– সাঈফ আলম
১. পৃথিবীর বুক থেকে ক্রম পলায়নপর, অবহেলিত কিংবা ধ্বংসন্মুখ কোন অমূল্য বা অতীব মূল্যবান কোন বিষয় বা বস্তুর স্মরণ, সংরক্ষণ বা এর তাৎপর্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য,সচেতন করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ব দিবস চালু করা হয়েছে। যেমন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, বিশ্ব শিশু দিবস, বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব দিবস সমূহের যে তালিকা তা অতিশয় দীর্ঘ। আমার মত দুর্বল স্মৃতি শক্তি সম্পন্ন অমেধাবী একজন মানুষের কাছ থেকে এই তালিকার পূর্ণ বর্ণনা আশা করলে অবিচার হয়। কিন্তু ভালবাসার মত এত শাশ্বত, এত চিরন্তন বিষয়টি ঠিক কী এমন দঃখের জলে পড়লো যে তা দিবস করে উৎদযানের উদ্যোগ নিতে হলো মানুষের, সেই প্রশ্ন কিন্তু এই দিবস সৃষ্টির দিন থেকেই সহযাত্রী হয়ে চলে আসছে।
ভালবাসা, সে তো এক বহতা নদী। অবিরাম বয়ে চলাই এর ধর্ম। ভালবাসা সে তো প্রতিদিনের বিষয়। আর প্রতিদিনের বিষয় তো না হতে পারে উৎসব , না হতে পারে সংবাদ। তাহলে ঠিক কোন স্মরণে, কী সংরক্ষণে এই প্রতিদিনের বিষয়টিকে দিন বিশেষে আটক করে তার জন্য ঘটা করে উৎসব উদযাপনের ব্যবস্থা করতে হয় ভালবাসার বিশ্ব কর্মীদের? এই জিজ্ঞাসা যারা অন্তরে বহন করে এবং গোচরে অগোচরে এর সুচিন্তিত জবাবের আশা রাখেন তারা এই দিবসের কঠোর সমালোচক, অসমর্থনকারী এবং তারা এর নিন্দুকও বটে। তবে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের প্রয়োজন-অপ্রয়োজন নিয়ে বিতর্ক করার চেয়ে এখন আরো অধিক দরকারী যে প্রশ্ন, তা হলো- ‘সখী, ভালবাসা কারে কয়?’ দিবস নির্দিষ্ট উপলক্ষে আমাদের ভালবাসা যেভাবে সীমাহীন ঔজ্বল্য, চাকচিক্য ও অন্তসারশূণ্যতা কে প্রদিক্ষণ করে মরে, তাতে প্রকৃত সরল অথচ প্রবল ভালবাসা যা অনন্ত কাব্যসুধা, অপার চিত্তানন্দের জলধারা, জলোচ্ছাস প্রবাহিত করে, সেই অনন্তের আকাশ প্রেম আর পরাণের মধ্যে বিশাল এক গহ্বর সৃষ্টি করে জীবন থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকছে কি না সেটা লক্ষ্য করা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশেষ আবশ্যক হয়ে পড়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
২. ভালবাসা ভালবাসা করে অস্থির হওয়া বাঙালীর হাল প্রজন্ম ভালবাসার সংজ্ঞাটাই যেন কেমন অসহনীয় রকমের বিবর্ণ, বিকৃত করে ফেলেছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের ভালবাসার জ্ঞান ও চর্চার মধ্যে অনৈক্য হলো এই যে, এরা অনেকেই ভাবে ভালবাসা জৈবিক বিষয় অথচ প্রকৃতপক্ষে ভালবাসা হলো মানসিক ব্যাপার। ভালবাসা বস্তু নয়, ভালবাসা ভাবের বিষয়। এই সাধারণ জ্ঞানের বিষয়ে আজকালের ছেলে-মেয়েরা অনেকেই ভীষণ রকমের অজ্ঞ। ইংরেজিতে ভাবকে বলা হয় “ফিলিংস”। আর ভাব বা ফিলিংস অন্তরের বিষয়, দেহের নয়। অকৃত্রিম হৃদয়বৃত্তির আহবানে সুন্দর ও আলোকিত আর একটি মানব হৃদয়ের সন্ধানলাভ করা এবং তাকে অন্তরের বিশালতা দিয়ে আকর্ষণ করে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে, ত্যাগের মহিমার অসীমের একটি মানুষ্য সম্পর্ক স্থাপন করার নামই ভালবাসা। ভালবাসার কার্য সম্পাদনের একমাত্র কর্মী হলো মানব হৃদয়। অন্য কোন মানব অঙ্গ দিয়ে, কলের যন্ত্র দিয়ে ভালবাসার ক্রিয়া সংগঠন সম্ভব নয়। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে আজকালের ভালবাসা কেমন যেন শুধুই শরীর নির্ভর হয়ে পড়েছে। যৌন কর্মে সক্ষম দুজন নর-নারীর মধ্যে অদম্য যৌন আকর্ষণকে এখন
