নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। শুরুতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির একদিন করে ক্লাস নেয়া হবে। সপ্তাহে ছয়দিন পঞ্চম শ্রেণির সশরীরে ক্লাস করানো হবে। করোনা পরবর্তী অবস্থায় কোন পদ্ধতিতে শিক্ষকরা পাঠদান করাবেন সে জন্য ‘পাঠ পরিকল্পনা’ ও ‘শিক্ষক নির্দেশিকা’ তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জিএম হাসিবুল আলম বলেন, ২০২০ সালের প্রায় অধিকাংশ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। চলতি বছরও তিন মাস পরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের তিন মাস পার হয়ে গেছে এজন্য সিলেবাস কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন এবং পিইসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছয়দিন ক্লাস নেয়া হবে। শিক্ষকরা ক্লাসে কীভাবে পড়াবেন, কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবেন এ জন্য একটি লেসন প্ল্যান (পাঠ পরিকল্পনা) ও শিক্ষক নির্দেশিকা গাইড তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তককে (এনসিটিবি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ক্লাস শুরুর আগে পাঠ পরিকল্পনা ও নির্দেশিকার ওপর শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, বিগত এক বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় গত বছরের পাঠ্যপুস্তকের কিছু অধ্যায় নতুন বছরের সিলেবাসে যুক্ত করা হবে। এ বছরের ক্লাস অনুযায়ী কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দেয়া হবে। এ সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হবে। কীভাবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হবে সে বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, শিক্ষক নির্দেশনা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখন নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষককে ওরিয়েন্টশনের (কর্মশালা) আয়োজন করে তাদের ক্লাসে ফেরানো হবে।
তিনি বলেন, নেপ ও এনসিটিবি যৌথভাবে এ ওরিয়েনটেশনের কাজটি করবে। ক্লাস শুরুর আগে এ কাজ করা হবে। শিক্ষক নির্দেশিকায় একজন শিক্ষক করোনা পরবর্তী সময়ে কীভাবে ক্লাসে পড়াবেন তার একটি গাইডলাইন থাকবে। সেখানে বিষয়ভিত্তিকভাবে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হবে শিক্ষক ক্লাসে কোন অধ্যায়গুলো পড়াবেন। একই সঙ্গে একটি সাবজেক্টের (বিষয়) বেশি প্রয়োজনীয় নয় এমন বিষয়গুলো না পড়িয়ে রিলেটেড একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য অধ্যায়ের কাছাকাছি আছে এমন বিষয়কে এক সঙ্গে পড়ানোর কথা বলা হবে।
Discussion about this post