খেলাধূলা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড সফরে কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করার আগেই রাজ্যের চিন্তা ভর করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ঘিরে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে টাইগারদের গুচ্ছ অনুশীলন। আর এদিনই একসঙ্গে নিউজিল্যান্ডে ঘটে গেছে দুইটি আশঙ্কাজনক ঘটনা। প্রথমটি মানবসৃষ্ট, পরেরটি প্রাকৃতিক, যেখানে নেই মানুষের হাত।
বছর দুয়েক আগে শেষবার যখন নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিল বাংলাদেশ, তখন টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ না খেলেই ফিরে আসতে হয়েছিল দেশে। কারণ সেই ম্যাচের দুইদিন আগে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে করা হয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। যেখানে জুমআর নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অল্পের জন্য সরাসরি সেই হামলার মুখে পড়েননি তামিম-মুশফিকরা।
এই খবর বাইরে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাপারে। কেননা এখন সেই ক্রাইস্টচার্চেই অবস্থান করছে টাইগাররা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড পৌঁছে ক্রাইস্টচার্চের শ্যাডো বাই পার্ক হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করছে বহরের সবাই। আগামী ১০ মার্চ কোয়ারেন্টাইন শেষে তারা চলে যাবে কুইন্সটাউনে।
কিন্তু এর আগেই সন্ত্রাসী হামলার হুমকিতে কী অবস্থা টাইগার ক্রিকেটারদের? বছর দুয়েক আগে যারা চোখের সামনে দেখেছেন ভয়াবহ দৃশ্য, আবারও একই হুমকির খবরে তাদের মানসিক অবস্থা কী? এমন নানান প্রশ্নই হাজির হয়েছে পরিস্থিতির কারণে। তবে স্বস্তির খবর হলো, এসব থেকে দূরেই আছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
দলের সঙ্গে টিম লিডার হিসেবে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস নিশ্চিত করেছেন, ক্রাইস্টচার্চে আবারও হামলার হুমকি কিংবা নর্থ আইল্যান্ডে পরপর তিনটি ভূমিকম্পের খবরে চিন্তিত নয় বাংলাদেশ দল। কেননা তাদেরকে পুরোপুরি সেনা তত্ত্বাবধানে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে অভয় দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন যেখানে আছি সেটা অনেক বেশি নিরাপত্তাবেষ্টিত। এই জায়গাটি পুরোপুরি আর্মি নিয়ন্ত্রিত। যেহেতু নিউজিল্যান্ড সরকার বা ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে আমাদের সে অর্থে কিছু জানানো হয়নি, তাই আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। এখানে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। এখনও পর্যন্ত শঙ্কা ও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছুই ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, দিনে হামলার হুমকিদাতাদের আটকের পর রাতে ভয়াবহ তিনটি ভূমিকম্প হয়েছে নিউজিল্যান্ডে। তবে সেই ভূমিকম্পগুলোর কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশ দলের বর্তমান আবাসস্থল থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে। তাই ভূমিকম্পের বিষয়টি খুব একটা টের পাননি ক্রিকেটাররা। আজ স্বাভাবিক রুটিনেই অনুশীলন করেছে দলের সবাই।
Discussion about this post