চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনাকে ৪–১ গোলে হারিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু লিগে এসেই হারের মুখ দেখল ফরাসি ক্লাবটি। কাল রাতে লিগ ওয়ানে মোনাকোর কাছে ২–০ গোলে হেরেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল। এ হারে লিগ শিরোপা জয়ের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল পিএসজি। ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে রয়েছে ক্লাবটি। তাদের সমান ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিঁল।
চোটের কারণে নেইমার ও আনহেল ডি মারিয়াকে পায়নি পিএসজি। আক্রমণভাগে তাদের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে প্রায় বোতলবন্দী করে রেখেছিল মোনাকো। বার্সার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়া এমবাপ্পে তাঁর সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে সেভাবে ত্রাস ছড়াতে পারেননি। ম্যাচ শেষে মোনাকো কোচ নিকো কোভাচ জানান, এমবাপ্পেকে অকার্যকর রাখাই ছিল তাঁদের কৌশল। মোনাকোর হয়ে গোল করেন সোফিয়ানে ডিওপ ও গুইলার্মে মারিপান।
২০১০–১১ মৌসুমের পর লিগে এ নিয়ে ষষ্ঠ ম্যাচ হারল পিএসজি। এ ছাড়া ২০১১–১২ মৌসুমে ন্যান্সির পর এবার পিএসজিকে লিগে দুই ম্যাচেই হারানোর নজির গড়ল মোনাকো। কাল দলের জয় তুলে নেওয়ার পেছনে কৌশলের কথা জানান কোভাচ, ‘পিএসজি অসাধারণ দল। তবে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। ওরা খুব বেশি সুযোগ পায়নি। এমবাপ্পেকে নিষ্ক্রিয় রাখাই ছিল আমাদের কৌশল। কারণ, সে খুব ভালো স্ট্রাইকার। তিন–চারজন খেলোয়াড় দিয়ে তাকে বল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা পিএসজিকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হারালাম। এখন ঘরে ফিরে বিশ্রাম নিতে পারব।’
৬ মিনিটে ডিওপের হেডে এগিয়ে যায় মোনাকো। প্রথমার্ধে মোনাকোর জাল তাক করে কোনো শট নিতে পারেনি পিএসজি। বিরতির পর ষষ্ঠ মিনিটের মাথায় জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ করে মোনাকো। পিএসজি রক্ষণ ক্রস ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেনি। সুযোগসন্ধানী শটে গোল করেন মারিপান। হারের পর পিএসজি তারকা মার্কো ভেরাত্তি বলেন, ‘শিরোপা দৌড়ে আরেকটি সুযোগ নষ্ট হলো। আমাদের বুঝতে হবে ফ্রান্সেও ভালো দল আছে, শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে ভাবলে চলবে না।’
লিগে এ মৌসুমে এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো পিএসজি। সর্বশেষ তারা এমন খরার মুখে পড়েছিল ২০১১–১২ মৌসুমে।
Discussion about this post