খেলাধূলা ডেস্ক
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কা জেগেছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু হাল ছাড়েনি, তাসমান সাগরের ওপারে পরের ম্যাচ জিতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। আর আজ (শুক্রবার) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে এনেছে সমতা। তাতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষটি অঘোষিত ‘ফাইনালে’ রূপ নেওয়ায় রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড লড়াই।
ওয়েলিংটনের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৫০ রানে। অ্যারন ফিঞ্চের হার না মানা ৭৯ রানে ভর দিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া স্কোরে জমা করেছে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান। কুড়ি ওভারের বিবেচনায় খুব বেশি কঠিন লক্ষ্য ছিল না নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু অজি বোলাদের সামনে খেই হারিয়ে ১৮.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকরা করতে পারে মাত্র ১০৬ রান।
নিউজিল্যান্ড আরও কমে গুটিয়ে যেতে পারতো, যদি না দাঁড়িয়ে যেতেন কাইল জেমিসন। আইপিএলে ১৫ কোটি রুপিতে বিক্রি হওয়ার পেসার বল হাতে সুবিধা করতে না পারলেও দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৮ বলে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ। জেমিসন ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন আর মাত্র দুজন- ওপেনার টিম সেইফের্ট (১৯) ও ডেভন কনওয়ে (১৭)।
অস্ট্রেলিয়ার সব বোলারই আলো ছড়িয়েছেন। তবে সবচেয়ে সফল কেন রিচার্ডসন, ২.৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। অ্যাস্টন অ্যাগার ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। তার মতো ২ উইকেট শিকার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২/১৪) ও অ্যাডাম জাম্পার (২/২৪)।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরাও সুবিধা করতে পারেননি। ভালো শুরু পেয়েও বেশিদূর যেতে পারেননি ম্যাথু ওয়েড (১৪), জশ ফিলিপে (১৩), ম্যক্সওয়েল (১৮) ও মার্কাস স্টোইনিস (১৯)। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লক্ষ্যের পথে অবিচল ছিলেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।
তাকে আউটই করতে পারেননি কিউই বোলাররা। অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে। ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি খেলার পথে ফিঞ্চ আবার গড়েছেন নতুন রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের (২ হাজার ৩১০) মালিক এখন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটসম্যান। পেছনে ফেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে (২ হাজার ২৬৫)।
নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার ইশ সোধি। এই স্পিনার ৩২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
Discussion about this post