ড. এমএলআর সরকার
শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা বা ভর্তিযুদ্ধ। তবে সুখবর হচ্ছে করোনা, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যায়গুলোর সদিচ্ছার কারণে এবার ভর্তি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছোটাছুটি করতে হবে না। ভর্তি পরীক্ষা হবে মূলত গুচ্ছভিত্তিক। এতে করে একদিকে যেমন পরীক্ষার সংখ্যা কমবে, অন্যদিকে ভর্তি ইচ্ছুকরা গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত যে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে যাতায়াত ভোগান্তিও কমবে।
তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এতকিছুর পরও দেশের প্রথম সারির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নানা কারণে গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে অনিচ্ছুক। এবারও বেশ কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবেই ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দুটির ভর্তির নিয়মাবলির মধ্যে কিছু অদ্ভুত অসামঞ্জস্যতা প্রকটভাবে লক্ষণীয়, যেগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য এ লেখার অবতারণা।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা: ভর্তি পরীক্ষায় যাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে; কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে (প্রতি ইউনিটে ৪৫ হাজার) মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার বাছাই করা শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। রাবির এ সিদ্ধান্তে অনেকেই মর্মাহত। এ বিষয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু রাবিতে পরীক্ষা দিতে পারবে মাত্র ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪ পরীক্ষার্থী। রাবি কর্তৃপক্ষ কি একবার ভেবে দেখেছে কোন বিবেচনায় তার লক্ষাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে মাত্র ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে যাচ্ছে? রাবির বি-ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) আসন সংখ্যা ৫৬০ এবং সি-ইউনিটে (বিজ্ঞান অনুষদের) আসন সংখ্যা ১ হাজার ৬১২। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, উভয় ইউনিটের জন্যই সমানসংখ্যক অর্থাৎ ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী বাছাই করবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল বিবেচনায়। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের দেশের গ্রাম-শহরে বা বিভিন্ন স্কুল-কলেজে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা কি সমান কঠোরতার সঙ্গে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে? যদি তাই হতো, তাহলে কি বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ত?
পরীক্ষা কেন্দ্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে আটটি বিভাগীয় শহরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সম্মত না হওয়ায় দেশের মানুষ হয়েছিল মর্মাহত। কিন্তু ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবে এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আটটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ঢাবি শুধু পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তিই দূর করেনি, অধিকন্তু সব যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, আমার প্রিয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ করোনা ক্রান্তিকালেও সব পরীক্ষার্থীকে দূরদূরান্ত থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। রাবির এই একটি সিদ্ধান্ত ভর্তি পরীক্ষাকে নানাভাবে বিতর্কিত করেছে- ক. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত ভোগান্তি বৃদ্ধি করেছে, খ. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, গ. স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা তিন শিফটে (১৫ হাজার পরীক্ষার্থী প্রতি শিফটে) তিন সেট আলাদা প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে নিতে হচ্ছে; যার ফলে অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ ভর্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে।
পরীক্ষা পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষার সমন্বয়ে। এ পদ্ধতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও গত বছর এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার (সংক্ষিপ্ত লিখিত প্রশ্নপ্রত্রে) সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিল; কিন্তু এক অদ্ভুত অজুহাতে রাবি এবার শুধু এমসিকিউতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমি অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন শুধু এমসিকিউতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে? তাদের উত্তর হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিরি কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী অদ্ভুত যুক্তি! করোনার মধ্যে রাবি ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে গাদাগাদি করে পরীক্ষা নিতে দ্বিধা করছে না; কিন্তু সেই করোনার কথা বলে লিখিত পরীক্ষা বাদ দিয়ে শুধু এমসিকিউয়ের মাধ্যমে তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করেছে!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসাবে গত বছর ভর্তি পরীক্ষায় আমি বিজ্ঞান ইউনিটের লিখিত পরীক্ষার একজন নিরীক্ষক ছিলাম। আমার দায়িত্ব ছিল পরীক্ষকরা প্রতিটি উত্তরের নম্বর দিয়েছে কিনা তা দেখা এবং নম্বরগুলো সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। নিরীক্ষা করতে গিয়ে যখন দেখেছি কোনো পরীক্ষার্থী নম্বর খুব বেশি অথবা খুব কম পেয়েছে তখন কৌতূহল বসেই উত্তরগুলো পড়ে দেখেছি। পড়তে গিয়ে দেখলাম এমসিকিউ পরীক্ষায় ভালো নম্বরপ্রাপ্ত এ পরীক্ষার্থীদের অনেকেই নিউটনের সূত্রও সঠিকভাবে লিখতে পারেনি। আবার অনেকে সূত্রটি লেখেইনি। অনেক ছাত্রই লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতেই পারেনি। অনেকেই কোনো কোনো অংশে (যেমন গণিত বা রসায়নে) শূন্য পেয়েছে। আবার অনেকেই বেশ ভালো লিখেছে।
