আক্রমণভাগে পিএসজি প্রধান অস্ত্র হিসেবে ছিলেন কেবল কিলিয়ান এমবাপ্পে। চোটের কারণে দলের দুই প্রধান তারকা নেইমার ও আনহেল দি মারিয়া স্পেন সফরে আসতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ফরাসি ফরোয়ার্ডকে আটকাতে পারেনি বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের একাই হারিয়ে দিলেন এমবাপ্পে। পিছিয়ে পড়েও ২২ বছর বয়সী তারকার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে বার্সাকে তাদেরই মাঠ ক্যাম্প ন্যুয়ে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখলো পিএসজি।
রাতটা অবশ্য ভালোভাবে শুরু করতে পারেনি গত আসরের রানার্স-আপদের। ২৭তম মিনিটে লিওনেল মেসির নেওয়া পেনাল্টি কিকে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংকে নিজেদের ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন লেইভিন কুরজাওয়া। স্পট-কিক থেকে কেইলর নাভাসকে সহজে বোকা বানান বার্সা অধিনায়ক।
এরপরই স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে নির্দয় হয়ে ওঠেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা নাচিয়ে ছাড়েন স্বদেশি ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ট ল্যাঙ্গলেটকে। মার্কো ভেরাত্তির পাস থেকে ৩২তম মিনিটে পিএসজিকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে।
বিরতি থেকে ফিরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৬৫তম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। ৮৫তম মিনিটে হুলিয়ান ড্রাক্সলারের পাস থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। তার আগে লিয়ান্দ্রো পেরেদেসের পাস থেকে ৭০তম মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন এভারটন থেকে ধারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে যোগ দেওয়া মইস কিন।
দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে চেষ্টা করেছিল বার্সা। কিন্তু একের পর এক কাউন্টার অ্যাটাকে কাতালান জায়ান্টদের জাল খুঁজে নেয় মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল। রাশিয়া বিশ্বকাপেও একইভাবে বিশ্বের সেরা ফুটবলার মেসির আর্জেন্টিনাকে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে ফেলেছিল এমবাপ্পে।
দুই দলের দ্বিতীয় লেগ হবে ২০ মার্চ, প্যারিসে। সেই ম্যাচে উরুর চোট কাটিয়ে পিএসজির স্কোয়াডে ফিরতে পারেন নেইমার।
Discussion about this post