খেলাধুলা ডেস্ক
২০১৪ বিশ্বকাপের স্মৃতিটা কি এখনো মনে করা যায় চাইলেই? তাহলে জোয়াকিম লোকেও মনে থাকার কথা। প্যান্ট-শার্টে কর্পোরেট কর্তার মতো এক ‘ভদ্রলোক’ দু হাত এক করে দাঁড়িয়ে আছেন ডাগ আউটে। কেবলই কি দাঁড়িয়ে থাকেন? জোয়াকিম তো সেবার বিশ্বকাপও জেতালেন জার্মানিকে।
জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে ইওয়াখিম লুভের সম্পর্ক আজকের নয়। প্রথম দুই বছর ছিলেন সহকারী কোচের দায়িত্বে, এরপর নিজেই মূল কোচ হয়ে যান। ১৭ বছরে ক্লোসা, ওজিল, লাম, শোয়াইনস্টাইগার, ক্রুস, নয়্যারদের হাজারো উত্থান–পতনের কারিগর ছিলেন তিনি। আসছে ইউরো শেষ হওয়ার পর লুভ জার্মান জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ছেন, ঘোষণা দিয়েছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, জাতীয় দলের কোচ নিজেই চুক্তি বাতিল করতে চেয়েছিলেন ইউরোর পর, যা আদতে ২০২২ বিশ্বকাপের পরে শেষ হতো। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সে সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেছে।
নিজের বক্তব্যে লুভ জাতীয় দলের কোচ হওয়াটা গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন ভালোভাবে, ‘আমি খুব ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি অনেক গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। কিন্তু একই সঙ্গে আসছে ইউরোর জন্যও উদ্দীপ্ত থাকতে হবে আমাদের। আমি গর্বিত, কেননা এ দায়িত্ব আমার জন্য বিশেষ ছিল, সম্মানের ছিল। ১৭ বছর ধরে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করেছি। ওদের উত্থানের সঙ্গী হতে পেরেছি। আমি গর্বিত।’
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সবচেয়ে বড় সাফল্যের কথাটা ভুলে যাননি লুভ, ‘এই দলের হয়ে অবিস্মরণীয় কিছু জয় পেয়েছি। কষ্টকর কিছু পরাজয়ও জুটেছে। শুধু ২০১৪ বিশ্বকাপ জিতেছি বলেই নয়, আরও অনেক দুর্দান্ত মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি, যা আমাকে দুর্দান্ত এক পরিবেশে আরও ভালো কাজ করতে সাহায্য করেছে।’
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফ্রিৎজ কেলার লুভের যাওয়ার বেলায় জানিয়েছেন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, ‘ইওয়াখিম লুভের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান আছে। অ্যাসোসিয়েশন জানে, ও আমাদের দলের জন্য কী করেছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ সে। শুধু খেলোয়াড়ি দিক দিয়েই নয়, মানবিক দিক দিয়েও সে ছিল অনন্য। ও যে এভাবে ওর সিদ্ধান্তের কথা এত আগে আমাদের জানিয়েছে, এটা খুবই বিচক্ষণ একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন অ্যাসোসিয়েশন ভেবেচিন্তে তার উত্তরসূরি খুঁজতে পারবে।’
Discussion about this post