👉বাংলা
ভাষা ও লিপি
বাংলা ভাষার আদি উৎস
“ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা”।
এর দুটি অংশ। ১)
কেন্তুম ও ২) শতম।
বাংলা ভষার উৎপত্তি কেন্তুম
অংশ থেকে। ড.শহীদুল্লাহ
এর মতে বাংলা ভাষার
উৎপত্তি গৌড়ীয় প্রাকৃত খ্রিস্টীয়
সপ্তম শতাব্দী থেকে। ড.সুনীতিকুমা
চট্রোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার
উৎপত্তি মাগধী প্রাকৃত থেকে
খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী থেকে।
প্রাচীন ভারতীয় লিপি ২
ভাগে বিভক্ত। ১) ব্রাহ্মী লিপি
২) খরোষ্ঠী লিপি। বাংলা ভাষার
উৎপত্তি ব্রাহ্মী লিপি থেকে।
👉বাংলা
সাহিত্য
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস হাজার বছরের
ইতিহাস
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস হাজার বছরের
অধিক কালের ইতিহাস
এই হাজার বছরের অধিক
কালের ইতিহাস কে প্রধানতঃ
৩ ভাগে ভাগ করা
হয়েছে।
১. প্রাচীন যুগ, ২. মধ্যযুগ
৩. আধুনিক যুগ
১.
প্রাচীন
যুগঃ
(৬৫০/৯৫০
– ১২০০
খ্রী)
শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী
– ড:মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ড:মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা সাহিত্যের
প্রাচীন যুগে (৬৫০-১২০০
খ্রীঃ / সপ্তম শতাব্দী থেকে
দ্বাদশ শতাব্দী) প্রায় ৫৫০ বছর
ড:সুনীতিকুমার চট্রোপধ্যায়ের মতে বাংলা সাহিত্যের
প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০
খ্রীঃ / দশম শতাব্দী থেকে
দ্বাদশ শতাব্দী) প্রায় ২৫০ বছর।
প্রাচীন যুগের একমাত্র সাহিত্যের
নিদর্শন – চর্যাপদ।
অন্ধকার
যুগঃ
(১২০১-১৩৫০
খ্রী.)
অন্ধকার যুগ এমন একটি
যুগ যে যুগে বাংলা
সাহিত্যের কোনও নিদর্শন পাওয়া
যায়নি
অন্ধকার যুগ সৃষ্টি করার
জন্য দায়ী করা হইছে
তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন বিন মোহাম্মদ
বখতিয়ার খিলজী।
তিনি ১২০১ সালে মতান্তরে
১২০৪ সালে হিন্দু সর্বশেষ
রাজা লক্ষণ সেন কে
পরাজিত করে এ অঞ্চলে
মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
অন্ধকার যুগে বাংলা সাহিত্যের
কোনও নিদর্শন না মেললেও সংস্কৃত
সাহিত্যের নিদর্শন মেলে। যেমনঃ
১/ রামাই পন্ডিতের “শূণ্যপুরাণ”
২/ হলায়ূধ মিশ্রের “সেক
শুভোদয়া”
👉মধ্যযুগের বেশ
কিছু
কাব্যঃ
১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, ২. বৈষ্ণপদাবলী,
৩. মঙ্গলকাব্য, ৪. রোমান্টিক কাব্য
৫. আরাকান রাজসভায় বাংলা
সাহিত্য, ৬. পুঁথি সাহিত্য,
৭. অনুবাদ সাহিত্য
৮. জীবনী সাহিত্য, ৯.
লোকসাহিত্য, ১০. মর্সিয়া সাহিত্য,
১১. করিয়ালা ও শায়ের
১২. ডাক ও খনার
বচন, ১৩. নথিসাহিত্য
মধ্যযুগে
অন্য
সাহিত্যের
কিছু
নমুনা
পাওয়া
যায়ঃ
১. পত্র ২. দলিল
দস্তাবেজ, ৩. আইন গ্রন্থের
অনুবাদ
তবে এগুলো সাহিত্যের মানে
উত্তীর্ণ হতে পারে নি।
মধ্যযুগে মুসলিম কবিগণ রচনা
করেন রোমান্টিক কাব্য
পক্ষান্তরে হিন্দুধর্মাবলী কবিগণ রচনা করেন
দেব দেবী নির্ভর আখ্যান
/ কাহিনী কাব্য।
মধ্যযুগে সতের শতকে বাংলার
বাইরে আরাকান রাজসভায় বাংলাভাষা
ও সাহিত্যের চর্চা হয়।
মধ্যযুগে দুটো বিরাম চিহ্ন
ছিল
বিজোড় সংখ্যক লাইনের পর
এক দাড়ি
জোড় সংখ্যক লাইনের পর
দুই দাড়ি
[১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র মারা যাবার পর মধ্যযুগের সমাপ্তি হয় … প্রশ্ন উঠতে পারে ভারত চন্দ্র মারা যাবার সাথে সাথে মধ্যযুগের পতনের কি সম্পর্ক? ভারতচন্দ্র মারা যাবার পর মধ্যযুগের সমাপ্তি হয় কারণ মঙ্গলকাব্যের চারশ বছরের কাব্যধারার সমাপ্তি … কিন্তু এই কারনের সাথে আরও একটা কারণ জড়িত … রাজনৈতিক ভাবেও এই এলাকার পটভূমি পরিবর্তন হতে থাকে। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার মধ্যদিয়ে ইংরেজ তথা বৃটিশদের শাসন হয় তখন সাহিত্যের আবির্ভাব হয় যা আধুনিক সাহিত্য ধারার প্রবর্তন করার অন্যতম কারণ]
👉যুগসন্ধিক্ষণঃ
(১৭৬১-১৮৬০
খ্রী.)
