নিউজ ডেস্ক
হোয়াটসঅ্যাপের হালনাগাদ নিয়মকানুন ও শর্তে যেসব ব্যবহারকারী সম্মতি দেবেন না, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। প্রথমে তাঁদের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। এরপর একপর্যায়ে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসে হোয়াটসঅ্যাপ তার হালনাগাদ নিয়মকানুন ও শর্ত ঘোষণা করে। এসব শর্তে ব্যবহারকারীর সম্মতি জানানোর জন্য তারা ১৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন শর্তে যদি কোনো ব্যবহারকারী সম্মতি না দেন, তবে তিনি বার্তা পাঠাতে পারবেন না। আবার বার্তা গ্রহণও করতে পারবেন না।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের শর্তে সম্মতি না জানানো ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ‘নিষ্ক্রিয়’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে। আর ১২০ দিন পর ‘নিষ্ক্রিয়’ অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হবে।
প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদ পোর্টাল টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ মের মধ্যে নতুন শর্তে সম্মতি না জানানো ব্যবহারকারীরা আরও কিছু সময়ের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে কল করা ও গ্রহণ করতে পারবেন। তাঁরা নোটিফিকেশনও পাবেন। তবে তা বেশি সময়ের জন্য নয়। এই সময় কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে।
ব্যবহারকারীরা ভেবেছিলেন, হোয়াটসঅ্যাপ হয়তো ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করা ডেটার পরিমাণে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছে।
তবে পরে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নতুন শর্তের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে। তারা জানায়, ব্যবহারকারীরা যেমনটা ভাবছেন, বিষয়টি আসলে তেমন নয়। তাদের শর্ত হালনাগাদের প্রকৃত লক্ষ্য ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্কিত।
ব্যবহারকারী যাতে পর্যালোচনা করে নতুন শর্তে সম্মতি জানাতে পারেন, সে জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ১৫ মে পর্যন্ত সময় দেয়।
২০১৬ সাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি-বিষয়ক নীতিমালায় ফেসবুকের সঙ্গে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ও ডিভাইসের পাশাপাশি আরও কিছু তথ্য ভাগাভাগি করার কথা বলা হয়েছে। এবারের নীতিমালায় ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে লেনদেন–সম্পর্কিত তথ্য ভাগাভাগির বিষয় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে ই-কমার্স সুবিধা দিতেই এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন অনেকে।
Discussion about this post