নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেছেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছে। বিজ্ঞানের উন্নততর পড়ালেখা ও গবেষণা একজন শিক্ষার্থীকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলে। জ্ঞান ও দক্ষতায় রূপান্তরিত জনশক্তি দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে, ফলে বিপুল অংকের টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আমদানির প্রয়োজন পড়বে না। ইস্ট ডেল্টার শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) শুরু হওয়া নতুন দুই মাস্টার্স প্রোগ্রাম এমএসসি ইন সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) ও এমএসসি ইন ইটিই (ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) এর উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের অন্যতম এ সংগঠক।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় কলোসিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নতুন প্রোগ্রাম দু’টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরা হয় শিক্ষার্থীদের সামনে।
বিশেষ অতিথি ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, দেশের ভবিষ্যতের ভিত গড়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে ইডিইউ। চলমান শিল্প বিপ্লবে আমাদের শিক্ষার্থীরাই যাতে নেতৃত্ব দিতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা ২০১৯ সালে হাতে নিই ইডিইউ ফিউচার ফ্যাক্টরি প্রকল্প। রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট মেশিন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, ডেটা সায়েন্স- এ ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চর্চা ও অনুশীলনের এ প্লাটফর্মকে পূর্ণতা দিতে এবার ইডিইউতে শুরু হলো কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেক্ট্রিকাল ও টেলিকমিউনিকেশনের উপর গবেষণানির্ভর ও বিশেষায়িত মাস্টার্স।
গবেষণা ও উদ্ভাবন নির্ভর ৩৬ ক্রেডিটের এ নতুন মাস্টার্স প্রোগ্রামদ্বয়ে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অর্ধেক ক্রেডিটই থাকছে থিসিসে। বিদেশের নানা উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত ৫ জন ছাড়াও গবেষণায় অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার প্রোগ্রামটিতে ক্লাস ও গবেষণা পরিচালনা করবেন। চলমান ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ রেভলিউশনের প্রয়োজনীয়তা বুঝে কারিকুলামে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলায়।
উক্ত মাস্টার্স প্রোগ্রাম দুটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে ইডিইউ ও বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দেবে এমন প্রত্যাশা করেন অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি, মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তেনাগা মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. নওশাদ আমিন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, স্নাতকোত্তর বা মাস্টার্স প্রোগ্রামের মূল বিশেষত্ব হলো গবেষণা। চট্টগ্রামের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে গবেষণানির্ভর শিক্ষার সুযোগ আগ্রহী শিক্ষার্থীর তুলনায় খুবই কম। ইডিইউর নতুন দুই মাস্টার্স প্রোগ্রাম এ অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করবে। অত্যাধুনিক ল্যাব ও বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরি করা কারিকুলাম এ প্রোগ্রামটিকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করে তুলেছে। এছাড়া দুটো আন্তর্জাতিক পাবলিকেশনের সুযোগ থাকায় এ প্রোগ্রাম পিএইচডিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাজে দেবে।
স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক সামিউল আলমের সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েট ডিন অধ্যাপক ড. নাজিম উদ্দিন ও বক্তব্য রাখেন ডেভলপমেন্ট এন্ড প্ল্যানিং ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদন লাভ করায় প্রোগ্রাম দুটিতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসিকৃত শিক্ষার্থীরা এতে ভর্তি হতে পারছে।
Discussion about this post