যুগসন্ধিক্ষণ মানে দুই যুগের
মিলন
যুগ সন্ধিক্ষণ এমন একটি যুগ
যে যুগে মধ্য যুগ
এবং আধুনিক যুগের মিশ্র
বৈশিষ্ট পাওয়া যায়।
যুগসন্ধিক্ষণের কবি ইশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ইশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে স্ববিরোধী কবি ও বলা
হয়েছে।
[স্ববিরোধী বলার কারণঃ প্রথমদিকে তিনি ইংরেজদের শাসনের বিরুদ্ধে লেখলেও শেষের দিকে তার কাব্যে ইংরেজদের শাসনের প্রশংসা করেছেন]
👉আধুনিক
যুগঃ
(১৮০১-বর্তমান)
আধুনিক যুগকে দু ভাগে
ভাগ করা যায়
১. উন্মেষ পর্ব (১৮০১-১৮৬০ খ্রী.)
২. বিকাশ পর্ব (১৮৬১
– বর্তমান)
গদ্য সাহিত্য হচ্ছে আধুনিক যুগের
সৃষ্টি
১. গল্প ২. উপন্যাস
৩. নাটক ৪. প্রহসন
৫. প্রবন্ধ
👉প্রাচীন
যুগের সাহিত্যের একমাত্র বৈশিষ্ট্য ছিল – ব্যাক্তি
মধ্য যুগের সাহিত্যের প্রধান
বৈশিষ্ট্য ছিল – ধর্ম
আধুনিক যুগে সাহিত্যের প্রধান
বৈশিষ্ট্য ছিল – মানবিকতা / মানবতাবাদ
/ মানুষ
সবচেয়ে বেশী সমৃদ্ধ / সমাদৃত
– ১. কাব্য (গীতিকাব্য), ২.
উপন্যাস, ৩. ছোটগল্প
👉চর্যাপদঃ
বাংলাদেশের আদি সাহিত্য চর্যাপদ
যা হাজার বছর আগে
রচিত হয়েছে এবং হাজার
বছর পর আবিষ্কৃত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যর একমাত্র আদি নিদর্শন চর্যাপদ
চর্যাপদ হচ্ছে কবিতা / গানের
সংকলন
চর্যাপদ হচ্ছে বৌদ্ধ সহজিয়া
ধর্মের সাধনতত্ব
চর্যাপদ হচ্ছে পাল ও
সেন আমলে রচিত
👉চর্যাপদ
রচনার
প্রেক্ষাপটঃ
১৮৮২ সালে রাজা রাজেন্দ্র্লালমিত্র
কিছু পুঁথি সাহিত্যের পরিচয়
দিয়ে The Sanskrit
Buddhist Literature in Nepal
এই গ্রন্থটি পাঠ করে সবচেয়ে
বেশী উৎসাহিত হন যার উপাধি
মহামহোপধ্যায়
যিনি পরবর্তী কালে ১৯২১ সালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা
চেয়ারম্যান
তিনি ১৯০৭ সালে ২য়
বারের মত নেপাল গমন
করেন
নেপালের রয়েল লাইব্রেরী থেকে
একসঙ্গে ৪ টি গ্রন্থ
আবিষ্কার করেন।
এর একটি হচ্ছে চর্যাপদ
বাকী ৩ টি হচ্ছে
অপভ্রংশ ভাষায় রচিত
১. সরহপদের দোহা
২. কৃষ্ণপদের দোহা
৩. ডাকার্ণব
উল্লেখিত ৪ টি গ্রন্থ
একসঙ্গে কলিকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ
থেকে প্রকাশিত হয়
১৯১৬ সালে তখন চারটি
গ্রন্থের একসংগের নাম দেওয়া হয়
হাজার বছরের পুরোনো বাঙ্গালা
ভাষার বৌদ্ধ গান ও
দোহা
এটি প্রকাশিত হবার পর পালি
সংস্কৃত সহ বিভিন্ন ভাষাবিদ
রা চর্যাপদকে নিজ নিজ ভাষার
আদি নিদর্শন বলে দাবী করেন।
এসব দাবী মিথ্যা প্রমাণ
করেন ড. সুনীতি কুমার
চট্রোপাধ্যায়
১৯২৬ সালে The Origin and
Development of Bengali Language গ্রন্থে
চর্যাপদ এর ভাষা বিষয়ক
গবেষণা করেন এবং প্রমাণ
করেন চর্যাপদ বাংলা ভাষার আদি
নিদর্শন।
১৯২৭ সালে শ্রেষ্ঠ ভাষা
বিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
চর্যাপদের ধর্মতত্ব বিষয়ক গবেষণা করেন
এবং প্রমাণ করেন যে
চর্যাপদ বাংলাসাহিত্যের আদি নিদর্শন।
👉চর্যাপদের নামকরণঃ
১. আশ্চর্যচর্যচয় ২. চর্যাচর্যাবিনিশ্চয় ৩.
চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় ৪. চর্যাগীতিকোষ ৫.
চর্যাগীতি
চর্যাপদ মানে আচরণ / সাধনা
চর্যাপদের
পদসংখ্যাঃ
মোট ৫১ টি পদ
ছিল। ৪৬টি পূর্ণ পদ
আবিষ্কৃত হয়। আবিষ্কারের সময়
উপরের পৃষ্ঠা ছেঁড়া থাকার
কারোনে সবগুলো পদ উদ্ধার
করা সম্ভব হয়নি এবং
পরে একটি পদের অংশবিশেষ
সহ মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি
পদ আবিষ্কৃত হয়।
👉চর্যাপদে কবির
সংখ্যাঃ
চর্যাপদে মোট ২৪জন কবি
পাওয়া যায়
১ জন কবির পদ
পাওয়া যায়নি তার নাম
– তন্ত্রীপা / তেনতরীপা
সেই হিসেবে পদ প্রাপ্ত
কবির মোট সংখ্যা ২৩
জন
উল্লেখযোগ্যকবি
১. লুইপা ২. কাহ্নপা
৩. ভুসুকপা ৪. সরহপা ৫.
শবরীপা ৬. লাড়ীডোম্বীপা ৭.
বিরূপা
৮. কুম্বলাম্বরপা ৯. ঢেন্ডনপা ১০.
