গত এক বছর বেশ বাজে সময় কাটছে রোনালদিনিওর। দাতব্য কাজে প্যারাগুয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিল ছাড়ার অনুমতি না থাকায় জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। প্যারাগুয়ে যাওয়ার এক দিন পর জাল পাসপোর্ট বহন করার দায়ে পুলিশ আটকায় বার্সেলোনার সাবেক ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে। জেল খাটতেও হয়েছিল। করোনাভাইরাস যখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, সে সময়টা ব্রাজিল নয়, প্যারাগুয়ের এক জেলেই দিন কাটাতে হয়েছিল ‘রোনি’কে। সময়ের হিসাবে এক বছর কাটানোর আগেই আরও বড় ধাক্কা খেতে হলো ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ানকে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল করোনায় মাকে হারিয়েছেন রোনালদিনিও। গত ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ছিলেন মিগুয়েলিনা এলোই আসিস দস সান্তোস। পোর্তো অ্যালেগ্রের মায় দে দিউস হাসপাতালে আড়াই মাস ধরে লড়ে অবশেষে হার মেনেছেন মিগুয়েলিনা। গতকাল পাড়ি জমিয়েছেন অন্যলোকে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ব্রাজিল। দেশটির সরকার শুরু থেকেই এ রোগকে হেলাফেলা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই মহামারি নিয়ে। এমন অব্যবস্থাপনার বলি হয়েছেন দেশটির মানুষ। ব্রাজিলে এক কোটির বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এ তালিকায় যোগ হয়েছেন রোনালদিনিওর মা।
বড়দিনের আগে রোনালদিনিও নিজেই মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় বন্ধুরা, আমার মা কোভিড-১৯ আক্রান্ত এবং তাঁর সুস্থতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন তিনি, সম্ভাব্য সেরা সেবা পাচ্ছেন। আপনারা সব সময় যে ইতিবাচকতা দেখান, সেটার জন্য আগে থেকেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি। সবার জন্য ভালোবাসা। মা, শক্ত থাকুন।’
আড়াই মাস লড়াই করেছেন দোনা মিগুয়েলিনা। কিন্তু আর পারলেন না। ৭১ বছর বয়সে চিরবিদায় নিয়েছেন। রোনালদিনিওর মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলে রোনালদিনিও যে ক্লাবগুলোতে খেলেছেন, এর একটি আতলেতিকো মিনেইরো। ইউরোপ পর্ব শেষ করে ব্রাজিলে ফিরে এই ক্লাবে ক্যারিয়ারের শেষ ভাগ কাটিয়েছেন রোনালদিনিও। টুইটারে দুঃসংবাদটি তারা দিয়েছে এভাবে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে রোনালদিনিওর মা দোনা মিগুয়েলিনার মৃত্যুর খবর জেনেছে ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরো। ক্লাব দোনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে।’
Discussion about this post