খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র টেস্ট স্পেশালিষ্ট পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। পেসারদের মধ্যে উইকেট শিকারী বোলারের তালিকায় সবার উপরের দিকে আছে শাহাদাতের নাম। বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার আগে যার নাম লেখা হয়েছে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে।
কৃতীত্বের পাশাপাশি বিতর্কতেও কম যান না শাহাদাত। গৃহকর্মী পিটিয়ে গিয়েছিলেন জেলে। সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও নিজের নামকে কলুষিত করেন এই ফাস্ট বোলার। ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচে আরাফাত সানির গায়ে হাত তুলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নিষিদ্ধ হন ৭ বছর।
বর্তমানে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত শাহাদাত হোসেনের মা। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন না তিনি। ফলে মানবিক দিক বিবেচনা করে তার নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই দেয়ার জন্য বিসিবির কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। বিসিবি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে তার নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।
আজ আকরাম খান বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিককে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যপারে জানিয়েছেন, “এনসিএল চলাকালীন সময়ে রাজিব শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিল। এরপর ডিসিপ্লিন বোর্ড তাকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। কিছুদিন আগে নিষেধাজ্ঞা মওকুফের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছে, চিঠিও দিয়েছে; গণমাধ্যমেও দেখেছি।
যেহেতু ও পারিবারিকভাবে সমস্যায় পড়েছে, ওর আম্মার ক্যান্সার হয়েছে আর ও ক্রিকেটে ফিরতে পারছে না। আমরা কয়েকজন পরিচালক আলোচনা করেছি, ডিসিপ্লিন কমিটির চেয়ারম্যানের সাথেও। ওরা ইতিবাচক। আশা করছি ইতিবাচক কিছু আসবে।”
আকরাম আরও বলেন, “বোর্ড সভাপতিকে জানিয়েছি, তিনিও শাস্তি মওকুফের ব্যাপারে ইতিবাচক আছেন। ও যেন এবারের এনসিএলে খেলতে পারে সেই আশা করছি।”
পেসার শাহাদাত বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৮টি টেস্ট, ৫১টি ওয়ানডে এবং ৬টি টি-টোয়েন্টি ।
Discussion about this post