খেলাধুলা ডেস্ক
বার্সার কাছ থেকে ২০১৭ সালে যখন পিএসজি নেইমারকে হুট করে নিয়ে গিয়েছিল, তারপর থেকে বার্সেলোনা-পিএসজির মধ্যে সম্পর্কটা যেন আরও তলানিতে ঠেকেছে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেও সে সম্পর্কের বড় প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তারা যে একে অন্যকে খুব একটা সহ্য করতে পারেন না, সেটার একটা প্রমাণ পাওয়া গেল কাল।
পিএসজির ওপর বার্সেলোনা–সমর্থকদের ক্ষিপ্ত হওয়ার আরও একটা কারণ যোগ হয়েছে সম্প্রতি। কারণটা লিওনেল মেসি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা যে বার্সায় খুব বেশি খুশি নেই, সেটা এখন আর কারও অজানা নয়। মৌসুমের শুরুতেই ক্লাব কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু চুক্তির ফাঁকফোকর দেখিয়ে মেসিকে আরও এক মৌসুমের জন্য ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তি শেষ হয়ে যাবে আগামী জুনে। এখনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করা মেসি আদৌ সামনের মৌসুমে বার্সায় থাকবেন কি না, কেউ জানে না। চুক্তি নবায়ন না করলে মেসি ক্লাব ছাড়বেন, নিশ্চিত।
আর সেটা হলে মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে পিএসজি। টাকার কুমির হিসেবে পরিচিত এই ক্লাবের বেশ কিছু খেলোয়াড় এর মধ্যেই মেসিকে ক্লাবে খেলার নিমন্ত্রণ দিয়ে রেখেছেন। নেইমারের পর মেসিও বার্সা ছেড়ে পিএসজির জার্সি গায়ে জড়াতে পারেন, এমন একটা ভয় তাড়া করে ফিরছে বার্সা–সমর্থকদের, সারা দিন। এর মধ্যেই এই দুই দল নামছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে। আর সেখানেই কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন বার্সা–সমর্থকেরা।
বার্সার মাঠ ক্যাম্প ন্যুতেই হবে দুই দলের মধ্যে প্রথম লেগটা। ফলে পিএসজি দলবল নিয়ে এর মধ্যেই পা রেখেছে কাতালানপাড়ায়। আছেন দলটার সভাপতি নাসের আল খেলাইফিও। সেখানেই কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন বার্সা–সমর্থকেরা। খেলাইফি বার্সেলোনায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে বেশ কিছু বার্সেলোনা–সমর্থক তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন, গালাগালি করেছেন। বলেছেন, ‘মেসিকে একা ছেড়ে দে, চোর!’
স্প্যানিশ গোল টিভির ‘এল গোলাজো’ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে এই ভিডিওচিত্র। এক ক্ষিপ্ত বার্সা–সমর্থককে দেখা গেল, ক্যামেরার সামনে এসে খুব ভালোভাবে খিস্তিখেউড় করে গেলেন। প্রশ্ন তুললেন খেলাইফির জন্মপরিচয় নিয়ে।
এখন বার্সা–সমর্থকদের এই ব্যবহার খেলাইফির মনে মেসিকে নেওয়ার জেদটা আরও বাড়িয়ে দেয় কি না কেন জানে! আর দিবাগত রাত দুইটায় মাঠে নামবে এই দুই দল।
Discussion about this post