খেলাধূলা ডেস্ক
বিদায়ের সুর বাজছে তখন। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ। কোপা দেল রে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনা এগিয়ে ১-০ গোলে। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটও শেষ। সেভিয়ার জালে আর একবার বল পাঠাতে না পারলে বিদায় নেবে বার্সা। কিন্তু রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর ঠিক আগে জেরার্দ পিকের হেড জড়াল জালে! এরপর অতিরিক্ত সময়ে মার্টিন ব্রাথওয়েটের আরেকটি হেডে ফিরে আসার অসাধারণ মহাকাব্য লিখল কাতালানরা। ম্যাচে জয় ৩-০ গোলে, আর দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালে মেসিরা।
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ নক আউটে পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে হেরেও ফিরতি লেগে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা। এর আগে ২০১৩ সালে এসি মিলানের কাছে ২-০ গোলে হারের পর ৪-০ ব্যবধানে জিতে কাতালানরা পৌঁছে কোয়ার্টার ফাইনালে। এবারের প্রত্যাবর্তন কোপা দেল রের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে হলেও গল্পটা অসাধারণ। রুদ্ধশ্বাস জয়ে খুশি কোচ রোনাল্ড কোম্যান, ‘আমরা বিশ্বাস ধরে রেখেছিলাম, আশা ছাড়িনি। আমরা যেভাবে লড়াই চালিয়ে গেছি, তাতে কোচ হিসেবে গর্বিত।’
পুরো ম্যাচে বার্সেলোনার পোস্টে শট ছিল ২২টি, লক্ষ্যে ছিল আটটি। আর সেভিয়ার লক্ষ্যে শট মাত্র তিনটি। এ পরিসংখ্যানই বলছে ৬৮ শতাংশ বলের দখল রেখে কতটা দাপটে খেলেছে বার্সেলোনা। মেসির পাসে ১২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন উসমান দেম্বেলে। ৬৭ মিনিটে দেম্বেলের ক্রসে ইয়োর্দি আলবার অসাধারণ ভলি ফেরে ক্রসবারে লেগে। ৭১ মিনিটে লুকাস ওকাম্পোসকে ডি বক্সে অস্কার মিনগেসা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। ওকাম্পোসের দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে ফের্নান্দো লাল কার্ড দেখলে ১০ জনে পরিণত হয় সেভিয়া। শেষ বাঁশির কিছুক্ষণ আগে আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন পিকে। তাঁর গোলের পরই মার্কার টুইট, ‘যেখানেই পিকে থাকে, আশাও থাকে সেখানে।’ দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৫তম মিনিটে আলবার গোলমুখে বাড়ানো ক্রস ডাইভিং হেডে জালে জড়ান ব্রাথওয়েট। ১০৩ মিনিটে লুক ডি ইয়ং লাল কার্ড দেখলে ৯ জনের সেভিয়া পেরে ওঠেনি আর।
প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ম্যানইউ। সিরি ‘এ’-তে উদিনেসের সঙ্গে ১-১ ড্রতে মাঠ ছাড়ে এসি মিলান। এএফপি
Discussion about this post