শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিগত ৫ বছরে (২০১৫-২০) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের শিক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রকাশনার জন্য দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়াকে সম্মাননা প্রদান করেছে আবু জাফর শামসুদ্দিন ও আয়েশা আখতার খাতুন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের ১১৭ নাম্বার কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহর হাতে পুরষ্কার তুলে দেন কবি ও সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দিনের ছেলে ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দারা শামসুদ্দিন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দারা শামসুদ্দিন বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার সামাজিক অধিকার, সৃজনশীল কাজ ও গবেষণা দিয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকতে পারে। এ তিনটি বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা ট্রাস্টের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, লাইব্রেরী, স্বাস্থ্য ও সাংবাদিকতা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের প্রণোদনা দিয়ে থাকি। এই বিষয়গুলো সাধারণত কলা ও মানবিকী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাথে সম্পর্কিত। তাই বিশেষভাবে এখানে প্রণোদনা দিচ্ছি।’
অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূইয়া বলেন, ‘দর্শন পড়তে এসে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছি। গবেষণা করতে হলে অর্থনৈতিক প্রণোদনাটা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু প্রণোদনার কথা চিন্তা না করে মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকেই গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কাজের স্বীকৃতি পেতে সবসময় আনন্দ বোধ করি। আশা করি এই সম্মাননা আমরা ভবিষ্যৎ গবেষণার কাজে উৎসাহ প্রদান করবে।’
এসময় জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন, ‘গবেষণা চর্চার মাধ্যমে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা শানিত হয়। একজন শিক্ষক যখন নিয়মিত গবেষণা কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে যাবেন তখন শিক্ষার মান আরও বেড়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট আপডেটের উপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা কার্যক্রমের উপর। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট যথেষ্ট সেকেলে। তাই শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট আপডেটের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে, আগামী তিনমাসের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট একটি সমৃদ্ধ ওয়েবসাইটে পরিণত হবে।’
মুঠোফোনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আবু জাফর শামসুদ্দিন ও আয়েশা আখতার খাতুন মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে এই সম্মানণা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সাথে সবোর্চ্চ গবেষনা পত্র প্রকাশের মাধ্যমে এই কৃতীত্ব অর্জন করায় অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়াকেও অভিনন্দন জানান উপাচার্য।
Discussion about this post