অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু ও আরও চারজন অসুস্থ হওয়ার পর মহামারি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
লাইবেরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে অংশগ্রহণের পর সাত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের ডাইরিয়া, বমি ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। চিকিৎসা কেন্দ্রে আক্রান্তদের আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে গিনির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেমি লামাহ বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম ইবোলা মহামারির পর কর্মকর্তারা মৃত্যুর ব্যাপারে ‘সত্যিই উদ্বিগ্ন ছিল’। সেসময় ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিম আফ্রিকায় ১১ হাজার ৩০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
গিনির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এএনএসএস জানিয়েছে, ইবোলা শনাক্ত করতে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে এবং আক্রান্তদের অনুসরণ ও আলাদা করতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন।
ইবোলার ভ্যাকসিন পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে গিনি যোগাযোগ করবে বলে খবরে জানা গেছে। ভ্যাকসিনের ফলে ইবোলায় বেঁচে যাওয়ার হার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভাইরাস দ্রুত অনুসরণ ও সংক্রমণ ঠেকাতে গিনির স্বাস্থ্য টিম কাজ করছে। পরীক্ষা, কন্টাক্ট-ট্রেসিং, চিকিৎসা অবকাঠামো তৈরি ও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গিনির কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছে।’
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা ডা. ইয়ুমা তাইদো বলেছেন, মানুষ কীভাবে ভাইরাসটির সংস্পর্শে এল তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে রোববার গিনির প্রতিবেশী দেশ লাইবেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়েয়াহ দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
Discussion about this post