক্তিযুদ্ধের সফল রূপকার। তাঁর
৭ই মার্চের ভাষনই ছিলো গেরিলা
যুদ্ধের কৌশল।
● একটি দেশ স্বাধীন হবার
মাত্র ৫০ দিনের মাথায়
সে দেশ থেকে বিদেশী
সৈন্য প্রত্যাহার ছিলো একটি বিস্ময়কর
ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞায় এবং দৃঢ় নেতৃত্বের
কারণেই ১৯৭২ এর ১২
মার্চ ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু
হয়।
● বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের
মধ্যে জাতিকে একটি আধুনিক,
গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দেন। ১৯৭২
এর ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান
কার্যকর হয়।
● ক্ষমতায় আসার মাত্র এক
বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রথম
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
● বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে একটি গণমুখী শিক্ষানীতি
প্রণয়নের উদ্যেগ নেন। এলক্ষ্যে
১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই
ড: মুহাম্মদ কুদরত-এ-খুদাকে
সভাপতি করে একটি শিক্ষা
কমিশন গঠন করেন। কমিশন
১৯৭৪ সালের মে মাসে
পূর্ণাঙ্গ রির্পোট পেশ করে।
● জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে নেয়া
হয়েছিল ব্যাপক কর্মসূচী। এর
মধ্যে ছিলো ৪০ হাজার
শক্তি চালিত লো লিফট
পাম্প ২৯০০টি গভীর নলকূপ
ও ৩০০০ অগভীর নলকূপ।
১৯৭২ সালের মধ্যেই জরুরী
ভিত্তিতে বিনামূল্যে ১৬,১২৫ টন
ধান বীজ, ৪৫৪ টন
পাট বীজ এবং ১০৩৭
টন গম বীজ সরবরাহ
করা হয়। ২৫ বিঘা
পর্যন্ত জমির খাজনা চিরতরে
রহিত করা হয়।
● যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে শিল্প কারখানা
রক্ষায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬শে
মার্চ জাতীয়করণ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এর
ফলে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেমে
শিল্প-কলকারখানা আবার চালু হয়।
ব্যাংক, বীমা জাতীয়করনের ফলে
গতি সঞ্চারিত হয়।
● প্রথম বাজেটে জনগনের উপর
কোন কর আরোপ করা
হয়নি।
● বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পূণ:গঠন করেন।
সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষনের জন্য বাংলাদেশ মিলিটারী
একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন।
● বঙ্গবন্ধু সিভিল প্রশাসন পূণ:
গঠন করেন।
● বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে প্রথম এক বছরেই
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ২৮৭টি সেতুর মধ্যে
২৬২টি ২৭৪টি সড়ক সেতুর
মধ্যে ১৭০টির মেরামত শেষ
হয়। দশ কোটি টাকা
ব্যয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূণ:
নির্মাণ করা।
● বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৪২টি দেশের
স্বীকৃতি আদায় করেন। জোট
নিরপেক্ষ আন্দোলন, জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ এবং ওআইসির সদস্য
লাভ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু
প্রথম বাঙালি যিনি একটি
দেশের সরকার প্রধান হিসেবে
জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ
দেন।
./
ছয়
দফা
সম্পর্কিতঃ
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬- লাহোরে বিরোধী
দলসমুহের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু
কর্তৃক ছয় দফা পেশ।
২৩ মার্চ- ছয় দফার
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
৭ জুন- ঐতিহাসিক ছয়
দফা দিবস। কারণ 7 জুন
ছয় দফা দাবিতে মনু
নিয়া সহ ১১ জন
শহীদ হন। তাই ৭
জুন ছয় দফা দাবি
দিবস।
5 February দাবি পেশ, 8 May মুজিবকে গ্রেফতার করে, 7 Jun কিশোর মনু মিয়া
সহ ১১ জন শহীদ
হন।।।।।
. ছয় দফা দাবি- >
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ
। ব্রিটিশ
শাসনতন্ত্রের বাইবেলের সাথে তুলনা করা
হয় ।
————————
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত
যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান ছিল
সম্পূর্ণ অরক্ষিত। নিরাপত্তাহীনতাবোধ এ অঞ্চলের জনগণের
কাছে স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে আরো প্রাসঙ্গিক
করে তোলে। এ প্রেক্ষাপটে
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি
যুদ্ধ-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য লাহোরে পাকিস্তানের
রাজনৈতিক দলগুলোর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু লাহোরের সম্মেলনে তাঁর ছয় দফা
দাবি উত্থাপন করেন। সংক্ষেপে দাবিগুলো
হলো-
১. ১৯৪০ সালের লাহোর
প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানে ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে
হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু প্রতিরক্ষা
ও বৈদেশিক বিষয় থাকবে, অবশিষ্ট
বিষয়গুলো থাকবে ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর
হাতে।
৩. দুটি পরস্পর বিনিময়যোগ্য
মুদ্রা বা পূর্ব পাকিস্তানের
জন্য পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ
একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে।
৪. ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে থাকবে কর
ধার্যের ক্ষমতা, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের
ব্যয় নির্বাহের জন্য করের একটা
নির্ধারিত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয়
তহবিল গঠিত হবে।
৫. বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও
বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয়ে ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর
পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
৬. প্রদেশগুলোর জন্য আধাসামরিক বাহিনী
বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী থাকতে হবে।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র অনুযায়ী কত তারিখ পর্যন্ত
দেশ পরিচালিত হয়?
২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে
১০ মার্চ, ১৯৭২ পর্যন্ত
বলবৎ ছিল। ১৯৭২ এর
১১ মার্চ Provisional Constitution
of Bangladesh Order 1972 জারী
করা হয়।
স্বধীনতার ঘোষনাপত্র কবে জারি হয়
?
স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র= কার্যকর
ঃ ২৬ মার্চ ৭১,
জারিঃ ১০ এপ্রিল ৭১,
গৃহীত ঃ ১৭ এপ্রিল
১৯৭১
.
স্বাধনীতার
ঘোষণা
.
This may be my last massage,from today Bangladesh is independent.I call upon
the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have,to
resist the army of occupation to the last.Your fight must go on until the last
soldier of Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and
final victory is achieved.
===================
তোফায়েল
আহমেদের
কী
অধিকার
ছিল
শেখ
মুজিবুর
রহমানকে
“বঙ্গবন্ধু”
উপাধি
দেওয়ার?
যখন তিনি শেখ মুজিবুর
রহমানকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি দেন তখন
তিনি ডাকসুর ভিপি হিসেবে
সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন ।
. তোফায়েল তখন প্রধান কয়েকজন
ছাত্রনেতার একজন ছিলেন। তখন
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি বেশিরভাগই পালন করে থাকত
ছাত্রসমাজ। সুতরাং, আমার মনে হয়
একজন প্রথম সারীর ছাত্র
নেতা হিসেবে তোফায়েলের সে
অধিকার ছিল।
Discussion about this post