কেন এমসিকিউ পরীক্ষায় ভালো নম্বরপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের অনেকেই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করছে না- এ বিষয়ে আমি আমার প্রথমবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মতামত জানতে চেয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রীদের অভিমত হচ্ছে, এমসিকিউর জন্য ভাসা-ভাসা পড়লেই চলে; কিন্তু লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বিস্তারিত পড়াশোনা।
তাদের মতামত হচ্ছে, এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রকৃত মেধা যাচাই করা অসম্ভব, কারণ- ক. এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীরা গাইড বই থেকে ২০০০ থেকে ৫০০০ এমসিকিউ প্রশ্ন এবং তার উত্তর মুখস্থ করে। খ. গাইড বইয়ের এমসিকিউ প্রশ্ন এবং উত্তরগুলোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিস্তারিত পড়তে হয় না। কোনোভাবে মনে রাখার চেষ্টা করলেই চলে। একটি প্রশ্নের চারটি উত্তর দেখলেই অনেক সময় সঠিক উত্তরটি বোঝা যায়। গ. পরীক্ষায় দেখাদেখি এবং অসদুপায় অবলম্বন করা এমসিকিউ পদ্ধতিতে সহজ। অনেক সময় পরীক্ষার্থী দলবেঁধে একসঙ্গে পরীক্ষা দিতে আসে। হল পরিদর্শক একটু অন্যদিকে খেয়াল করলেই তারা পাশের বন্ধুর কাছ থেকে উত্তর জেনে নেয় বা নেওয়ার চেষ্টা করে। পরীক্ষার হলের ফ্যানের শব্দের কারণে গুনগুন করে কথা বললেও শিক্ষকরা বুঝতেই পারেন না। বড় হলগুলোতে মাথা নিচু করে কথা বলা সহজ ব্যাপার।
একজন ছাত্র বলেছে, এমসিকিউয়ের জন্য কোচিং সেন্টারে অদ্ভুত উপায়ে জীবজন্তুর বৈজ্ঞানিক নাম শেখানো হয়। যেমন কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘Pheretima posthuma’। তাকে শেখানো হয়েছে মনে রাখবে কেঁচো মাটিতে থাকে তাই ‘মাটি বা মেটা’ শব্দটি মনে রাখতে হবে। যদি পরীক্ষায় কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম আসে, তবে মাটি বা মেটা এরকম শব্দ যে বৈজ্ঞানিক নামের সামনে থাকবে সেটিতেই টিক দেবে। তার মতে, এভাবে পড়েও এমসিকিউ পরীক্ষা ভালো করা সম্ভব। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় তা সম্ভব নয়। লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে বানানসহ বৈজ্ঞানিক নামগুলো জানা প্রয়োজন।
অন্য একজন ছাত্র বলেছে, লিখিত পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যার কোনো সূত্র বা ক্যালকুলেশন, রসায়নের কোনো সমীকরণের সমাধান বা ক্যালকুলেশন, জীববিজ্ঞানের ডিএনএ এবং আরএনএ পার্থক্য বা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশের নামসহ চিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে ছোট-বড় যে প্রশ্নই থাক না কেন, তার উত্তর লেখার জন্য পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হয়।
এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাশের বন্ধুর কাছ থেকে জেনে/দেখে পরীক্ষার খাতায় লেখা সম্ভব নয়। ছাত্রছাত্রীদের মতে করোনার কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য এবারের ভর্তি পরীক্ষায় শুধু রাজশাহী বিশ্বদ্যালয়ই নয়, অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্যও এমসিকিউ এবং লিখিত প্রশ্নের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা প্রয়োজন।
পরীক্ষার ফি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট প্রতি ভর্তি পরীক্ষার ফি হচ্ছে ৬৫০ টাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট প্রতি ভর্তি পরীক্ষার ফি হচ্ছে ১১০০ টাকা। ঢাবির পরীক্ষা হবে ৮টি বিভাগীয় শহরে। পরীক্ষা হবে দুটি: এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা। বিভাগীয় শহরগুলোতে যাতায়াত, পরীক্ষা কেন্দ্র ভাড়া, লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরিদর্শকদের সম্মানী, কাগজ ও প্রিন্টিং, ওএমআর মেসিন খরচসহ আরও অনেক খাতে ঢাবির ভর্তি ফি খরচ হবে।
কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউতে। যাতায়াত, পরীক্ষা কেন্দ্র ভাড়া এবং লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়ন খরচ নেই। খরচ হবে মূলত ওএমআর মেশিন ভাড়া, পরিদর্শকদের সম্মানী, কাগজ, প্রিন্টিং এবং কিছু আনুষঙ্গিক খাতে। সঙ্গত কারণেই সাধারণ মানুষ এবং ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের মনে প্রশ্ন, কেন তাদের ১১০০ টাকা ভর্তি পরীক্ষার ফি দিতে হবে? আমার ছেলেও আমাকে বলেছে, ‘বাবা তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফি এত বেশি কেন?’ আমি আমার ছেলের কথায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তার মমত্ব উপলব্ধি করে তাকে বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে আমি তোমাদের অভিযোগের কথা লিখব’, যদিও মনে মনে বলেছিলাম আমার লেখায় কিছুই পরিবর্তন হবে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং উত্তরাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সবারই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। কোনো অজুহাতেই এ রকম হযবরল প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা সমীচীন নয়।
ভর্তি পরীক্ষা হবে জুন মাসে, এখনো তিন মাসের বেশি সময় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করে সব যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারে। সেই সঙ্গে গত বছরের মতো এবারও এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রকৃত মেধাবীদের ভর্তির পথ উন্মুক্ত করতে পারে। একজন শিক্ষক হিসাবে আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছুই করার ক্ষমতা নেই। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, অনুগ্রহপূর্বক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। [লেখাটি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত]
লেখক: অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
Discussion about this post