খেলাধুলা ডেস্ক
বৃহস্পতিবার ভারতীয় ইনিংসের তখন ১৪তম ওভার চলছে। স্যাম কুরানের শর্ট বলকে পুল করে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন অভিষিক্ত সূর্যকুমার যাদব। তবে শেষমেশ তা নিচু ক্যাচ হয়ে ধরা পড়ে সেখানে থাকা দাওয়িদ মালানের হাতে।
নিচু ক্যাচ হওয়ায় তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অন ফিল্ড আম্পায়ার কেএন অনন্তপদ্মনভনের। আর তাই তার সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। তবে নিয়মমাফিক একটা ‘অন ফিল্ড সিদ্ধান্ত’ জানাতে হয় তৃতীয় আম্পায়ারকে। সেখানে মাঠের আম্পায়ার সন্দেহে থাকলেও ‘সফট সিগনাল’ দিয়েছিলেন আউটের পক্ষেই। তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা তিন-চার মিনিট ধরে ফুটেজ দেখেও সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারেননি তখন। শেষমেশ তিনি এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনই থেকে যান, আর সফট সিগনালের সুবাদে উইকেটটা যায় কুরানের খাতায়।
কোহলি চটেছেন তাতেই। বললেন, ‘টেস্টেও এমন হয়েছে যখন আমি জিঙ্কসের (অজিঙ্কা রাহানে) পাশে দাঁড়ানো ছিলাম, আর সে একটা ক্যাচ নিয়েছিল। তবে ক্যাচটা ঠিকঠাক হয়েছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহে ছিল সে, আর তাই তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতে হয়েছিল আমাদের। ফিল্ডারেরই যখন সন্দেহ থাকে, তখন স্কয়ার লেগ আম্পায়ার এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন এমন কোনো সুযোগই নেই। এক্ষেত্রেই সফট সিগনালটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। আমি জানি না এটা কেন থাকতেই হবে, কেন ‘আমি জানি না’ সিদ্ধান্ত জানানোর সুযোগ থাকবে না আম্পায়ারের! একই ব্যাপারটা প্রযোজ্য রিভিউর ক্ষেত্রেও, কেন ‘আম্পায়ার্স কল’ থাকবে!’
আইসিসির নিয়মানুসারে মাঠের কোনো সিদ্ধান্ত আম্পায়ার হয়ে তৃতীয় আম্পায়ার পর্যন্ত পৌঁছালে মাঠের বিচারককে একটি ‘সফট সিগনাল’ জানাতে হয়। তবে চলতি বছরই এমসিসি বিশ্ব ক্রিকেট কমিটিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৩০ গজের বাইরে ক্যাচের ক্ষেত্রে ‘সফট সিগনাল’ থাকা উচিত কিনা এ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারকে আউট বা নট আউটের বদলে ‘আমি দেখিনি’ গোছের সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারকে জানানোর সুযোগ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হয়।
Discussion about this post