নিজস্ব প্রতিবেদক
এবার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত নীতিমালায় এমসিকিউয়ের অংশের সময় কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে লিখিত অংশের সময়।
ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা থেকে জানা গেছে, এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ‘ঘ’ ও ‘চ’ ইউনিটের জন্য ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউএর জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ মিনিট। আর লিখিত অংশের জন্য শিক্ষার্থীরা ৪৫ মিনিট সময় পাবেন।
যদিও ২০২৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের জন্য সময় নির্ধারণ ছিল ৫০ মিনিট। আর ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় পেয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সে হিসেবে লিখিত অংশের নম্বর কমানো হলেও বেড়েছে পরীক্ষার সময়। আর ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউএর জন্য সময় ছিল ৬০ মিনিট ও লিখিত অংশের জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পেতেন ৯০ মিনিট।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবা (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল এডমিশন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৮ মার্চ থেকে।
এবার সব ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা বাড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জেনারেল এডমিশন কমিটি। ‘ক’ ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে জিপিএ-৮.৫০। ‘খ’ ও ‘গ’ ইউনিটের ক্ষেত্রে জিপিএ-৮.০০ থাকতে হবে। ‘চ’ ইউনিটের জন্য ৭.০০ আর ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য নিজ নিজ ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) যোগ্যতা বহাল রাখতে হবে।
তবে আবেদনকারী বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার একটিতেও ৩.৫০ এর নিচে পাওয়া যাবে না। ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০, ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫, ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০ এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০ এর নিচে পেলে আবেদন করতে পারবেন না।
Discussion about this post