শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের সব সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনকারীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়, চলবে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মাত্র পাঁচ দিনেই আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ১১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৭২ হাজারের বেশি। স্বাধীনতার পর মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য অতীতে এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক আবেদন জমা পড়েনি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মহামারি করোনার কারণে এ বছর এইচএসসিতে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে আগের ফলাফল অর্থাৎ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল (অটোপাস) দেয়া হয়েছে। ফলে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে তা আগে থেকে তারা বুঝতে পারেন। আর তাই এ বছর আপাতত ১ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে, এমনটা মাথায় রেখে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করে আগামী ২ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে দেড় লাখেরও বেশি ভর্তিচ্ছুর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।
দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত ৩৭টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। মোট আসনের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৪ হাজার ২৩০টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (২ শতাংশ) ৮৭টি, উপজাতি কোটায় নয়টি, অ-উপজাতি কোটায় তিনটি এবং অন্যান্য জেলার উপজাতি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ (৬ হাজার), বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (৩ হাজার), রংপুর মেডিকেল কলেজ (৬ হাজার), কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (৫ হাজার), খুলনা মেডিকেল কলেজ (৫ হাজার), বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (৪ হাজার), ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (৭ হাজার), এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ দিনাজপুর (৩ হাজার), পাবনা মেডিকেল কলেজ (২ হাজার), সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ কিশোরগঞ্জ (২ হাজার) গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ (৩ হাজার), মুগদা মেডিকেল কলেজ (৫ হাজার) এবং ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (৭ হাজার)।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মুগদা মেডিকেল কলেজে আবেদন করার জন্য যে সংখ্যক আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল তা ইতোমধ্যেই পূরণ হয়ে গেছে।
Discussion about this post