নিউজ ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি নারী-পুরুষ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সভ্যতার উষালগ্ন থেকে সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক সকল কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকা অগ্রগণ্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও বিপণনের সুবিধা প্রদান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল ও বিধিবিধান হিসেবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩), পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে।
আমি আশা করি, দেশের টেকসহ উন্নয়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সহযাত্রী হিসেবে কাজ করবেন। মুজিববর্ষে নারী উন্নয়নে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচারবিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post