খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ সময় ভোর থেকেই শুরু হবে লড়াই। দেশটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এখনো জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তথ্যটা এবার যে করেই হোক পাল্টে দিতে চান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের পেসারদের নিয়ে এবার আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।
ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালের উইকেট পেসারদের সহায়তা করবে। বাতাসের সঙ্গে উইকেটে ঘাসও থাকবে, জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম। এদিকে ছয় পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারকেও এই দলে রাখলে সংখ্যাটা সাত। এর মধ্যে কয়েকজন পেসারকে এর আগে কখনোই খেলেনি নিউজিল্যান্ড। হাসান মাহমুদ ও অভিষেকের প্রহর গোনা শরিফুল ইসলাম তাঁদের অন্যতম।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেছেন, ‘এবার আমাদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণভাগটা নিখাদ। এদের মধ্যে কয়েকজনের পারফরম্যান্স দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। অনুশীলন ম্যাচগুলোয় তারা খুব ভালো করেছে। আমি তাদের নিয়ে আশাবাদী।’ নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দল নিজেরা ভাগ হয়ে সর্বশেষ যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে ভালো করেন পেসার রুবেল হোসেন। নাজমুল একাদশের হয়ে ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ ওয়ানডেতে ২৭.৮৬ গড়ে ২২ উইকেট নিয়েছেন রুবেল। রুবেল, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ কিংবা মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে নিউজিল্যান্ড দলের।
তবে নিউজিল্যান্ডের কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে তামিমদের লড়াই করতে হবে বলে মনে করেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ওটাগো ডেইলি টাইমসকে বাঁহাতি এ পেসার বলেন, ‘ঠান্ডা বেশি (বাংলাদেশের তুলনায়)। নীল আকাশের নিচে ঘাসও থাকবে উইকেটে। ঢাকায় কিংবা অন্য জায়গায় আর্দ্রতা বেশি এবং (উইকেটে) স্পিন ধরে। তবে ক্রিকেটের জন্য (ওভাল) দারুণ জায়গা।’ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য বোল্ট যে অন্যতম মাথাব্যথা, তা না বললেও চলে। বোল্ট নিজেও ওভালের সবুজ উইকেটে বল করার অপেক্ষায়, ‘বল সুইং করলে এবং উইকেটে ঘাস থাকলেই আমি খুশি। কোন সংস্করণে খেলছি সেটা কোনো সমস্যা নয়।’
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দল কাল ভোরে আলাদা সুবিধাই পাবে উইলিয়ামসন-টেলরের অনুপস্থিতিতে। কিউই ব্যাটসম্যানদের চমকে দিতে কে জানে, বাংলাদেশ অনভিজ্ঞ, আনকোরা পেসারদেরও মাঠে নামিয়ে দিতে পারে!
তেমন কিছু হলেও খুব একটা ভাবছেন না নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড। তাঁর যুক্তি, ‘তারা (বাংলাদেশ) যা, যা করতে পারে সেসব মাথায় রেখে সব রকম প্রস্তুতিই আমরা সেরেছি। যদি অনভিজ্ঞ এবং তরুণদের তারা খেলায়, তাহলে আমাদের তরুণদের জন্য খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ দলটা উন্নতি করছে। তাদের দলের গভীরতাও বেড়েছে। আমরা তাদের মোটেও হালকা চোখে দেখছি না। কীভাবে ভালো করতে হয়, সেটা তারা গত তিন-চার বছরে শিখেছে।’
Discussion about this post