কুক্কুরীপা ১১. কঙ্ককপা
👉কবিদের
নাম শেষে পা দেওয়ার
কারণঃ
পদ > পাদ > পা
পাদ > পদ > পা
পদ রচনা করেন যিনি
তাদেরকে পদকর্তা বলা হত যার
অর্থ সিদ্ধাচার্য / সাধক [এরা বৌদ্ধ
সহজিয়া ধর্মের সাধক ছিলেন]
👉২
টি কারণে নাম শেষে
পা দেওয়া হতঃ
১. পদ রচনা করতেন
২. সম্মান / গৌরবসূচক কারনে
লুইপাঃ
১. চর্যাপদের আদিকবি
২. রচিত পদের সংখ্যা
২ টি
👉কাহ্নপাঃ
১. কাহ্নপার রচিত মোট পদের
সংখ্যা ১৩ টি –তিনি
সবচেয়ে বেশী পদ রচয়ীতা
২. উদ্ধার করা সম্ভব
হয়েছে ১২ টি
৩. তার রচিত ২৪
নং পদটি পাওয়া যায়নি
👉ভুসুকপাঃ
১. পদসংখ্যার রচনার দিক দিয়ে
২য়
২. রচিত পদের সংখ্যা
৮টি
৩. তিনি নিজেকে বাঙ্গালী
কবি বলে দাবী করেছেন
৪. তার বিখ্যাত কাব্যঃ
অপনা মাংসে হরিণা বৈরী
অর্থ – হরিণ নিজেই নিজের
শত্রু
👉সরহপাঃ
১. রচিত পদের সংখ্যা
৪ টি
👉শবরীপাঃ
১. রচিত পদের সংখ্যা
২ টি
২. গবেষকগণ তাকে বাঙ্গালী কবি
হিসেবে চিহ্নিত করেছেন
৩. বাংলার অঞ্চলে ভাগীরথী
নদীর তীরে বসবাস করতেন
বলে ধারণা করা হয়।
যদি তিনি ভাগীরথী নদীর
তীরে বসবাস না করতেন
তাহলে বাঙ্গালী কবি হবেন না।
👉কুক্কুরীপাঃ
১. রচিত পদের সংখ্যা
২ টি
২. তার রচনায় মেয়েলী
ভাব থাকার কারণে গবেষকগণ
তাকে মহিলা কবি হিসেবে
সনাক্ত করেন।
👉তন্ত্রীপাঃ
১. উনার রচিত পদটি
পাওয়া যায় নি।
২. উনার রচিত পদটি
২৫ নং পদ।
👉ঢেন্ডনপাঃ
চর্যাপদে আছে যে বেদে
দলের কথা, ঘাঁটের কথা,
মাদল বাজিয়ে বিয়ে করতে
যাবার উৎসব, নব বধুর
নাকের নথ ও কানের
দুল চোরের চুরি করার
কথা সর্বোপরি ভাতের অভাবের কথা
ঢেন্ডনপা রচিত পদে তৎকালীন
সমাজপদ রচিত হয়েছে। তিনি
পেশায় তাঁতি
টালত মোর ঘর নাই
পড়বেশী
হাঁড়িতে ভাত নাই নিতি
আবেশী
[আবেশী কথাটার ২টি অর্থ
রয়েছে
ক্ল্যাসিক অর্থে – উপোস এবং রোমান্টিক
অর্থে – বন্ধু]
👉চর্যাপদের
ভাষাঃ
চর্যাপদ প্রাচীন বাংলা ভাষায় রচিত-
এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ
নাই। কতিপয় গবেষক চর্যাপদের
ভাষা প্রাচীন বাঙ্গালা মেনে নিয়েই এ
ভাষাকে সান্ধ্য ভাষা / সন্ধ্যা ভাষা
/ আলো আঁধারের ভাষা বলেছেন।
অধিকাংশ ছন্দাসিক একমত – চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
বিসিএস প্রিলির সাজেশন: বাংলা সাহিত্য (প্রাচীন ও মধ্যযুগ । মান-০৫)
১।মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ধর্মপ্রচারক শ্রীচৈতন্যদেব–এর প্রভাব অপরিসীম।(৩৬তম বিসিএস)
২। মধ্যযুগের শেষ
কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর মৃত্যুবরণ করেন- ১৭৬০
সালে।(৩৬তম বিসিএস)
৩।‘তোহফা’ কাব্যটি
রচনা করেন- আলাওল।
(৩৬তম বিসিএস)
৪। এন্টনি ফিরিঙ্গি কবিগান
জাতীয় সাহিত্যের রচয়িতা।
(৩৬তম বিসিএস)
৫। ‘তাম্বুল রাতুল
হইল অধর পরশে।’
–অর্থ হচ্ছে- ঠোটের
পরশে পান লাল
হল। (৩৫তম বিসিএস)
৬। ‘হপ্ত পয়কর’
সৈয়দ আলাওল –এর
রচনা।(৩৫তম বিসিএস)
৭। মঙ্গলকাব্যের কবি
নন- দাশুরায়।মঙ্গল কাব্যের
কবিরা হলেন- কানাহরি
দত্ত, মানিক দত্ত,
ভারতচন্দ্র। (৩৫তম বিসিএস)
৮। দ্রোপদী হচ্ছেন-
মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের
একক স্ত্রী। (৩৫তম
বিসিএস)
৯। মধ্যযুগের কবি
নন- জয়নন্দী। মধ্যযুগের কবি হলেন- বড়ু
চন্ডীদাস, গোবিন্দ দাস,
জ্ঞান দাস।(৩৪তম
বিসিএস)
১০। বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলতে
১২০১ – ১৩৫০ সাল পর্য্ন্ত। (৩৪তম বিসিএস)
১১। কবি গানের
প্রথম কবি হলেন-
গোঁজলা গুই। (৩৩তম
বিসিএস)
১২। ‘শূন্যপুরাণ’ রচনা
করেন- রামাই পণ্ডিত।
(৩২তম বিসিএস)
১৩। ‘পরাগলী মহাভারত’
খ্যাত গ্রন্থের অনুবাদকের নাম কবীন্দ্র পরমেশ্বর। (৩২তম বিসিএস)
১৪। আলাওলের ‘তোহফা’
নীতিকাব্য ধরণের কাব্য।
(৩২তম বিসিএস)
১৫। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ –এর
রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস। (২৯তম বিসিএস)
১৬। প্রাচীনতম বাঙালি
মুসলমান কবি শাহ
মুহম্মদ সগীর। (২৯তম
বিসিএস)
১৭। মঙ্গলযুগের সর্বশেষ
কবির নাম ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। (২৮তম বিসিএস)
১৮। বিদ্যাপতি মিথিলার
কবি ছিলেন। ( ২৮তম
বিসিএস) স
২০। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের
বড়াই কি ধরণের
চরিত্র? – রাধাকৃষ্ণের প্রেমের
দূতী। (২৮তম বিসিএস)
২১। লৌকিক কাহিনীর
প্রথম রচয়িতা- দৌলত
কাজী। (২৭তম বিসিএস)
২২। ‘Ballad’ হচ্ছে- গীতিকা।
(২৬তম বিসিএস)
২৩। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কৃষ্ণনগর রাজসভার কবি।(২৬তম বিসিএস)
২৪। ‘মহুয়া’ পালাটির
রচয়িতা- দ্বিজ কানাই।
(২৬তম বিসিএস)
২৫। চাঁদ সওদাগর
বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যধারার চরিত্র। (২৩তম বিসিএস)
২৬। ‘ইউসুফ- জোলেখা’
প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছে-
শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
(২৩তম বিসিএস)
২৭। ‘পদাবলী’র
প্রথম কবি- বিদ্যাপতি। (২২তম বিসিএস)