ভালবাসার সংজ্ঞায় ফেলে বর্তমানের প্রেমের কর্মীরা মূলত কায়িক শ্রমিকের ত্যাগ স্বীকার করছে। আশ্চর্যজনকভাবে ভালবাসার গভীরতা এখন যৌন প্রস্তাবে রাজি-গররাজি দ্বারা নির্ণয় করা হয়। মেয়েটি লিটনের ফ্ল্যাটে যেতে রাজি হলো না, তো প্রকাশ পেল যে, মেয়েটি ছেলেটিকে প্রকৃত ভালবাসতে পারেনি। এমন ভয়ংকর মাত্রায় শরীর নির্ভর ভালবাসা শরীর ভেদ করে হৃদয় গভীরে প্রবেশ করতে পারে না বলেই আধুনিক অনেক প্রেমিকের চোখে তার প্রেমিকার সমস্ত শরীরটাকে একটি যৌনাঙ্গের অধিক কিছু মনে হয় না। আর সেই যৌনাঙ্গ উপভোগের ধান্দাকে প্রধান করে অনেক প্রেমিকই এখন অতিশয় যৌনাসক্ত যৌনকর্মীর ভূমিকায় পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়।
এজন্য গতরে গতর টানার হাল আমলের যে ভালবাসা তার ফলাফলও হচ্ছে খুবই মর্মান্তিক।“প্রেমিকের সাথে সাক্ষাতে গিয়ে প্রেমিকা ধর্ষণের শিকার!” “শারীরীক সম্পর্কের পর প্রেমিকা গর্ভবতী, বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন!” এসব নিত্য সংবাদ সবই এখন জৈবিক তাড়না নির্ভর ও পশু প্রবৃত্তিতে রোগাক্রান্ত ভালবাসার পরিণতির নগদ খবরাখবর যা চিন্তাশীলদেরকে বিচলিত না করে পারে না । অথচ ভালবাসার মত এত নির্মল, এত পবিত্র হৃদয় বৃত্তির পরিণাম কখনো এত অপরিতৃপ্তির, এত অশ্রাব্য ও নোংরা হতে পারে না।
তাই ভালবাসা দিবসের বিতর্ক ফেলে আগে ভালবাসার গলদ ঘটানো পাগলদের মনোচিকিৎসার ব্যবস্থা করাই বেশি জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রজন্মের মধ্যে যত সুকুমার বৃত্তি আছে সে সব বৃত্তি অন্বেষণের ব্যাপারে তাদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে সর্বাগ্রে যাতে তারা ভালবাসার নামে কায়-মনো-বাক্যে কোনভাবেই কোন পশুবাহনে উঠে না বসে। তারা যেন গৃহে, গৃহের বাইরে সকল মানব-মানবীর সাথে হৃদয়ের সকল সুন্দর কলা ও বৃত্তি নিয়ে মিলিত হতে পারে, যেন অশ্রান্ত স্পর্শ দিয়ে বক্ষের সাথে বক্ষের স্নিগ্ধ আলিঙ্গন ঘটায়ে ভালবাসার প্রকৃত মহিমা বিরাজমান করতে পারে। তবেই কেবল প্রজন্মের ভালবাসার খেয়াল শরীর ছেড়ে নীলাকাশের বিশালতার দিকে ধায় করবে, ফুলের ধ্রুব সৌন্দর্যের মধ্যে গিয়ে ধরা দিবে। ভালবাসা তখন কোন ভাবেই লক্ষ্যহীন, ঐক্যহীন কোন দিবস রজনীতে বন্দী হতে চাইবে না।
