খেলাধুলা ডেস্ক
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান সংগ্রহ করেছিল লঙ্কানরা। জবাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ম্যাচে ৪৯.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও দানুশকা গুনাথিলাকা এবং দিনেশ চান্ডিমালের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। ৫০ রানেই তিন উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে এই দুজন যোগ করেন ১০০ রান।
প্রথম ওয়ানডেতে ৫৫ রানে বিতর্কিত ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল দানুশকা গুনাথিলাকাকে। শুক্রবারও মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরছেন লঙ্কান এই ওপেনার। ১০ চার আর ১ ছয়ে ৯৬ বলে ৯৬ রান করে জেসন মোহাম্মদের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর দিনেশ চান্দিমালের ৭১(৯৮) রান এবং শেষ দিকে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৭৩ রান সংগ্রহ করেছিল শ্রীলঙ্কার। ১০ ওভারে ৪৭ রানে খরচে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জেসন মোহাম্মদ।
জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও স্বাগতিকদের দূর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার এভিন লুইস এবং শাই হোপ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ১৯২ রানের বিশাল পার্টনারশিপ। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন এভিন লুইস। কিন্তু এরপর মাত্র ২ রানের ব্যবধানেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন এই দুই ক্যারিবীয় ওপেনার।
৮ চার আর ৪ ছয়ে ১২১ বলে ১০৩ রান করেন লুইস আর ৬ চারে ১০৮ বলে ৮৪ রান আসে হোপের ব্যাট থেকে। এরপর অল্প ব্যবধানে দ্রুত আরও ৩ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে খেলায় ফেরায় লঙ্কান বোলাররা। প্রাণ ফিরে পাওয়া ম্যাচে শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিলো ৩১ রান।
কিন্তু নুয়ান প্রদীপের করা ৪৮তম ওভারে ফ্যাবিয়ান অ্যালানের উইকেট পড়লেও সেই ওভারে আসে ১৮ রান। এরপর দুশ্মান্থা চামিরার ৪৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান আসলেও, শেষ ওভারে দুই চার মেরে দুই বল বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন নিকোলাস পুরান। ৩৪ বলে ২৬* রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
Discussion about this post