২৮। ‘ব্রজবুলি’ বলতে-
একরকম কৃত্রিম কবিভাষা। (২১তম বিসিএস)
২৯। ‘সবার উপরে
মানুষ সত্য, তাহার
উপরে নাই।’ – চণ্ডীদাস রচনা করেছেন। (২১তম
বিসিএস)
৩০। হিন্দী ‘পদুমাবৎ’
–এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা- আলাওল।
(১৭তম বিসিএস)
৩১। বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধ ধারা- গীতি
কবিতা। (১২তম বিসিএস)
৩২। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীনতম মুসলমান
কবি- শাহ মুহম্মদ
সগীর। (১২তম বিসিএস)
৩৩। পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক- সৈয়দ
হামজা। (১১তম বিসিএস)
৩৪। ‘রসুল বিজয়’
কাব্যের রচয়িতা- শেখ
চাঁদ।
৩৫। ‘আমার সন্তান
যেন থাকে দুধেভাতে’-এ পঙক্তির স্রষ্ট্রা- ভারতচন্দ্র।
৩৬। ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের
শ্রেষ্ঠ কবি বলা
হয়- মুকুন্দ চক্রবর্তী।
৩৭। সংস্কৃত রামায়ন
বাংলায় অনুবাদ করেন-
কৃত্তিবাস ওঝা।
৩৮। রাধাকৃষ্ণবিষয়ক রচনা-
ব্রজাঙ্গনা।
৩৯। লাইলী-মজনু
উপখ্যান ইরান দেশের।
৪০। ভুরসুট পরগণার
পাণ্ডুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
৪১। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের
খন্ড সংখ্যা- ১৩টি।
৪২। ‘আইন ই
আকবরী’ গ্রণ্থের প্রণেতা-
আবুল ফজল।
৪৩। মধ্যযুগের মহিলা
কবি চন্দ্রাবতী রামায়ন
রচনা করেন।
৪৪। ‘নবীবংশ’-এরচয়িতা-
সৈয়্যেদ সুলতান।
৪৫। মহাভারতের শ্রেষ্ঠ
অনুবাদক- কাশীরাম দাস।
৪৬। মধ্যযুগের মাহিলা
কবি চন্দ্রাবতীর পিতার
নাম- দ্বিজ বংশীদাস।
৪৭। ‘টপ্পা’ হচ্ছে-
এক ধরণের গান।
৪৮। ‘অন্নদামঙ্গল’ এর
রচয়িতা- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
৪৯। বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা
করেন।
৫০। আরাকান রাজসভার
প্রথম বাঙালি কবি-
দৌলত কাজী।
৫১। মর্সিয়া শব্দের
অর্থ- শোককাব্য।
৫২। বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রণয়োপখ্যান- ইউসুফ
জোলেখা।
৫৩। ‘মানসিংহ ভবানন্দ
উপাখ্যান’-এর রচয়িতা-
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
৫৪। চৈতন্যদেবের জীবনভিত্তিক প্রথম কাব্য কাহিনী
কাব্য রচনা করেন-
বৃন্দাবন দাস।
৫৫। গীতগোবিন্দ কোন
ভাষায় রচিত- ব্রজবলি।
বিসিএস প্রিলি সাজেশন্স মধ্যযুগ (পর্বঃ০১)
মধ্যযুগঃ
১২০১ সাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগ হিসেবে পরিচিত। মধ্যযুগ ছিল বাংলা সাহিত্যের কাব্যধারার বিকাশকাল। এ কালেই রচিত হয়েছে সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা। ধারাগুলো ছিল বেশির ভাগই ধর্মনির্ভর। মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ সাহিত্য, জীবনী সাহিত্য, বৈষ্ণব পদাবলী, শাক্ত পদাবলী প্রভৃতি সাহিত্য ধারা মধ্যযুগের অন্যতম সৃষ্টি। মধ্যযুগের আদি নিদর্শন বড়– চ-ীদাস বিরচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। এ যুগে বাংলা সাহিত্যের ধারা পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল। তাই এ যুগের সাহিত্য ধারাকে শ্রীচৈতন্যের জীবনকাল অনুযায়ী তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: ১. প্রাক-চৈতন্য যুগ (১২০১-১৫০০), ২. চৈতন্য যুগ (১৫০১-১৬০০) এবং ৩. চৈতন্য-পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৮০০)। শ্রীচৈতন্যদেব ১৪৮৬ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার ভক্ত-শিষ্যরা তার জীবিতবস্থায়ই তার জীবন কাহিনী নিয়ে কাব্য রচনা করেন। এ জীবনীকাব্য বাংলা সাহিত্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন। মধ্যযুগের শেষ কবি ছিলেন ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। নিচে আলাদাভাবে এসব যুগের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অন্ধকার যুগঃ
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগে আমরা তিনটি যুগ প্রত্যক্ষ করি। ৬৫০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাচীন যুগ, ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মধ্যযুগ এবং ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত আধুনিক যুগ। কিন্তু এ যুগবিভাগের মধ্যে ১২০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে অনেক সমালোচক মধ্যযুগের অন্তর্ভক্ত বলে স্বীকার করতে চান না। তার এ সময়কে বাংলা সাহিত্যের “অন্ধকার যুগ” বলে মনে করেন। তাদের মতে, এই ১৫০ বছর বাংলা সাহিত্যে কোনো সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয়নি। তবে এ সময়ের কিছু রচনা কোন কোন সমালোচকের দৃষ্টিতে আমরা পেয়ে থাকি। তার মধ্যে খ্রিষ্টান ত্রয়োদশ শতকের শেষের দিকে রামাই প-িতের “শূণ্যপূরণ”, হলায়ূধ মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়া’ উল্লেখযোগ্য।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১. বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সময়সীমা কত ?
