আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইতালিতে শুক্রবার (১২ মার্চ) এক দিনেই আবার ২৫ হাজার নতুন করোনা রোগি শনাক্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের শয্যা ফাঁকা নেই। ‘ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট’-এর উপর চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে গোটা দেশটাকেই ‘রেড জ়োন’ ঘোষণা করতে চলেছে ইতালি। আবার দেশ জুড়ে জারি হবে লকডাউন।
এদিকে সংক্রমণ বেড়েছে ব্রিটেন ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্পেনে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৫ হাজার ৫৮১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৬ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার ৪২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৪ জনের।
আক্রান্তে ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৬ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯১ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৩ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৬১৭ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৯১ হাজার ২২০ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাবে যুক্তরাজ্য রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৩ জন।
করোনায় শীর্ষ আক্রান্ত দেশ আমেরিকার পরিস্থিতির আগের চেয়ে তুলনামূলক ভাল। গড়ে দৈনিক ২ লক্ষ সংক্রমণ কমে এখন ৬০ হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে বলে পাবলিক হেলথ পরিসংখ্যান জানিয়েছে। পুরো দেশে বজায় রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি পালনের কড়াকড়ি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার বিষয়ে শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না।
ইউরোপ ও আমেরিকার মতোই এশিয়ার নানা দেশে ফের করোনা বিস্তারের আলামত দেখা যাচ্ছে। ভারতের কয়েকটি রাজ্যে করোনার নতুন ধরণের বিস্তারের কারণে পরিস্থিতি অবনতিশীল বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিককালে সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ফলে টিকাকরণের পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post