খেলাধুলা ডেস্ক
দূর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের অনেক আগেই স্বাগতিক ভারতকে বেঁধে ফেলে ব্যাটসম্যানদের কাজটা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিল ইংলিশ বোলাররা। ব্যাটিং এসে সেই সহজ কাজটা স্বাচ্ছন্দ্যেই সেরেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। একপেশে ম্যাচে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় তুলে নিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল মরগ্যানরা।
আহমেদাবাদে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে এসে ইংলিশ বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৪ রান করতে পেরেছিলো ভারত। জবাবে ২৭ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং জশ বাটলার। মাত্র ৮ ওভারেই এই দুইজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭২ রান। ২৮ রান করে শততম ম্যাচ খেলা যুযবেন্দ্র চাহালের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরেন বাটলার। আর ৪৯ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রয়।
তবে দাভিদ মালান এবং জনি বেয়ারস্টোর জুটিতে আর কোন উইকেট না হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। ২৪* রানে মালান এবং ২৬* রানে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টো।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে অসহায় ছিল আজ স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ধ্বংসস্তূপ থেকে একাই লড়াই চালিয়েছেন শ্রেয়াস আয়ার। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানের পুঁজি পেয়েছিল ভারত।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই জোফরা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন লোকেশ রাহুল (১)। পরের ওভারেই আদিল রশিদের বলে মিডঅনে ক্রিস জর্ডানের হাতে ধরা পড়ে শূন্য রানে ফিরে যান বিরাট কোহলি। আন্তজার্তিক ক্রিকেটে ৪৭৫ ইনিংসের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথম টানা দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। সব ফরম্যাট মিলিয়ে গত পাঁচ ইনিংসে এটি তার তৃতীয় ‘ডাক’।
পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২০ রানে মার্ক উডের বলে বোল্ড হন শেখর ধাওয়ানও (৪)। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ৩ উইকেট মাত্র ২২ রানে। যা ভারতের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ‘পাওয়ার প্লে’তে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়াস আয়ারকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ফর্মে তুঙ্গে থাকা রিশাভ পান্ত। কিন্তু দশম ওভারে বেন স্টোকসের শেষ বলে লেগ স্ট্যাম্পের ডেলেভারীতে পান্তের করা ফ্লিক শট সরাসরি যেয়ে পড়ে জনি বেয়ারস্টোর হাতে। ফলে ৪৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত।
এরপর হার্ডিক পান্ডিয়াকে সাথে নিয়ে বিপর্যয়ে পড়া ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়াস আয়ার। এমন চাপের মুখেও চোখ ধাঁধাঁনো সব শট খেলে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। পঞ্চম উইকেটের এই পার্টনারশিপে ৪৪ বলে আসে ৫৫ রান। কিন্তু ১৮তম ওভারে টানা দুই বলে জোড়া আঘাত হানেন জোফরা আর্চার।
৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করা শ্রেয়াস শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৬৭ রানে ম্যাচের শেষ ওভারে ক্রিস জর্ডানের স্লোয়ার ডেলিভারিতে থার্ডম্যানে দাভিদ মালানের দারুণ ক্যাচে আউট হন। তার লড়াই করা দূর্দান্ত ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং একটি ছয়।
Discussion about this post