উত্তর: ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ।
২. অন্ধকার যুগ কোন যুগের অন্তর্ভুক্ত ? এর সময়সীমা কত ?
উত্তর: মধ্যযুগের অন্তভূক্ত। এর সময়সীমা ১২০১ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ।
৩. মধ্যযুগের তিনটি সাহিত্যধারার নাম লিখুন।
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণবপদাবলী ও মঙ্গলকাব্য।
৪. শূণ্যপরাণ কি ?
উত্তর: রামাই প-িত রচিত ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্ত্র।
প্রাকচৈতন্য যুগ ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তনঃ
‘ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ মধ্যযুগের প্রথম কাব্য। এ কাব্যের রচিয়তা বড়– চ-ীদাস। তিনি বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের আদি কবি। ভাগবতের কৃষ্ণলীলা সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে বড়– চ-ীদাস পঞ্চদশ শতাব্দীতে এ কাব্য রচনা করেন। বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে এ কাব্যটি উদ্ধার করেন। বৈষ্ণব মহান্ত শ্রী নিবাস আচর্যের দৌহত্র বংশজাত দেবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এ গ্রন্থটি রক্ষিত ছিল। বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় গ্রন্থটি ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়। এ কাব্য মোট তেরটি খ-ে লিখিত। খ-গুলো হচ্ছে জন্মখ-, তাম্বুলখ-, দানখ-, নৌকাখ-, ভারখ-, ছত্রখ-, বৃন্দাবনখ-, কালিয়দান খ-, যমুনাখ-, হারখ-, বাণখ-, বংশীখ- ও রাধা বিরহ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১. মধ্যযুগের প্রথম কাব্য কোনটি ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
২. কার সম্পাদনায় ও কত সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রথম প্রকাশিত হয় ?
উত্তর: বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে)।
৩. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন (সম্পাদকের দেয়া নাম) কাব্যের মধ্যে পাওয়া চিরকুটে কি লেখা ছিল ?
উত্তর: শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভের পচানব্বই (৯৫) পত্র হইতে একসত্ত দস পত্র পর্য্যন্ত একুনে শোল (১৬) পত্র শ্রীকৃষ্ণপঞ্চাননে শ্রী শ্রী মহারাজা হুজুরকে লইয়া গেলেন পুনশ্চ আনিয়া দিবেন –সন ১০৮৯।
৪. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য মোট কত খন্ডে রচিত ?
উত্তর: তের খন্ডে।
৫. সর্বজন স্বীকৃত ও খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
৬. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে, কোথা থেকে আবিষ্কার করেন ?
উত্তর: ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে কাব্যটি বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করেন শ্রী বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বলভ।
৭. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র কয়টি, কি কি ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র তিনটি- কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি।
৮. বাংলা ভাষায় কোনো লেখকের প্রথম একক গ্রন্থ কোনটি ?
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা ভাষার রচিত কোনো লেখকের প্রথম একক গ্রন্থ।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তরঃ
১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্ধকার যুগ কোন যুগের অন্তর্ভুক্ত ?
ক. প্রাচীন যুগের খ. মধ্যযুগের গ. আধুনিক যুগের ঘ. কোনোটিই নয় উত্তর: খ
২. অন্ধকার যুগ কোনটি ?
ক. ১২০১-১৩০০ খ. ১২০১-১৪০০ গ. ১২০১-১৩৫০ ঘ. ১২০১-১৪৫০ উত্তর: গ
৩. রামাই প-িতের শূন্যপূরণ গ্রন্থে কোন দুই ধর্মের মিশ্রণ ঘটেছে ?
ক. মুসলমান ও হিন্দু খ. হিন্দু ও বৌদ্ধ গ. মুসলমান ও বৌদ্ধ ঘ. হিন্দু ও খ্রিষ্টান উত্তর: খ
৪. হলায়ুধ মিশ্র রচিত ‘সেক শুভোদয়া’ কোন ভাষায় রচিত ?
ক. বাংলা খ. হিন্দি গ. সংস্কৃত ঘ. পালি উত্তর: গ
৫. ‘চম্পুকাব্য’ কি ?
ক. এক ধরনের গীতিকাব্য খ. নাথ সাহিত্যের অপর নাম গ. গদ্যকাব্য ঘ. গদ্যপদ্য মিশ্রিত কাব্য উত্তর: ঘ
৬. ‘সেক শুভোদয়া’ কার লেখা ?
ক. জয়দেব খ. শ্রী চৈতন্যদেব গ. রামাই প-িত ঘ. হলায়ূধ মিশ্র উত্তর: ঘ
৭. কোন যুগকে প্রাক চৈতন্যযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয় ?
