অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বে গত ৮ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আট লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। এ মহামারিতে ২৪ ঘণ্টায় সেটাই ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
আশার কথা হচ্ছে, এরপর থেকেই ইউরোপ ও আমেরিকায় গণটিকাদান শুরু হয়। এর জেরেই সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বে কভিড রোগী শনাক্ত হয় তিন লাখ ৯৭ হাজারের কাছাকাছি। গত বছরের ২০ অক্টোবরের পর সেদিনই প্রথম বৈশ্বিক সংক্রমণ চার লাখের নিচে নামে। এরপর সংক্রমণ সামান্য কিছু বাড়লেও সার্বিকভাবে কমতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বে আক্রান্ত হন পাঁচ লাখ পাঁচ হাজারের কাছাকাছি মানুষ।
সংক্রমণ হ্রাসে বড় অগ্রগতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলে। এই তিনটি দেশেই ব্যাপকহারে টিকাদান অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ৮ জানুয়ারি আক্রান্ত হন দুই লাখ ৬০ হাজার জন। এরপর সংক্রমণ কমতে শুরু করে। ৩ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত হয় এক লাখ ৩৬ হাজারের বেশি লোক। দেশটিতে এই সময়ে সংক্রমণ প্রায় ৪৭ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা, নর্থ ডাকোটাসহ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ ৮০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটির বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
তবে সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু একই হারে কমছে না। বৃহস্পতিবারও বিশ্বে ১৪ হাজার ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ মহামারিতে।
টিকায় আপাত সাফল্য সত্ত্বেও এখনও এ মহামারি একের পর এক হতাশাজনক মাইলফলক অতিক্রম করে চলেছে। গতকাল পর্যন্ত বিশ্বে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ২২ লাখ ৯৬ হাজার। আজকের মধ্যেই এই সংখ্যা ২৩ লাখ ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : ওয়ার্ল্ডওমিটার ও নিউইয়র্ক টাইমস।
Discussion about this post