৩. মানুষ মাত্রই ভালবাসার প্রেম ভাব বা ভালবাসার অনুভূতি মুক্ত নয়। তবে ভালবাসার স্থান, কাল এবং পাত্র ভেদ আছে। পাত্র ভেদে এই অনুভূতির তীব্রতা এবং প্রকাশও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। যেমন ভালবাসার পাত্র-পাত্রী যখন মা ও সন্তান তখন ভালবাসার প্রকৃতি বা রুপ এক প্রকারের। আবার ভালবাসার পাত্র- পাত্রী যখন ভাই-বোন তখন এর ধরণ প্রকৃতি একটু ভিন্ন প্রকারের। সংস্কৃতি ভেদে ভালবাসার আদান-প্রদানের, বহিঃপ্রকাশের যে ক্রিয়া-কর্ম তার মধ্যেও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন, আমাদের দেশের যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সেখানে আমরা বয়োপ্রাপ্ত ছেলেরা মাকে জাড়িয়ে ধরে ভালবাসা প্রকাশ করতে পারি কিন্তু আমাদের বয়োপ্রাপ্ত বোনদেরকে একইভাবে আলিঙ্গন করিনা। অবশ্য করলেও এর মধ্যে দোষের কিছু নেই। ভাই, বোনকে আলিঙ্গন করলেও কেউ নিন্দার চোখে তাকাবে না, যদি না সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়। তবে বিশেষ করে গ্রামের সংস্কৃতিতে এটা মোটামুটি একটা বিরল দৃশ্য।তবে শহরে এর কম বেশি চর্চা আছে। এ কথার অর্থ আবার এও না যে, গ্রাম বাংলার ভায়েরা শহরের ভাইদের চেয়ে তাদের বোনদেরকে কম ভালবাসে। এখন কথা হলো, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে রক্তের টান, নাড়ীর বন্ধন, আর অকৃত্রিম ভালবাসা তাকে আমরা উদযাপনের যোগ্য বা বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে আলোচনাযোগ্য বলে মনে করি না।
ফলে প্রকাশ্যে আলোচনাযোগ্য ভালবাসা বলতে, উদযাপনযোগ্য ভালবাসার প্রসঙ্গ বলতে ভালবাসার একটা সংকীর্ণ পরিসর ও দৃশ্য কল্পনা করে থাকি। আর সেই অবিস্তার ভালবাসার ক্ষেত্রটি হলো পরিবারের বাইরের দু’জন বয়োপ্রাপ্ত বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যকার রোমান্টিক সম্পর্ক। সমগ্র রক্তের ও সামাজিক বন্ধন মাত্রই ভালবাসার যে বিশাল বিস্তৃত বৃক্ষটির অস্তিত্ব তার একটা সংকীর্ণ প্রশাখাকে নির্ভর করে কোন দিবস উদযাপন পুরো ভালবাসার সার্বজনীনতাকে একমুখী চরিত্র দেওয়া হচ্ছে বলে এই দিবসের ব্যাপারে অনেকে আপত্তি তুলে থাকে। তারা বলে, ভালবাসার আবার দিবস কী! ভালবাসা তো মানব বক্ষে বিশাল বহতা এক নদী। প্রতি মুহুর্ত এর চলা ও চাঞ্চল্য।
ভালবাসাতো দিন বিশেষের জন্য সারা বছর থেমে থাকে না। পরিবেশ দিবসে অনুষ্ঠান করে একখানা বৃক্ষ রোপন করে দিলেই বছরের অবশিষ্ট ৩৬৪ দিন পরিবেশের কথা,বৃক্ষ রোপনের কথা ভুলে থাকলেও চলে। কিন্তু ভালবাসা তো বৃক্ষ রোপনের মত বাৎসরিক বিষয় নয় যে, দিন বিশেষে এর অনুষ্ঠান সেরে সারা বছর তাকে এড়িয়ে চলা যাবে ।মূলত ভালবাসা প্রতি ক্ষণের বিষয়, প্রতি স্বর্গীয় হৃদয়ের সঙ্গ লাভের বিষয়। প্রতিক্ষণে ভালবাসা অনুভব করা এবং মানব নির্বিশেষে তাদের মধ্যে ভালবাসার সঞ্চার ঘটানোই প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন কর্তব্য হওয়া উচিৎ।
বিশ্ব সংসারে মানবের অন্তঃপুরে অবহেলায় ভালবাসার প্রবাহ শুকিয়ে বালুকাময় ধূধূ প্রন্তরে রুপান্তর করে, শুধু দিন বিশেষে স্ত্রী-পুরুষের রোমান্টিক প্রেমের পূজো পার্বনের পঞ্জিকায় খেয়াল রাখলেই ভালবাসার মর্যাদার সিকিটা রক্ষা হলেও এর ষোল আনাই সুদূরে অনাদরে গড়াগড়ি করে। তাই ভালবাসা দিবসের মাধ্যমে ভালবাসার পরিসর সংকীর্ণ করার মধ্যে ব্যাপক লোক নিন্দা আছে। স্ব-গৃহে ভালবাসার ক্ষুধাশুণ্য হয়ে পড়ে থেকে, স্নেহ-ভালবাসার জয়োধ্বনিতে অসীম এক নিস্তব্দতা সৃষ্টি করে মানুষ যে হৃদয়ে বড়ই কদর্য