ক. ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতাব্দীকে খ. চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দীকে গ. পঞ্চদশ শতাব্দীকে ঘ. ত্রয়োদশ শতাব্দীকে উত্তর: খ
৮. জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ’ রচিত হয় কোন শাসনের সময় ?
ক. পাল শাসন খ. সেন শাসন গ. সুলতানী শাসন ঘ. মুঘল শাসন উত্তর: খ
৯. বডু চ-ীদাসের জন্মস্থান কোনটি ?
ক. বীরভূম জেলার নানুর গ্রাম খ. বীরভূম জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম গ. বাঁকুড়া জেলার নানুর গ্রাম ঘ. বাঁকুড়া জেলার কাকিঁল্যা গ্রাম উত্তর: ক
১০. কত বঙ্গাব্দে ‘‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য আবিষ্কৃত হয় ?
ক. ১৩০৭ বঙ্গাব্দে খ. ১৩০৯ বঙ্গাব্দে গ. ১৩১৬ বঙ্গাব্দে ঘ. ১৩২৩ বঙ্গাব্দে উত্তর: গ
১১. কত বঙ্গাব্দে ‘‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য প্রকাশিত হয় ?
ক. ১৩০৭ বঙ্গাব্দে খ. ১৩০৯ বঙ্গাব্দে গ. ১৩১৬ বঙ্গাব্দে ঘ. ১৩২৩ বঙ্গাব্দে উত্তর: ঘ
১২. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের একখানি পুঁথিতে এর প্রকৃত নামের যে পরোক্ষ হদিস পাওয়া যায়, সেটি কি ?
ক. শ্রীকৃষ্ণলীলা খ. শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ গ. শ্রীকৃষ্ণভগবত ঘ. শ্রীগোকুল উত্তর: খ
১৩. কৃষ্ণের সর্গীয় নাম কি ?
ক. বিষ্ণু খ. হরি গ. অবতার ঘ. ভগবান উত্তর: ক
১৪. বাংলা সাহিত্যে রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক প্রথম কাব্য কোনটি ?
ক. গীতগোবিন্দ খ. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গ. শূন্যপুরাণ ঘ. সেক শুভোদয়া উত্তর: খ
১৫. আকুল শরীর মোর বেআকুল মন ! বাঁশীর শবদেঁ মোর আউলাইলোঁ রান্ধন। -কোন কবির রচনা ?
ক. বিদ্যাপতি খ. বডু চ-ীদাস গ. জ্ঞানদাস ঘ. পদাবলীর চ-ীদাস উত্তর: খ
১৬. কৃষ্ণভক্তি তত্ত্বরূপ লাভ করেছিল কোন যুগে ?
ক. প্রাক চৈতন্য যুগে খ. চৈতন্য যুগে গ. প্রাচীন যুগে ঘ. আধুনিক যুগে উত্তর: খ
১৭. বসন্তরঞ্জন রায়ের উপাধি কি ছিল ?
ক. মহামহোপাধ্যায় খ. বিদ্বদ্বল্লভ গ. আচার্য ঘ. কাব্যতীর্থ উত্তর: খ
১৮. নিচের কোনটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের চরিত্র নয় ?
ক. রাধা খ. কৃষ্ণ গ. বড়াই ঘ. ঈশ্বরী পাটনী উত্তর: ঘ
১৯. শ্রীচৈতন্যদেব কোন ধর্ম প্রচার করেন ?
ক. হিন্দুধর্ম খ. বৌদ্ধধর্ম গ. বৈষ্ণবধর্ম ঘ. মানবধর্ম উত্তর: গ
মধ্যযুগ : চন্ডীদাস সমস্যা ও ব্রজবুলি ভাষা
চন্ডীদাস সমস্যা
- মধ্যযুগে একাধিক চন্ডীদাস থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।
- ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চন্ডীদাস তিন জন: বড়– চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস এবং দীন চন্ডীদাস।
- তবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের কবি বড়– চন্ডীদাস-ই সবচেয়ে প্রাচীন।
ব্রজবুলি ভাষা
- ব্রজবুলি কখনও মুখের ভাষা ছিলনা; সাহিত্যকর্ম ব্যতিত অন্যত্র এর ব্যবহারও নেই।
- এটি মৈথিলি ও বাংলা সংমিশ্রণে এক মধুর সাহিত্যিক ভাষা। অথবা এক রকম কৃত্রিম কবিভাষা।
- এটি মথুরার ভাষা।
- মিথিলার কবি বিদ্যাপতি এ ভাষার ¯ স্রষ্টা ।
- গীতগোবিন্দ’ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
মধ্যযুগ : মঙ্গলকাব্য
মঙ্গলকাব্য
- মঙ্গলকাব্যসমূহের বিষয়বস্তু মূলত ধর্ম বিষয়ক আখ্যান।
- মঙ্গল কাব্যের তিনটি প্রধান শাখা।
১। মনসামঙ্গল
২। চন্ডীমঙ্গল
৩। অন্নদামঙ্গল
মনসামঙ্গল
- মনসাদেবীর কাহিনী নিয়ে মনসামঙ্গল কাব্য রচিত।
- মনসামঙ্গল পদ্মপুরাণ নামেও পরিচিত।
- মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি- কানা হরিদত্ত।
- মনসামঙ্গল কাব্যের দুই সেরা কবি- বিজয়গুপ্ত এবং দ্বিজ বংশীদাস।
- বাংলা সাহিত্যে সুস্পষ্ট সন-তারিখযুক্ত মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – বিজয় গুপ্ত।
- বিজয় গুপ্তের জন্ম বাংলাদেশের বরিশাল জেলার গৈলা গ্রামে।
- মনসামঙ্গ কাব্যের অন্য কবিরা হলেন- বিপ্রদাস পিপিলাই, নারায়ন দেব, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ প্রমুখ।
- বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত মঙ্গলকাব্য – মনসাবিজয়।
- সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মনসামঙ্গল কাহিনী – চাঁদ সওদাগরের বিদ্রোহ ও বেহুলার সতীত্ব কাহিনী।
চন্ডীমঙ্গল
- চন্ডীদেবীর কাহিনী নিয়ে চন্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত।
- চীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি – মানিক দত্ত।
- চন্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি – মুুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী জমিদার বঘুনাথের সভাসদ ছিলেন। রঘুনাথ কবিপ্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে কবিকঙ্কণ উপাধি দেন।
- চন্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্যান্য কবিবা হলেন – দ্বিজ রামদেব, মুক্তারাম সেন, হরিরাম প্রমুখ।
ধর্মমঙ্গল
- ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার সূত্রপাত হয়েছে।
- ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি ময়ূরভট্ট।
- ধর্মমঙ্গল কাব্যের অন্যান্য কবিরা হলেন- মানিকরাম, সীতারাম, ঘনরাম প্রমুখ।
