খেলাধুলা ডেস্ক
নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে ২৪ সদস্যের দল দেয়া হয়। এই দলের সঙ্গে ‘ব্যাকআপ প্ল্যানের’ অংশ হিসেবে রাখা হয়েছে আরও সাত ফুটবলারকে। জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন লিগের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা এই ফুটবলাররা।
জাতীয় দলের এক সূত্রে জানা যায়, মূলত দুটি বিকল্প ধারণা থেকে এই ফুটবলারদের বাছাই করা হয়েছে। একটি হলো মূল দল থেকে যদি কোনো ফুটবলার কোনো কারণে ছিটকে যায় তাদের জায়গা পূরণ করা হবে এই দল থেকে। আর ভবিষ্যৎ অলিম্পিক টিম (অনূর্ধ্ব-২৩) গঠনের পরিকল্পনা থেকে এই সাত খেলোয়াড়কে তৈরি করা হবে।
জাতীয় দলের পাইপলাইনও বলা যেতে পারে এই দলকে।
এমন পরিকল্পনায় প্রিমিয়ার লিগে চমক হিসেবে আবির্ভূত হওয়া আরামবাগের ফরোয়ার্ড নিহাদ জামান উচ্ছ্বাস আর বসুন্ধরা কিংসের ফিনল্যান্ডপ্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার তারিক কাজীর নাম না থাকা নিয়ে চলছে সমালোচনা।
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষে আরামবাগ যখন রেলিগেশন এড়ানোর জন্য ধুঁকছে, সেখানে এবার উচ্ছ্বাস টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষেও আরামবাগের হয়ে একমাত্র গোলটিও এসেছে তার পা থেকে। তাকে ধরা হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ‘গোলমেশিন’ হিসেবে।
জাতীয় দলের প্রতিটি বয়সভিত্তিক দলের নিয়মিত ফুটবলার উচ্ছ্বাস।
জাতীয় দল না হোক ব্যাকাপ প্ল্যানেও কি রাখা যেত না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান কোচ জেমি বলেন, ‘উচ্ছ্বাস ভালো করছে। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বে কেমন করছে, এটা দেখতে হবে। এমন পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখতে পারলে ঠিক জায়গায় উচ্ছ্বাসের স্থান হবে।’
একই অবস্থা কিংসের রাইট ব্যাক তারিক কাজীর। গত বছরের নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক সিরিজে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অভিষেক করা হয়নি তার। এবার লিগে স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের কৌশলে তারিককে অনিয়মিত দেখা গেছে। সব মিলে পাঁচ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন।
ফিনল্যান্ডপ্রবাসী এই ফুটবলারের বিষয়টি একেবারে অস্কার ব্রুজনের কাঁধেই ছেড়ে দিয়েছে জেমি, ‘এবার লিগে যারা পারফরম্যান্স করেছে তাদেরই নেয়া হয়েছে। তারিক কাজীর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব অস্কার ব্রুজনের। অস্কার জানে তার দলের সেরা খেলোয়াড় কারা। তারিক কাজী সুযোগ পাচ্ছে না অবশ্যই তার কোনো যুক্তি আছে।’
শুধু তারিক কাজী নয়, সম্প্রতি জাতীয় দলে খেলেছে এমন কিছু ফুটবলারকেও কিংসের বেঞ্চ গরম করতে হচ্ছে। তাদের একজন রবিউল হাসান।
জাতীয় দলের ব্যাকআপ সাত প্লেয়ার:
উত্তর বারিধারার গোলকিপার মিতুল মার্মা, মোহামেডানের ডিফেন্ডার মো. আতিকুজ্জামান, সাইফের চার মিডফিল্ডার আবু শাহেইদ, রহিম উদ্দীন, ইমরান হাসান রিমন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসির ফরোয়ার্ড মো. জুয়েল।
Discussion about this post