ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসিদের উত্তরসূরি কে হবেন এ প্রশ্নের জবাব কিলিয়ান এমবাপে আর আর্লিং ব্রট হালান্ডে খুঁজছে ফুটবল বিশ্ব। ইতোমধ্যেই এমবাপে-হালান্ডের দ্বৈরথটা জমে উঠেছে বেশ। নরওয়েজিয়ান হালান্ড সেভিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে ভেঙেছেন এমবাপের রেকর্ড। তাতে সেভিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেও শেষ আটে উঠে গেছে তার দল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় সেভিয়াকে বিদায় করে পরের রাউন্ডে পা রেখেছে জার্মান দলটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুটা ভালো করে সেভিয়া। প্রথমার্ধে আক্রমণ ও বল দখলে অনেকটা এগিয়ে থাকা দলটি চতুর্থ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লুকাস ওকাম্পোসের শট পাঞ্চ করে ফেরান গোলরক্ষক। ২০তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল সফরকারীরা। এবার সুসোর শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৩৫তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগেই এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। মাহমুদ দাহুদের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে মার্কো রয়েস পাস দেন ছয় গজ বক্সের সামনে। সহজেই ফাঁকা জালে বল পাঠান হলান্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৬ ম্যাচে গোলের রেকর্ড গড়লেন হলান্ড। তার বয়স ২০ বছর ২৩১ দিন।
৫৪তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এই গোলের আগে এক দফা নাটক হয়ে যায় মাঠে। হলান্ড অনেকটা একক নৈপুণ্যে বল জালে পাঠালেও গোল মেলেনি, সেভিয়ার ডিফেন্ডার জুল কুইন্দি তাকে ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি।
প্রথমবার অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি হলান্ড। তার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া ইয়াসিন বোনোর হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। কিন্তু সেভিয়া গোলরক্ষক আগেই লাইন থেকে সরে আসায় ভিএআরের সাহায্যে আবার পেনাল্টি দেন রেফারি। এবার আর ভুল করেননি হলান্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪ ম্যাচে হলান্ডের গোল হলো ২০টি, প্রতিযোগিতাটিতে যা দ্রুততম ২০ গোলের রেকর্ড। ২৪ ম্যাচে ২০ গোল করে আগের রেকর্ড ছিল ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের।
বয়স ২১ পেরুনোর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও নিজের করে নিলেন হলান্ড। এখানে পেছনে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে (১৯ গোল)। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাটিতে নরওয়ের সর্বোচ্চ গোলের তালিকাতেও উঠলেন চূড়ায়। ১৯ গোল নিয়ে এতদিন রেকর্ডটি ছিল বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ উলে গুনার সুলশারের।
প্রথম লেগেও জোড়া গোল করছিলেন হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলে চলতি মৌসুমে তার গোল হলো ২৯ ম্যাচে ৩১টি।
৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ইউসেফ এন-নেসিরি। ডি-বক্সে লুক ডি ইয়ং ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ে ইভান রাকিতিচের ক্রসে হেডে সমতা ফেরান তিনি। কিন্তু সফরকারীদের মাঠ ছাড়তে হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের হতাশা নিয়ে।
Discussion about this post