সিরিজের চতুর্থ এবং শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস এবং ২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ৩-১ এ সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। আর এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই নিউজিল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে উঠলো কোহলি বাহিনী।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আরও একবার অশ্বিন-অক্ষরের ঘূর্ণিতে কাবু হয়েছে ইংলিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ৬৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কা পড়ে তারা।
সপ্তম উইকেটে ড্যানিয়েল লরেন্স এবং বেন ফোকস কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। এ জুটিতে তারা ৪৪ রান যোগ করেন। কিন্তু এরপর আবারও অশ্বিন-অক্ষরের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয় ইংল্যান্ড। ফলে ইনিংস ব্যবধানে হার পর্যন্ত এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানেই থামে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস এবং ২৫ রানের বড় জয় পায় স্বাগতিক ভারত।
ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান এসেছে ড্যানিয়েল লরেন্সের ব্যাট থেকে। ভারতের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং অক্ষর প্যাটেল দুজনেই ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ৬০* রানে অপরাজিত থেকে অক্ষরকে সাথে নিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অষ্টম উইকেটে ইংলিশ স্পিনারদের উপর চড়াও হয়ে দ্রুত গতিতে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন তারা। সপ্তম উইকেটের পর অষ্টম উইকেটেও শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন এ দুইজন। কিন্তু দলীয় ৩৬৫ রানে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন অক্ষর প্যাটেল (৪৩)।
এরপরেই বলেই বেন স্টোকসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান ইশান্ত শর্মা। আর একই ওভারের দুই বল পরেই মোহাম্মদ সিরাজক বোল্ড আউট করেন ইংলিশ পেসার। ফলে ৯৬* রানে অপরাজিত থেকে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ওয়াশিংটন সুন্দরকে। ১৭৪ বলের দূর্দান্ত এই ইনিংসে ১০টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসঃ ২০৫/১০ (৭৫.৫ ওভার); স্টোকস ৫৫, লরেন্স ৪৬ ; অক্ষর ৪/৬৮।
ভারত প্রথম ইনিংসঃ ৩৬৫/১০ (১১৪.৪ ওভার); পান্ত ১০১, সুন্দর ৯৬* ; স্টোকস ৪/৮৯।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১৩৫/১০ (৫৪.৫ ওভার); লরেন্স ৫০, রুট ৩০; অশ্বিন ৫/৪৭, অক্ষর ৫/৪৮।
ফলাফলঃ ভারত ইনিংস এবং ২৫ রানে জয়ী।
সিরিজঃ ভারত ৩-১ ব্যবধানে জয়ী।
Discussion about this post