অন্নদামঙ্গলক
- অন্নদামঙ্গল ধারার শ্রেষ্ঠ ও শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়।
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ভারতচন্দ্র অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি দিয়েছিলেন।
- তিনি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ।
- সত্য নারায়ণ পাঁচালী তাঁর অন্য একটি গ্রন্থ।
- ১৭৬০ সালে তাঁর তিরোধানের মাধ্যমে বাংলা কাব্যের ইতিহাসে মঙ্গলযুগের অবসান ঘটে।
ভারতচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উক্তি–
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ [উক্তিটি করেছিলেন ঈশ্বরী পাটনি]
‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়’
‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’
মধ্যযুগ: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
- আবিষ্কারক: বসন্তরঞ্জন রায়
- আবিষ্কারকাল: ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ।
- যেখান থেকে আবিষ্কার করেন: পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে কাব্যটি উদ্ধার করেন।
- যার কাছে রক্ষিত ছিল: বৈষ্ণব মহান্ত শ্রী নিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশজাত দেবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এ গ্রন্থটি রক্ষিত ছিল।
- যার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়: বসন্তরঞ্জন রায়ের ।
- প্রকাশক: বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ।
- প্রকাশকাল: ১৯১৬ সাল।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর সাহিত্য বিশ্লেষণ:
- সর্বজনস্বীকৃত ও খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
- বাংলা ভাষায় রচিত কোন লেখকের প্রথম একক গ্রন্থ।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে চরিত্র তিনটি। কৃষ্ণ, রাঁধা, বড়ায়ি।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে মোট ১৩ টি খন্ড রয়েছে।
- পুঁথিকে প্রাপ্ত চিরকুট অনুসারে এই কাব্যের প্রকৃত নাম -শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ।
মধ্যযুগ: বৈষ্ণব পদাবলী
– পদ বা পদাবলী : বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গুঢ় বিষয়ের সৃষ্টি অথবা বৈষ্ণব পদাবলী রাধা ও কৃষ্ণের আকর্ষণ-বিকর্ষণের বিচিত্র অনুভূতি সম্বলিত এক প্রকার গান।
– মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল বৈষ্ণব পদাবলী’ ।
– বৈষ্ণবসমাজে বৈষ্ণব পদাবলী মহাজন পদাবলী’ এবং বৈষ্ণব পদকর্তাগণ – মহাজন নামে পরিচিত।
– বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা (ব্রজবুলি ভাষায়) – মিথিলার কবি বিদ্যাপতি। তাঁর পদাবলীগুলো ব্রজবুলি ভাষায় রচিত। অথবা বৈষ্ণব পদাবলীর অবাঙালি কবি- বিদ্যাপতি।
– বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা – কবি চন্ডীদাস।
– বিখ্যাত পদাবলী গীতগোবিন্দ’। এর রচয়িতা – গোবিন্দদাস। এটি ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
– আধুনিক যুগের কবিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
মধ্যযুগ : অন্ধকার যুগ বিতর্ক
১। অন্ধকার যুগ মধ্যযুগের অন্তর্ভুক্ত।
২। সময়কাল: ১২০১ থেকে ১৩৫০।
৩। অনেকে অন্ধকার যুগ স্বীকার করতে চান না।
৪। এ সময়ে রচিত গ্রন্থসমূহ:
ক. রামাই পন্ডিতের শুন্য পুরাণ । শূন্যপুরাণ একটি ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্থ।
খ. সেক শুভোদয়ার হলায়ূধ মিশ্র
মধ্যযুগ: বৈষ্ণব পদাবলী
– পদ বা পদাবলী : বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গুঢ় বিষয়ের সৃষ্টি অথবা বৈষ্ণব পদাবলী রাধা ও কৃষ্ণের আকর্ষণ-বিকর্ষণের বিচিত্র অনুভূতি সম্বলিত এক প্রকার গান।
– মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল বৈষ্ণব পদাবলী’ ।
– বৈষ্ণবসমাজে বৈষ্ণব পদাবলী মহাজন পদাবলী’ এবং বৈষ্ণব পদকর্তাগণ – মহাজন নামে পরিচিত।
– বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা (ব্রজবুলি ভাষায়) – মিথিলার কবি বিদ্যাপতি। তাঁর পদাবলীগুলো ব্রজবুলি ভাষায় রচিত। অথবা বৈষ্ণব পদাবলীর অবাঙালি কবি- বিদ্যাপতি।
– বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা – কবি চন্ডীদাস।
– বিখ্যাত পদাবলী গীতগোবিন্দ’। এর রচয়িতা – গোবিন্দদাস। এটি ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
– আধুনিক যুগের কবিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
চীন যুগ : বাংলা লিপি
১। ভারতীয় লিপি
ক) খরোষ্ঠী লিপি
খ) ব্রাহ্মী লিপি
ব্রাহ্মী লিপি > পূর্বী লিপি > কুটিল লিপি > বাংলা লিপি।
২। ব্রাহ্মী লিপি ভারতের মৌলিক লিপি।
৩। খরোষ্ঠী লিপিমালা ডান দিক থেকে বাম দিকে লেখা হয়।
৪। বাংলা বর্ণমালা গঠন শুরু হয় সেন যুগে এবং তা স্থায়ী রূপ
লাভ করে পাঠান যুগে।
৫। যেসব ভাষার লিপিতে বাংলা লিপির স্পষ্ট প্রভাব আছে- মনিপুরী, উড়িয়া, মৈথিলী, অসমীয়া।
প্রাচীন যুগ : চর্যাপদ
১। আবিষ্কারক: ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
২। যেখান আবিষ্কৃত হয়: নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার ।
৩। আবিষ্কারকাল: ১৯০৭ সাল।
৪। চর্যাপদের সাথে আরও আবিষ্কার করেন: ডাকার্ণব ও দোহাকোষ নামের দুটি বই ।