হয়ে পড়েছে সেই অসামন্য দুঃখের চিত্র সাম্প্রতিক কালের করনা মহামারীর সময়ে ছদ্মবেশ ভেঙে একেবারে বিবস্ত্র হয়ে দেশবাসীর চোখের সামনে এসে ধরা পড়ে গেল কত না দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে। উদাহরণ স্বরুপ, রাতের আধারে ছেলেরা অসুস্থ বৃদ্ধ জননীকে নিক্ষিপ্ত করে আসলো বনের মধ্যে। ভালবাসার খরা, শূণ্যতার এর চেয়ে বড় ভয়াবহতা আর কী হতে পারে! আপন গৃহে রক্তের সাথে রক্তের বন্ধনে এত বড় ছেদ-বিচ্ছেদের ঘনঘটা যেখানে নিত্য দিনের একটি বড় দৃশ্য সেখানে গৃহের বাইরে অপরাপর স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে ভালবাসার সুধা¯্রােত আর কতটুকু ক্ষুরধার চঞ্চল প্রবাহ সৃষ্টি করতে পারে তা তো সহজেই অনুধাবন করা যায়। রবীন্দ্রনাথের একটি মূল্যবান উক্তি হলো, “যা কিছু যত অল্প তার আড়ম্বর তত বেশি।” বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ভালবাসার আড়ম্বর আমাদের ভালবাসার সংকীর্ণতা ও স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ করছে কি না তা আমাদের সকলের জন্যই অনুধাবনের বিষয়।
৪. সর্বোপরি মনে রাখতে হবে যে, হৃদয় চিরঞ্জীব। এর শক্তিও অনন্ত। পক্ষান্তরে, শরীরের শক্তির ক্ষয় আছে।সময়ের সাথে সাথে এ শক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে। তাই পঞ্চাশের পরে আর সঙ্গীকে শরীর দিয়ে ভালবাসতে পারবেননা। তাহলে প্রশ্ন হলো, আজীবন ভালবাসার উপায়টা আসলে কী? উপায় হলো আপনার মন,আপনার হৃদয়। ভালবাসার উৎপাদন, জমা-খরচ, আকুলতা, ব্যাকুলতা- সব ঐ মানুষের হৃদয় জুড়ে অবিরাম চলতে থাকা অনন্ত শক্তিঘর। হৃদয়ের অংশগ্রহণ অগ্রাহ্য করে ভালবাসার দান বা গ্রহণ কোনটিই সম্ভব নয়। এক কথায়, ভালবাসার দিবসের দিকে মনোযোগ চালনা না করে, ভালবাসার জন্য যে হৃদয়-মন আবশ্যক সেই মনের স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়ে খেয়াল প্রদানই এখনকার অসুস্থ সংসারে মানব-মানবীর প্রধান আত্মসেবা কর্ম। অর্থাৎ আমাদের আগে ভালবাসা কারে কয় সেই শিক্ষা করা উচিৎ। প্রজন্মকে সর্বাগ্রে ভালবাসার চিরন্তন বানী ও সূত্রের সন্ধান দিতে হবে। অবাধ নীলছবির সহজলভ্যতা আমাদের উঠতি বয়সের সন্তানদের সকল সুকুমার বৃত্তিগুলো নষ্ট করে দিয়ে তাদেরকে আপাদামস্তক কু-প্রবৃত্তির দাসে পরিণত করছে। সেই সব কু-প্রবৃত্তি চরিতার্থ করারজন্য অনেকেই প্রেমিকের ছদ্মবেশে কামুক ধর্ষকের ভূমিকায় স্রোতের অনুকূলে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। অসংযত শারীরীক অধিনতায় ক্ষুদ্র হয়ে আসা মানব-মানবীরা ভালাবাসা দিবসে প্রেমের শ্বাশ্বত সৌন্দর্যের বৃহৎ কোন মর্যাদা ও শক্তির সন্ধান পাচ্ছে কি না সেই প্রশ্নই এখন দিনেদিনে বৃহৎ আকার ধারণ করছে। বই পড়ে আলোকিত হওয়া মানুষ ভিন্ন ভালবাসার প্রকৃত সঞ্চারীনি, স্রোতস্বীনির ভক্ত একটি প্রজন্ম আশা করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার।
লেখকঃ প্রভাষক, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইউনি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, চট্টগ্রাম।
Discussion about this post