নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের বহির্বিভাগের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে থাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষ আসতে থাকেন।
তবে ভোরের আলো পূর্ব দিগন্তে উঁকি মারার সঙ্গে সঙ্গে মানুষজন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজিমপুর কবরস্থান ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসেন। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে মানুষের ঢল। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের অদূরে পলাশীর মোড়ে জড়ো হন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশি শেষে তারা সারিবদ্ধভাবে ভেতরে প্রবেশ করেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর একুশের প্রথম প্রহরে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবার শহীদ মিনারের মূল বেদিতে একসঙ্গে পাঁচজন শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন- এমন নিয়মে রাতে ভিড় কম হয়।
এক সময় একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ছুটে আসতে দেখা গেলেও সময়ের পরিক্রমায় এখন আর তেমনভাবে খালি পায়ে কাউকে হেঁটে হেঁটে আসতে দেখা যায়। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বলতে গেলে প্রায় সবাই জুতা পায়েই হেঁটে যাচ্ছেন।
তারা শহীদ মিনারের মূল বেদিতে ওঠার আগে জুতা হাতে করে যাচ্ছেন। এছাড়া শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে যাওয়ার আগে সেলফি তোলার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। সময় নিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ও ছবি তোলায় অনেকটা সময় ব্যয় করতে দেখা যায়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কারা কারা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তা জানাতে পলাশীর মোড়ের অদূরে ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ডিসপ্লে বোর্ডে কখন কারা পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেছেন তা দেখানো হচ্ছে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে যারা এসেছেন তারা বিপাকে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবেই ব্যাগ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়ায় অনেকেই আশেপাশের দোকানপাটে ব্যাগ জমা রেখে যান। বেলা যত গড়াতে থাকে মানুষের ঢল তত বাড়তে থাকে।
Discussion about this post