৫। নতুন যে নামে প্রকাশিত হয়: হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা।
৫। যার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়: ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
৬। প্রকাশক: বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
৭। প্রকাশকাল: ১৯১৬ সাল।
৮। রচনাকাল: পাল শাসন
৯। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম/আদি নিদর্শন।
১০। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরোনো পুথি।
১১। বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা সংকল ।
১২। বাংলা সাহিত্যের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
১৩। চর্যাপদ মূলত গানের সংকল।
১৪। চর্যাপদ সহজিয়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সাহিত্য।
১৫। চর্যাপদের ভাষা : সান্ধ্য ভাষা ।
১৬। চর্যাপদের ছন্দ: মাত্রাবৃত্ত ছন্দ (আধুনিক ছন্দ বিচারে) ।
১৭। চর্যাপদের সময়কাল: পাল শাসন
১৮। চর্যাপদের টিকাকার: মুনিদত্ত।
১৯। চর্যাপদের আবিষ্কারের পদ সংখ্যা – সাড়ে ছেচল্লিশটি।
২০। ২৩ নং পদটি খন্ডিত আকারে উদ্ধার করা হয়েছে
(শেষাংশ পাওয়া যায় নি)।
২১। ২৪, ২৫ ও ৪৮ নং পদগুলো পাওয়া যায় নি।
২২। চর্যাপদের সর্বাধিক পদরচয়িতা – কাহ্নপা।
২৩। চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা – লুইপা।
২৪। লুইপাকে আদি সিদ্ধাচার্য বিবেচনা করা হয়।
২৫। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, সম্ভবত ‘ভুসুকুপা’ পূর্ববঙ্গের লোক। তিনি নিজেকে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিয়েছেন।
২৬। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, ‘শবরপা বাংলাদেশের লোক ছিলেন । ধারণা করা হয় শবরপা সর্ব প্রাচীন পদকর্তা/কবি।
২৭। চর্যাপদের বাঙালি রচয়িতা – ভুসুকু পা/ শবরপা।
২৮। কুক্কুরী পা – সম্ভবত তিনি নারী। তিনি তিব্বতের। তার পদের ভাষা ইতর ভাব বিশিষ্ট।
২৯। ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
৩০। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রাচীন যুগ : বাংলা ভাষা
১। ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত ভাষা দুটি।
যথা- ক) কেন্তম খ) শতম
২। বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় থেকে।
৩। বাংলা ভাষার আদিস্তরের স্থিতিকাল :
* ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী ।
* ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী ।
৪। বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে-
* ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, খ্রিস্ট্রিয় সপ্তম শতাব্দীতে।
* অধিকাংশের মতে, খ্রিস্ট্রীয় দশম শতাব্দীতে।
৫। বাংলার আদি অধিবাসীদের ভাষা ছিল অস্ট্রিক।
৬। বুদ্ধদেবের নির্দেশে যে ভাষা জন্ম লাভ করে – পালি ভাষা।
৭। বাংলা ও অসমিয়া হচ্ছে সহোদর ভাষাগোষ্ঠী।
৮। পৃথিবীতে বর্তমান সাড়ে তিন হাজার ভাষা প্রচলিত আছে।
[তথ্যসূত্র: নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ]
চীন যুগ: ডাক ও খনার বচন
১। ডাক ও খনার বচন বাংলা সাহিত্যে আদিযুগের সৃষ্টি বলে মনে করা হয়।
২। বর্তমানে এর কোন লিখিত নিদর্শন নেই।
৩। ডাকের বচনে জ্যোতিষ ও ক্ষেত্রতত্ত্বের ও মানব চরিত্রের ব্যাখ্যা প্রাধন্য পেয়েছে।
৪। খনার বচন হচ্ছে কৃষি ও আবহাওয়া সংক্রান্ত।
মধ্যযুগ : বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ
১। ১২০১ সাল – ১৮০০ সাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ।
২। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্ধকার যুগ (১২০১-১৩৫০) – মধ্যযুগ’এর অর্ন্তভুক্ত।
৩। মধ্যযুগের আদি নিদর্শন – বড়– চন্ডীদাস বিরচিত – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।
৪। মধ্যযুগের আদি/প্রথম কবি- বড়– চন্ডীদাস।
৫। মধ্যযুগের শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
৬। মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য – ধর্মকেন্দ্রিকতাই মুখ্য।
৭। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সাথে ইরানের কবি হাফিজের পত্রালাপ হয়েছিল।
৮। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ কবি হাফিজকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
৯। মালাধর বসু আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় কাব্য রচনা করেন।
১০।বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত শাসক- আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
১১। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে যে সকল ধারার সাহিত্য আমরা পাই-
ক. বৈষ্ণব পদাবলী [বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি]
খ. মঙ্গলকাব্য [মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল]
গ. জীবনী সাহিত্য [শ্রীচৈতন্যদেব]
ঘ. মর্সিয়া সাহিত্য [শোক প্রকাশ বিষয়ক]
ঙ. নাথ সাহিত্য [নাথধর্ম বিষয়ক]
চ. অনুবাদ সাহিত্য [রামায়ন, মহাভারত]
ছ. রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান [ ইউসুফ-জুলেখা, লায়লী- মজনু]
জ. লোকসাহিত্য [লোকগান, গীতিকা, কবিগান]
ঝ. শায়ের ও কবিওয়ালা
Discussion about this post