শিক্ষার আলো ডেস্ক
করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশের ৬০ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ।তবে ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মনে করেন তাদের সন্তানরা স্কুলে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম নয়। তাই সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে অনিরাপদ মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন স্কুল খুলে দেওয়ার পর সংক্রমণ বৃদ্ধির হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, ‘অবশেষে স্কুল খুলছে: আমরা কতখানি প্রস্তুত?’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে জরিপের এমন মতামত উঠে আসে।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহবায়ক ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এই সংলাপে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ, প্রবীণ শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ, ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক শফিকুল ইসলাম, প্রাইমারি টির্সাস এসোসিশনের প্রধান শাখাওয়াত হোসেন সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
সংলাপে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) যুগ্ম পরিচালক অভ্র ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ১৭ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৬০ জনের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে অভিভাবক ছিলেন ৫৭৬ জন এবং শিক্ষক ছিলেন ৩৭০ জন। বাকি ব্যক্তিরা অন্যান্য শ্রেণি-পেশার।
জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন। ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ না করলেও অন্য অভিভাবকেরা ইতিবাচক মত দিয়েছেন। ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ অভিভাবকের মতে, সন্তানের স্কুল স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম না। এ ছাড়া ৬৭ শতাংশ অভিভাবক সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ফি দিতে আগ্রহী নন। তবে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে বলেছেন।
অন্যদিকে শিক্ষকরা মনে করেন, স্কুলের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রয়েছে। প্রায় ৬৯ শতাংশ শিক্ষক অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনে সরকারি অনুদানের প্রস্তাব দিয়েছেন। আর অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে জরিপে অংশ নেওয়া অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন।
Discussion about this post